টানা দ্বিতীয় দিনে করোনায় ১০১ জনের মৃত্যু

0
130

টাইমস ডেক্স:দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১০১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে টানা দ্বিতীয় দিনে একই সংখ্যক মৃত্যু হলো। মৃতদের মধ্যে ৬৯ জন পুরুষ ও ৩২ জন নারী। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ২৮৩ জন। একই সময়ে নতুন করে করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৪৭৩ জন। এ নিয়ে শনাক্ত হওয়া মোট রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ৭ লাখ ১৫ হাজার ২৫২ জন। একই সময়ে সুস্থ হয়েছেন ৫ হাজার ৯০৭ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ হয়ে উঠা রোগীর সংখ্যা ৬ লাখ ৮ হাজার ৮১৫ জন। গতকাল শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নতুন মৃত্যুবরণকারী ১০১ জনের মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৯৯ জন ও বাসায় দুইজনের মৃত্যু হয়। এদের মধ্যে বিশোর্ধ তিনজন, ত্রিশোর্ধ্ব তিনজন, চল্লিশোর্ধ্ব আটজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ২৯ জন এবং ষাটোর্ধ ৫৮ জন রয়েছেন। একই সময়ে বিভাগওয়ারি দেখা গেছে, মৃত ১০১ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৬৭ জন, চট্টগ্রাম ২৩ জন, রাজশাহী দুইজন, খুলনা তিনজন, বরিশাল একজন, সিলেট দুইজন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে তিন। একই সময়ে দেশের সরকারি ও বেসরকারি ২৫৭টি ল্যাবরেটরি ১৫ হাজার ৪১৩টি নমুনা সংগ্রহ ও ১৬ হাজার ১৮৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নমুনা পরীক্ষায় ৩ হাজার ৪৭৩ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ২১ দশমিক ৪৬ শতাংশ। আর একই সময়ে সুস্থতার হার ৮৫ দশমিক ১২ শতাংশ। এদিকে দেশে গত এক সপ্তাহে কমেছে করোনা (কোভিড-১৯) পরীক্ষা। সেই সঙ্গে কমেছে শনাক্তকৃত রোগীর সংখ্যাও। তবে একই সময়ে বেড়েছে মৃত্যু ও সুস্থ হয়ে উঠা রোগীর সংখ্যা। গত এক সপ্তাহে অর্থাৎ চলতি বছরের এপিডেমিওলজিক্যাল ১৫তম সপ্তাহে (১১ থেকে ১৭ এপ্রিল) করোনা আক্রান্ত সন্দেহে এক লাখ ৭৭ হাজার ১৭৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এসব নমুনা পরীক্ষায় ৩৬ হাজার ৩১৫ জন রোগী শনাক্ত হয়। একই সময়ে ৩৬ হাজার ৪৩৭ জন সুস্থ এবং ৬২২ জনের মৃত্যু হয়। এর পূর্ববর্তী ১৪তম এপিডেমিওলজিক্যাল সপ্তাহে (৪ এপ্রিল থেকে ১০ এপ্রিল) করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে দুই লাখ ২০ হাজার ৮২৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এসব নমুনা পরীক্ষায় ৪৮ হাজার ৬৬০ জন রোগী শনাক্ত, ২২ হাজার ৬০৩ জন সুস্থ এবং ৪৪৮ জনের মৃত্যু হয়। গত এ দুই সপ্তাহের তুলনামূলক বিশ্লেষণে দেখা যায়, শতাংশের হিসেবে নমুনা পরীক্ষা ১৯ দশমিক ৭৭ শতাংশ ও শনাক্ত ২৫ দশমিক ৩৭ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। একই সময়ে মৃত্যু ৩৮ দশমিক ৮৪ শতাংশ এবং সুস্থতা ৬১ দশমিক ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।