পরীক্ষা ছাড়াই আইনজীবী বিচারপতির ছেলে : রুলের শুনানি ১৪ অক্টোবর

0
167

টাইমস ডেস্ক :
বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হয়েও এক বিচারপতির ছেলেকে সরাসরি হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে গেজেট প্রকাশ সংক্রান্ত রুলের ওপর শুনানি চলছে। এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ১৪ অক্টোবর দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট। এর আগে এ বিষয়ে রুল জারি করেছিলেন উচ্চ আদালত। রুলে পরীক্ষা ছাড়া হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবে গেজেট প্রকাশ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চাওয়া হয়েছিল। গতকাল রোববার হাইকোর্টের বিচারপতি গোবিন্দ্র চন্দ্র ঠাকুর ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে গতকাল রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার অনীক আর হক। অন্যদিকে বিচারপতির ছেলের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার এম. আমীর উল ইসলাম। এর আগে গত ১৮ ডিসেম্বর ওই বিচারপতির ছেলেকে সরাসরি হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবে জারি করা গেজেটের কার্যক্রম স্থগিত করেন উচ্চ আদালত। একই সঙ্গে বিচারপতির ছেলেকে সরাসরি হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্তি দিয়ে প্রকাশিত গেজেট প্রকাশ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত। হাইকোর্টের বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ ওইদিন এ আদেশ দেন। এর আগে গত ২১ ও ২৮ নভেম্বর এবং গত ১১ ও ১৫ ডিসেম্বর হাইকোর্টের মোট চারটি বেঞ্চ ওই রিট শুনতে অপারগতা প্রকাশ করেছিলেন। সর্বশেষ গত ১৫ ডিসেম্বর বিচারপতি তারিক উল হাকিমের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বিভাগ রিটটি শুনতে সম্মতি প্রকাশ করেন। গত ২১ নভেম্বর আইনজীবী অন্তর্ভুক্তির পরীক্ষা বারবার দিয়েও উত্তীর্ণ হতে না পারার পরও একজন বিচারপতির ছেলেকে সরাসরি হাইকোর্টের আইনজীবী ঘোষণার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট দায়ের করা হয়। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন ও ইশরাত হাসান বাদী হয়ে এ রিট দায়ের করেন। রিট আবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের পরীক্ষায় কয়েক বার অংশ নিয়েও কৃতকার্য হতে পারেননি হাইকোর্টের এক বিচারপতির ছেলে মো. জুম্মান সিদ্দিকী। অথচ গত ১৯ সেপ্টেম্বর জুম্মান সিদ্দিকীকে সরাসরি হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে গত ৩১ অক্টোবর গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। রিটে ওই গেজেট এবং ১৯৭২ সালের বাংলাদেশ বার কাউন্সিল অর্ডারের ২১(১)(খ) ও ৩০(৩) ধারা চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। জুম্মান সিদ্দিকীসহ বার কাউন্সিলের সংশ্লিষ্টদের রিটে বিবাদী করা হয়।