পাইকগাছায় নিয়োগকে কেন্দ্র করে প্রধান শিক্ষক ও তার পরিবারকে হেনেস্তার চেষ্টা

0
287

পাইকগাছা প্রতিনিধি: পাইকগাছায় খড়িয়া নবারুন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অফিস সহায়ক ও দপ্তরী পদে নিয়োগকে কেন্দ্র করে প্রধান শিক্ষক ও তার পরিবারকে কথিত অভিযোগে হেনেস্তা করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, সম্প্রতি স্কুল ম্যানেজিং কমিটি নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল করে পুনঃনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিলে প্রার্থী ও স্কুল ম্যানেজিং কমিটির মধ্যে কথা চালাচালি শুরু হয়েছে। চলছে পাল্টাপাল্টি বক্তব্য।
জানা গেছে, ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে লস্কর ইউপির খড়িয়া নবারুন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অফিস সহায়ক ও ২০১৮ সালে দপ্তরী পদ শূন্য হয়। এরপর কর্তৃপক্ষ ২টি পদের জন্য দু’দফা নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করলেও নিয়োগ হয়নি। এর পিছনে বিভিন্ন কারণ রয়েছে তা অনুসন্ধান করে একটি বিশ্বস্ত সূত্র জানিয়েছেন, প্রধান শিক্ষক, সভাপতি ও ম্যানেজিং কমিটির অন্যান্য সদস্যের নিজস্ব প্রার্থী থাকায় সিদ্ধান্ত হীনতার কারণে চুড়ান্ত নিয়োগ দিতে পারেনি। এদিকে, স্কুল কর্তৃপক্ষ পুনঃনিয়োগ বিজ্ঞপ্তির সিদ্ধান্ত নিলে প্রধান শিক্ষক ও তার পরিবারকে জড়িয়ে ভারতীয় নাগরিক উল্লেখ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সহ গত ৮ ফেব্রুয়ারি কয়েকটি আঞ্চলিক দৈনিকে খবর প্রকাশিত হলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ম্যানেজিং কমিটির অনেক সদস্য, শিক্ষক সহ অনেকেই জানিয়েছেন, স্কুলের নিয়োগ নিয়ে বিরোধিতার খাতিরে প্রধান শিক্ষক ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে এ ধরণের অভিযোগ এনে তা পত্রিকায় প্রকাশ করা আদৌ ঠিক হয়নি বলে মন্তব্য করেন। এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক দিপক চন্দ্র সরকার জানান, আমার পরিবারটি প্রতিহিংসার শিকারে পরিণত হয়েছে। যেখানে স্কুল কর্তৃপক্ষ সর্বসম্মতিক্রমে নিয়োগ বাতিল করে পুনঃনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, সেখানে একটি স্বার্থান্বেষীমহল এলাকায় বিশৃংখলা সৃষ্টি করতে পাঁয়তারা করছেন। তিনি আরো বলেন, আমি বিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠাকালিন প্রধান শিক্ষক। এদেশে আমার জন্ম ও বেড়ে ওঠা। ভারতীয় নাগরিক উল্লেখ করে আমার পরিবারকে মিথ্যাভাবে হয়রানী করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন।