ঘূর্ণিঝড় ইয়াস : খুলনায় প্রস্তুত ১১৪ মেডিকেল টিম

0
193

টাইমস ডেস্ক:
বাংলাদেশ উপকূলে আগামী মঙ্গলবারের পর ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ আঘাত হানতে পারে। বিগত ঘূর্ণিঝড়ে খুলনার উপকূলীয় অঞ্চলের মধ্যে সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত কয়রা, দাকোপ, পাইকগাছা। উপকূলীয় জনগোষ্ঠীকে জলোচ্ছ্বাস থেকে বাঁচাতে প্রস্তুত করা হচ্ছে ৮১৪টির বেশি আশ্রয়কেন্দ্র। সেইসঙ্গে প্রস্তুত রয়েছে ১১৪টি মেডিকেল টিম। আবহাওয়া অফিস বলছে, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তার আশপাশের এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এটি ঘনীভূত হয়ে নিম্নচাপ তৈরি হবে, যা পরবর্তীতে গভীর নিম্নচাপ ও ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। যেটি বাংলাদেশ উপকূলে আগামী মঙ্গলবারের পর আঘাত হানতে পারে। আবহাওয়াবিদরা মনে করছেন, দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে ঘূর্ণিঝড় বেশি শক্তিতে আঘাত হানতে পারে।

এখনও নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না ঘূর্ণিঝড়টি কোন কোন এলাকায় আঘাত হানতে পারে। তবে সুন্দরবনের দক্ষিণ পাশ দিয়ে ঘূর্ণিঝড়টি বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি রয়েছে। আবার দিক পরিবর্তনও হতে পারে। জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আজিজুল হক জোয়ার্দ্দার বলেন, ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ মোকাবিলায় শনিবার পর্যন্ত ৩৪৯টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। গত বছর ৮১৪টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছিল; এবার আরও বেশি সংখ্যক আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হবে। কোভিড-১৯ এর কারণে সংক্রমণ রোধে আশ্রয়কেন্দ্রের সক্ষমতার অর্ধেক মানুষকে একটি কেন্দ্রে রাখা হবে।

একইসঙ্গে প্রতিটি উপজেলায় পাঁচটি ও প্রত্যেক ইউনিয়নে একটি করে মোট ১১৪টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত করা হয়েছে। যারা চিকিৎসা সেবা দেবেন। এ ছাড়া পর্যাপ্ত পরিমাণে শুকনো খাবার, অর্থ, চাল-ডাল প্রস্তুত রয়েছে। সরকারি নিদের্শনা মোতাবেক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে। আতঙ্ক নয়, উপকূলবাসীকে সজাগ ও সতর্কতার মাধ্যমে দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি কমানোর জন্য আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। তিনি আরও বলেন, শুক্রবার জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির এক সভায় ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ মোকাবিলায় বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।

খুলনা টাইমস/এমআইআর