টুঙ্গিপাড়ায় প্রধান শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ

0
154

টুঙ্গিপাড়া প্রতিনিধি:
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় কুশলী ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি অহিদুজ্জামান শিকদার ডাবলু’র বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর এলাকাবাসীর পক্ষে ১০ জন ক্যাসমেট এরিয়ার সদস্য ও অভিভাবকবৃন্দ লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগ স‚ত্রে জানা যায়, কুশলী ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদ শ‚ন্য হওয়ায় বিধি মোতাবেক প্রধান শিক্ষক নিয়োগের কার্যক্রম চলছে। কিন্তু ঐ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি অহিদুজ্জামান শিকদার মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে গোপালগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক আনিচুর রহমানকে নিয়োগ দেওয়ার জন্য জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন। এই উদ্দেশ্য সফল করার জন্য ডিজির প্রতিনিধি হিসাবে তার আত্মীয় কাশিয়ানীর এম এ খালেক সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা সৈয়দা আলেয়া বেগমকে নিয়ে কাজ করার পরিকল্পনা করছে। অথচ জাতির জনকের জন্ম ভ‚মিতে দুটি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় থাকতেও তাদেরকে প্রতিনিধি করেননি। এবিষয়ে বিদ্যালয়ের ছাত্রের অভিভাবক নজরুল গাজী ও বাবু শেখ সহ একাধিক ব্যাক্তি জানান, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি কুশলী ইচ্ছামতো বিদ্যালয় পরিচালনা করে। নিয়োগে প্রধান শিক্ষক পদে মোট ৬ জন প্রার্থী আবেদন করেছেন। কিন্তু তার আত্মীয়ের যোগসাজে ১০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে প্রধান শিক্ষক হিসাবে আনিচুর রহমানকে নিয়োগের জন্য পায়তারা করছে। আমরা চাই নিয়োগটি ম্যানেজিং কমিটির মাধ্যমে না হয়ে সরকারি প্রতিনিধির মাধ্যমে হোক। কুশলী ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি অহিদুজ্জামান শিকদার ডাবলু মুঠোফোনে জানান, ডিজির প্রতিনিধি হিসাবে যাকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে তিনি তার বাবার বোন। শিক্ষা কর্মকর্তাকে চিঠি না দিয়ে ও নিয়োগের বানিজ্যের বিষয়ে জানতে চাইলে কৌশলে এড়িয়ে গিয়ে বলেন, বৃহস্পতিবার নিয়োগের পরীক্ষা হবে, আপনারা (সাংবাদিকরা) আমন্ত্রিত বলে কলটি কেটে দেন। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শাহ-জালাল বলেন, নিয়োগ পরিক্ষার বিষয়ে আমাকে লিখিত ভাবে না জানিয়ে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মৌখিক ভাবে জানিয়েছেন। প্রধান শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে উপজেলার সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাধারনত ডিজির প্রতিনিধি হিসাবে দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত থাকেন। যদি উপজেলায় সরকারি বিদ্যালয় না থাকে সেক্ষেত্রে পার্শবর্তী উপজেলার প্রধান শিক্ষক দ্বায়িত্বে থাকতে পারেন। কিন্তু টুঙ্গিপাড়া উপজেলায় দুইটি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় থাকতেও কাশিয়ানি উপজেলার একজন প্রধান শিক্ষককে ডিজির প্রতিনিধি কিভাবে দিয়েছে সেটা বোধগম্য না। এছাড়া নিয়োগের দূর্নীতি ও অনিয়মের বিষয়ে এলাকাবাসীর লিখিত অভিযোগের অনুলিপি পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেয়া হবে। এবিষয়ে টুঙ্গিপাড়া ইউএনও একেএম হেদায়েতুল ইসলাম বলেন, এলাকাবাসীর লিখিত অভিযোগের অনুলিপি পেয়েছি। মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে তদন্ত করে সঠিক ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য বলা হয়েছে।