টুঙ্গিপাড়ায় স্বাস্থ্য সহকারীদের আত্মসাতকৃত টাকা ফেরত দিলেন সেই কর্মকর্তা

0
560

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ  সংবাদ প্রকাশের জেরে ও নিজের অপকর্ম ঢাকতে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের পরিবার পরিকল্পনা স্বাস্থ্য সহকারীদের নৌকা ভাড়ার টাকা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ফেরত দিলেন গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার সেই সহকারী পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা এস,এম হুমায়ন কবীর। যে টাকাটা তিনি আত্মসাত করছিলেন।

জানা যায়, সহকারী পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা এস,এম হুমায়ন কবীর দৌড়ঝাপ শেষে পূনরায় গােপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় ফিরে এসেছেন। তবে তিনি বদলিকৃত কর্মস্থলে যোগদান না করায় নিয়ম অনুযায়ী অব্যাহতি হিসাবে গন্য হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার ২২ জন পরিবার পরিকল্পনা স্বাস্থ্য সহকারীদের বরাদ্দকৃত সেই নৌকা ভাড়ার টাকা কর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে বন্টন করেন এস,এম হুমায়ন কবীর। তখন তিনি স্বাস্থ্য সহকারীদের থেকে কোনো তারিখ উল্লেখ না করেই ভাউচারে সই নেন।

বৃহস্পতিবার এস,এম হুমায়ন কবীর স্বাস্থ্য সহকারীদের টাকা ফেরত দিয়েছেন এমন খবর পেয়ে কুশলী ইউনিয়নের স্বাস্থ্য সহকারী নাইস আক্তারের মুঠোফােনে কল করলে তিনি জানান, তাদের জন্য ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে নৌকা ভাড়া বাবদ যে টাকা বরাদ্দ হয়েছিল সেই হিসাবে তিনি তার প্রাপ্য টাকা পেয়েছেন। তবে কত টাকা পেয়েছেন জানতে চাইলে তিনি তা বলতে চাননি। টাকা পেয়ে কত তারিখের ভাউচারে সই দিয়েছেন  জানতে চাইলে তিনি বলেন এটা অফিসের ব্যাপার আপনাকে বলা যাবেনা।

কিন্তু নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক স্বাস্থ্য সহকারী জানান, সবার কাছে তিনি তার ভূল স্বীকার করে ১০১৭-১৮ অর্থবছরের বরাদ্দকৃত নৌকা ভাড়ার টাকা সবাইকে ফেরত দিয়েছেন। টাকা পেয়ে সবাই ভাউচারে সই করেছেন কিন্তু তাতে কোনো তারিখ লেখা ছিলনা। তিনি আরাে বলেন, স্বাস্থ্য সহকারীরা কেউ ৪ হাজার, আবার কেউ  ২০০০ থেকে ২৫০০ টাকা করে পেয়েছেন।

এবিষয়ে সেই অব্যাহতি প্রাপ্ত সহকারী পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা এস,এম হুমায়ন কবীরের মুঠােফােনে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেনি।

এব্যাপারে গোপালগঞ্জ জেলা পরিবার পরিকল্পনার উপ-পরিচালক মাজাহুরুল হক চৌধুরির বক্তব্য নিতে তার মোবাইলে কল করা হলে তিনিও ফোনটি রিসিভ করননি।

উল্লেখ্য, এস,এম হুমায়ন কবীরকে নানাবিধ দূর্নিতীর দায়ে গত ৫ই সেপ্টেম্বর টুঙ্গিপাড়া থেকে ভােলার চরফ্যাশান উপজেলায় তাৎক্ষনিক বদলি (স্টান্ড রিলিজ) করে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর। তার গত ১১ ই সেপ্টেম্বর সেখানে যােগদান করার কথা থাকলেও  তিনি সেখান যোগদান করেননি।

এদিকে তার নানাবিধ দূর্নীতি নিয়ে গনমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। তারই জের ধরে তিনি অফিসের কয়েকজন কর্মীর সহায়তায় পূর্বেই তার কিছু অপকর্ম ঢাকতে চেষ্টা করেন।
সর্বশেষ বৃহস্পতিবার পরিবার পরিকল্পনা স্বাস্থ্য সহকারীদের নৌকা ভাড়ার আত্মসাতকৃত টাকা তাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ফেরত দেন। তাদের নৌকা ভাড়া বাবদ ১৭-১৮ অর্থবছর ৯৬ হাজার টাকা বরাদ্দ ছিলো।