ফিনল্যান্ডে ‘একদিনের প্রধানমন্ত্রী

0
169

টাইমস বিদেশ :
নারী-পুরুষের সমতার লড়াইকে এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে ফিনল্যান্ডে একদিনের জন্য প্রধানমন্ত্রী করা হয়েছিল ১৬ বছর বয়সী আভা মুরতোকে। নর্ডিক এ দেশটিকে নারী-পুরুষের সমতার ক্ষেত্রে প্রায়ই আদর্শ উদাহরণ বলা হয়। দেশটির প্রধানমন্ত্রী সান্না মারিনও বিশ্বজুড়ে লিঙ্গ-সমতা অর্জনের লড়াইয়ের অন্যতম বড় আইকন। তিনিই তার চেয়ার একদিনের জন্য আভাকে দিয়েছিলেন বলে বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বুধবার আভার নতুন কোনো আইন বানানোর সুযোগ না থাকলেও মন্ত্রিসভার সদস্য এবং রাজনীতিবিদদের সঙ্গে সরকারপ্রধানের মতোই বৈঠক করেছেন। তার এ বৈঠকগুলোতে মূলত প্রযুক্তিখাতে নারীদের অধিকার প্রসঙ্গটি অগ্রাধিকার পায়। বিবিসি জানিয়েছে, ১১ অক্টোবর আন্তর্জাতিক কন্যাশিশু দিবসকে সামনে রেখে ফিনল্যান্ডে একদিনের জন্য এ ক্ষমতার হাতবদল ঘটে। কন্যা শিশুদের অধিকার তুলে ধরতে জাতিসংঘ প্রতিবছর এই দিবসটি পালন করে। ফিনল্যান্ড গত চার বছর ধরে প্ল্যান ইন্টারন্যাশনালের ‘গার্লস টেকওভার’ কর্মসূচি পালন করে আসছে। এই কর্মসূচিতে সারা বিশ্বের কিশোরী ও তরুণীদের একদিনের জন্য রাজনীতি, ব্যবসা এবং অন্যান্য খাতের প্রধান হিসেবে একদিনের জন্য দায়িত্ব পালনের সুযোগ দেওয়া হয়। চলতি বছরের কর্মসূচিতে মেয়েদের জন্য ডিজিটাল দক্ষতা এবং প্রযুক্তিখাতে সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির ওপর জোর দেয়া হচ্ছে। “বাস্তবতা হলো আমরা এখনও লিঙ্গ-সমতা অর্জন করতে পারিনি। বিশ্বের কোথাও এটা হতে পারেনি। এ ক্ষেত্রে আমাদের অনেক অগ্রগতি হয়েছে ঠিকই, কিন্তু এখনও আরও অনেক কাজ বাকি রয়ে গেছে,” বুধবার এক বৈঠকে এমনটাই বলেন ফিনল্যান্ডের ‘একদিনের প্রধানমন্ত্রী’ আভা। পরিবেশ এবং মানবাধিকার সংক্রান্ত বিভিন্ন আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত এ কিশোরী বুধবার সন্ধ্যায় সান্না মারিনের সঙ্গে তার সারাদিনের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন। প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বের সাময়িক হাতবদলের আগে আগে মারিন এক ভাষণে প্রযুক্তিখাতে সবার সমান অধিকারের গুরুত্ব তুলে ধরেন। গত বছর সারা বিশ্বে লিঙ্গ-সমতার ওপর বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরাম যে তালিকা তৈরি করেছিল, সেই তালিকায় ফিনল্যান্ডের অবস্থান ছিল তৃতীয়। মারিন ফিনল্যান্ডের গত বছরের নির্বাচনে জিতে বিশ্বে সবচেয়ে কম বয়সী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। ওই সময় তার বয়স ছিল ৩৪ বছর। তার নেতৃত্বাধীন জোট সরকারে যে চারটি দল রয়েছে তার তিনটির প্রধানও নারী।