ফকিরহাটে মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলা করায় আই জি পি বরাবর অভিযোগ দায়ের

0
168

ফকিরহাট প্রতিনিধি:
বাগেরহাটের ফকিরহাট মডেল থানার এসপি সার্কেল, ওসি এবং একটি কুচক্রী মহলের যোগসাজশে সাংবাদিককে নাটক সাজিয়ে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক চাঁদাবাজি মামলা দিয়ে এলাকা ছাড়ার অভিযোগে পুলিশের আইজিপি বরাবর অভিযোগ দায়ের করেছে ভুক্তভোগী পরিবারারের সদস্য। যার সিরিয়াল নং ৬১৮, তারিখ ২৭/৫/২০২১।

লিখিত অভিযোগে তিনি বলেন, আমার বড় ভাই শেখ সিহাব উদ্দিন রুবেল দীর্ঘদিন ধরে বাগেরহাট জেলায় আনন্দ টিভির জেলা প্রতিনিধি, দৈনিক আমাদের সময়, দৈনিক নওয়াপাড়া পত্রিকায় সুনামের সাথে কাজ করে আসছে। সেই সাথে প্রেসক্লাব ফকিরহাট এ সভাপতির দ্বায়ীক্ত পালন করে আসছে এবং মাদকের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর জিরোটলারেন্স ঘোষণা ও পুলিশ র‌্যাব এর অভিযানের সিংহ ভাগ নিউজ করায় ফকিরহাট উপজেলার অসাধু মাদক ব্যাবসায়ী ফকিরহাট উপজেলার আট্টাকি গ্রামের মৃত মুনতাজ শেখের পুত্র শেখ ফারুক হোসেনসহ একটি কুচক্রী মহল এসপি সার্কেল ছয়রুদ্দিন আহমেদ এর যোগসাজশে আমার ভাইকে এবং তার সহকারী সাংবাদিক মেহেদী হাসান নয়নকে মারধর সহ মিথ্যা মামলায় দেওয়ার পাঁয়তারা করে আসিতেছে।

আমার ভাই এ ব্যাপারে ফকিরহাট মডেল থানার ওসি আবু সাইদ মোঃ খায়রুল আনাম ও সার্কেল এসপি কে জানাই এবং লিখিত অভিযোগ দিতে চাইলে ওনারা তাকে বলেন অভিযোগ লাগবেনা বিষয় টি আমরা দেখতেছি। গত ইংরেজি ১৮ই মে, ২০২১ ইং তারিখ ফকিরহাট মডেল থানাধীন একটি অপহরণ মামলার আসামি র‌্যাব অভিযানে গ্রেফতার হয়। ঐ নিউজ সে পত্রিকায় পাবলিস্ট করে। উপরোক্ত ফারুক হোসেন এসপি সার্কেলের যোগসাজশে ঐ আসামি নাটকীয় কায়দায় আসামি ছাড়িয়ে আনার কথাবলে তার পিয়ন বিল্লাল কে দিয়ে ভুক্তভোগী রাবেয়া খাতুন ও তার পরিবারের সদস্যদের টাকার প্রস্তাব দেয়। ইংরেজি ২০/০৫/২০২১ ইং তারিখ সন্ধার পরে নাটক সাজিয়ে (শাওন) এবং (আরিফ) নামের দুই যুবককে চাঁদার টাকা আনতে পাঠায় ভুক্তভোগীদের বাড়িতে এবং তারা সেখানে পৌঁছালে তাদের হাতে চার হাজার টাকা দিয়ে নাটকীয় কায়দায় স্থানীয় দুইজন সাংবাদিক পূর্বে থেকে এনেরেখে তাদের সেই টাকা গ্রহণের ভিডিও ধারন করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোষ্ট করে এবং ফকিরহাট মডেল থানার এসআই মোস্তফাকে ডেকে তাদের ধরিয়ে দেয়।

কৌশলে পুলিশের সামনে আমার ভাইয়ের নাম বলায় ও ভিডিও ধারণ করে থানায় নিয়ে যায়। এবং রাবেয়া খাতুনকে দিয়ে একটি চাঁদাবাজির অভিযোগ দায়ের করে। সেখানে তিনি উল্লেখ করেন সাংবাদিক সিহাব উদ্দিন রুবেল শাওন এবং আরিফকে দিয়ে আমাদের বাড়িতে টাকা আনতে পাঠায়। আমার ভাই সাংবাদিক সিহাব উদ্দিন রুবেল এই খবর জানতে পেরে থানায় যায় এবং ওসি সাহেবকে জানায় ওসি সাহেব তাকে আশ্বস্ত করেন সত্যতা যাচাইপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব এবং ৪৫ ঘন্টা ধরে আটক দুই যুবককে নিয়ে থানায় চলে বিভিন্ন নাটক। এক পর্যায়ে থানায় আটক দুই যুবকের পরিবার আলাদা আলাদা বাদী হয়ে রাবেয়া বেগম ও তার পরিবারের নামে দুটো অভিযোগ দায়ের করেন।

