নফল নামাজ পড়া যখন মাকরুহ

0
1294

খুলনাটাইমস ধর্মপাতা: দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ। এতে মোট সতেরো রাকাত নামাজ (ফরজ) রয়েছে। এ ছাড়া বাকি নামাজগুলো ওয়াজিব, সুন্নতে মুআক্কাদা ও নফলে বিভক্ত। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের আগে-পরে নির্ধারিত নফল নামাজ রয়েছে।
কিছু নফল নামাহ হলো- তাহাজ্জুদ, ইশরাক, চাশত ও আউওয়াবিনের নামাজ। এ ছাড়া আরও কিছু অনির্ধারিত নফল নামাজ রয়েছে। তবে কিছু সময়ে নফল নামাজ আদায় করা মাকরুহ। সে সময়গুলো উল্লেখ করা হলোÑ
ক্স ফজর উদয় হওয়ার পর দুই রাকাত সুন্নত থেকে অতিরিক্ত পড়া মাকরুহ। (মুসলিম, হাদিস: ১১৮৫)
ক্স ফজর নামাজের পর সূর্য উদয় হওয়া পর্যন্ত নফল বা সুন্নত নামাজ পড়া মাকরুহ। (বুখারি, হাদিস: ৫৫১)
ক্স আসরের পর সূর্যাস্ত পর্যন্ত নফল নামাজ পড়া মাকরুহ। (বুখারি, হাদিস: ৫৫১)
ক্স ইমাম যখন জুমার খুতবার জন্য বের হন, তখন থেকে ফরজ নামাজ থেকে ফারেগ হওয়া পর্যন্ত নফল নামাজ পড়া মাকরুহ। (কানযুল উম্মাল: ২১২১২)
ক্স ইকামাতের সময়। (মুসলিম, হাদিস: ১১৬০)
তবে ফজরের সুন্নতের অত্যধিক গুরুত্বের কারণে ইকামাতের পরও মসজিদের কোনো কোণে তা আদায় করতে বলা হয়েছে; যদি দ্বিতীয় রাকাত পাওয়ার পুরোপুরি সম্ভাবনা থাকে। (মুসলিম, হাদিস: ১১৯৩; বুখারি, হাদিস: ১০৯৩)
ক্স সময় যদি এত কম হয় যে, সুন্নত পড়তে গেলে ফরজ নামাজ শেষ হয়ে যাবে; তাহলে সুন্নত পড়া মাকরুহ।
ক্স খুব ক্ষুধা এবং খানার প্রতি তীব্র চাহিদা হলে ওই অবস্থায় নফল নামাজ পড়া মাকরুহ। কেননা এর ফলে খাবারের সঙ্গেই মন লেগে থাকবে; নামাজের সঙ্গে নয়। (মুসলিম, হাদিস: ৮৬৯)
ক্স মল-মূত্রের বেগ হলে। (মুসলিম, হাদিস: ৮৬৯)
ক্স এমন কোনো বস্তুর উপস্থিতিতে, যে বস্তু নামাজ থেকে বিমুখকারী এবং খুশু-খুজুতে ব্যাঘাত সৃষ্টিকারী। (মুসলিম, হাদিস: ৮৬৯)
ক্স ঈদের নামাজের আগে নফল নামাজ পড়া মাকরুহ।
ক্স ঈদের নামাজের পর ঘরেও কোনো নামাজ নেই, ঈদগাহেও নেই। (ইবনে মাজাহ: ১২৮৩; মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা: ২/১৭৮, ১৭৯; মুসনাদে আহমাদ, হাদিস: ৩১৬২)
ক্স আরাফার ময়দানে, বিশেষ করে হজযাত্রীদের জন্য জোহর আর আসরের মধ্যবর্তী সময়ে নফল নামাজ পড়া মাকরুহ। মুজদালিফায় বিশেষ করে হজযাত্রীদের জন্য মাগরিব ও এশার মধ্যবর্তী সময়ে। (মুসলিম, হাদিস: ১২৩৭; বুখারি, হাদিস: ১৫৬২; নাসায়ি, হাদিস: ৬৫৪)