ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে সংর্ঘষের পর কুয়েট অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা

0
259

নিজস্ব প্রতিবেদক:
ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে দুই হলের ছাত্রদের মধ্যে সংঘর্ষের জের হিসাবে শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টায় খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) এর একাডেমিক কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। শনিবার বিকাল ৫টার মধ্যে ছাত্রদের এবং আজ রবিবার সকাল ১০টার মধ্যে ছাত্রীদের সকল হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়।
প্রতক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, শুক্রবার বিকালে কুয়েট আন্তঃহল ফুটবল প্রতিযোগিতায় অমর একুশে হল ও রশিদ হলের মধ্যে খেলা অনুষ্ঠিত হয়। খেলাটি গোলশূণ্য ভাবে শেষ হয়। খেলার রেফারি বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের মোঃ শাহআলম (৪০) পরিচালনা করেন।
অমর একুশে হলের খেলোয়াড়দের অভিযোগ- খেলাচলাকালীন সময়ে ল্যাইন্সম্যান অফ সাইডের নির্দেশ দিলেও ম্যাচ রেফারি শাহআলম সেটা না দেওয়ার কারণে বাকবিতন্ডার একপর্যায়ে ছাত্ররা রেফারী শাহ আলমকে মারধর করে। পরে মাঠ থেকে স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার এর সামনে গেলেই দু’দল ছাত্রদের মধ্যে সংঘর্ষ হয় ও ফজলুল হক হলের গ্লাস ভাংচুর করে। এসময় আহতরা হলেন স্বরণ, জিহাদ, গিজারী, সিয়াম, রাফি, আবির, তনয়, অঞ্জন, শারীরিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ রায়হান।
পরবর্তীতে রাত ১০টায় ছাত্রকল্যাণ পরিচালক প্রফেসর ড. শিবেন্দ্র শেখর শিকদার উভয় গ্রুপের ছাত্রদের সাথে বসে মিমাংসার প্রস্তাব দিলে সেটি নাকচ করে দেয়। পরে জরুরীভাবে একাডেমিক কাউন্সিল বৈঠকে বসে। বৈঠকে ভাইস চ্যান্সেলর, সকল ডীন ও ছাত্র কল্যাণ পরিচালক দীর্ঘ আলোচনার পর উদ্ভূত পরিস্থিতিতে অনিবার্যকারণ বশত পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পযর্ত অত্র বিশ্ববিদ্যালয় সকল একাডেমিক কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করা হয়। একই সাথে ছাত্র ছাত্রীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেন।
তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল অফিস, দপ্তর, কার্যালয় যথারীতি ভাবে চালু থাকবে। এদিকে কর্তৃপক্ষের নির্দেশের পর ছাত্রছাত্রীরা শনিবার সকাল থেকেই হল ত্যাগ করতে শুরু করেছে। আচমকা হল ছাড়ার এ নির্দেশে বেশ ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে বলে অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা। ছাত্রীদের রবিবার সকাল ১০টা পর্যন্ত হল ছাড়ার সময় বেধে দেওয়া থাকলেও আতঙ্কগ্রস্ত অনেকেই সকাল থেকেই হল ত্যাগ করছেন।
এদিকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করায় ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ হওয়ায় সেশনজটের আশঙ্কা করছেন অনেক শিক্ষার্থী। তারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে দ্রুত এ সংকট নিরসনের করে ক্যাম্পাস খুলে দেওয়ার দাবি জানান।
খানজাহান আলী থানা অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) মোঃ শফিকুল ইসলাম জানান, যে কোন অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়াতে বিশ্ববিদ্যালয়সহ আশপাশের এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।