সেখানে তারা উল্লেখ করেন তাদের ছেলেকে রাবেয়া বেগমের বোন জামাই মুন্না তাদের বাড়িতে ঢেকে নিয়ে তাদের হাতে টাকা ধরিয়ে দিয়ে সাংবাদিক সিহাব উদ্দিন রুবেলকে ফাসানোর নাটক সাজিয়ে পুলিশ দিয়ে আটক করে। আটকের ৪৮ ঘন্টা পর দুই পরিবারের লোকদের নিয়ে থানায় একটি মিটিং করে সেখানে দুই পক্ষের সমঝোতায় প্রায় ৪ লক্ষ টাকা ঘুষ লেনদেনের বিনিময়ে আটক দুই যুবকে থানা থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এবং সাংবাদিক সিহাব উদ্দিন রুবেল এবং মেহেদী হাসান নয়নসহ অজ্ঞাতনামা চার থেকে পাঁচজনকে আসামী করে একই ঘটনায় একই পরিবারের অন্য একজন বাদী হয়ে মিথ্যা ও বানোয়াট চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করে। মামলা দায়েরের পর ফেইসবুকে সেই দুই সাংবাদিক যাদের ফেইসবুকে পোষ্ট দিয়ে ছিল দুই যুবক চাঁদার টাকাসহ হাতেনাতে আটক, তারা সেটা ফেইসবুক থেকে মুছে দেয়। কিš‘ তখন তাদের দেওয়া দুই যুবক আটকের পোষ্ট স্ক্রীনশট দিয়ে রাখা যেটা প্রমানস্বরূপ সংযুক্তি আকারে দেওয়া হলো।
উল্লেখ্য সরজমিনে চাঁদার টাকাসহ আটক দুই যুবককে ঘুষের বিনিময়ে আটকের ৪৮ ঘন্টা পরে ছেড়ে দিয়ে কিভাবে দুই সাংবাদিকের নমে মামলা হয় এই বিষয়টা সরজমিনে সঠিক তদন্ত করলে আসল রহস্য বেরিয়ে আসবে।
প্রকাশ থাকে যে থানায় এজাহার প্র¯‘তির সময় সাংবাদিক মেহেদী হাসান নয়ন থানায় ছিলো সেই প্রমান চাইলে থানার সিসি টিভি ফুটেজে পাওয়া যাবে। ফারুক হোসেন তাকে উপজেলার মোড়ে জেতে বলে। একই সময়ে মিথ্যা মামলা পরিকল্পনাকারী ফারুক হোসেন ও তার সহকারীরা থানায় ছিলো যেটা সিসি ফুটেছে মিলবে। কার ইশারায় মেহেদী হাসান নয়নকে থানা থেকে চলে যেতে বলা হয়? নয়ন উপজেলার আসার কিছু সময় পরেই উপজেলার মোড় এবং আট্টাকার স্কুল মাঠে ফারুক হোসেন ও তার সহযোগীরা দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে যায়। এবং দুই সাংবাদিক সিহাব উদ্দিন রুবেল এবং মেহেদী হাসান নয়ন এর উপর হামলা চালায় সাংবাদিক রুবেল কৌশলে জীবন ও সম্মান বাচাতে ঘটনা স্থান থেকে সরে যায়। সাংবাদিক নয়নকে ধরে পুলিশের গাড়ীতে উঠিয়ে দেয়। এতো নাটকের পরেও এই ফারুক ও তার সহকারীরা আমাকে কেস মামলা সহ মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে এব্যাপারে আমি নিজে বাদী হয়ে ফকিরহাট মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছি যার নং ১০০৯ তারিখ ইং ২৬/৫/২০২১। আমি আই জি পি বাংলাদেশ বরাবর অভিযোগ করে সঠিক তদন্তের দাবী করছি এভাবে যেন কোনো সাংবাদিক ও তার পরিবারের হয়রানি না হতে হয় এদেশের কোনো মানুষকে ই যেনো হয়রানি না হতে হয় এবং পুলিশ কে দিয়ে পুলিশের সম্মান যেনো কোনো কুচক্রী মহলই ঘটাতে না পারে আমরা পুরো পরিবার এখন ভিতির ভিতর দিন রাত্রি যাপন করেছি

খুলনা টাইমস/এমআইআর