খুলনা কর বিভাগ করদাতাদের বন্ধু হতে চায়

0
373
????????????????????????????????????

নিজস্ব প্রতিবেদক:
কর বিভাগ করদাতাদের প্রতিদ্বন্দ্বী নয় বরং বন্ধু। খুলনা কর বিভাগও করদাতাদের বন্ধু হতে চায়। কর প্রদানের মাধ্যমে দেশের উন্নয়নে অবদান রাখার পাশাপাশি অর্জিত সম্পদের বৈধতা নিশ্চিত হয়। জনসাধারণের মাঝে কর প্রদানের ইতিবাচক মানসিকতা সৃষ্টি ও উৎবসমুখর পরিবেশে কর আদায়ের লক্ষ্যে আগামী ১৪ থেকে ২০ নভেম্বর খুলনা বিভাগীয় মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্সে সাত দিনব্যাপী আয়কর মেলা ও সেরা করদাতা সম্মাননা প্রদান উপলক্ষ্যে গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে মতবিনিময় সভায় খুলনা কর অঞ্চলের কর কমিশনার প্রশান্ত কুমার রায় এসকল কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ২০১৮-১৯ করবর্ষে খুলনা কর অঞ্চলে দুই হাজার চারশত কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে যা পূর্ববর্তী বছরের চেয়ে ৩২ শতাংশ বেশি। ২০১৯-২০ অর্থ বছরে কর আদায়ের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা দুই হাজার আটশত ৪০ কোটি টাকার বিপরীতে প্রথম প্রান্তিকেই ছয়শত ২৯ কোটি টাকা আদায় করা হয়েছে। যা প্রথম চার মাসের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় ১৫ শতাংশ বেশি। ২৪ হাজার নতুন করদাতা সনাক্তকরণ লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ইতোমধ্যে ৩৪ হাজারে বেশি নতুন করদাতা টিআইএন নিবন্ধন গ্রহণ করেছেন। এ নিয়ে খুলনা কর অঞ্চলের মোট টিআইএন ধারীর সংখ্যা দাঁড়ালো প্রায় তিন লাখ ৬৫ হাজার। অনুষ্ঠানে আরও জানানো হয়, আগামী ১৪ থেকে ২০ নভেম্বর খুলনা বিভাগীয় মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্সে সাত দিনব্যাপী আয়কর মেলায় সহজ, ভোগান্তিমুক্ত ও উৎসবমুখর পরিবেশ নিশ্চিত করতে আয়কর মেলায় ৪২টি স্টল থাকবে। রিটার্ন জমা, নতুন টিআইএন গ্রহণ, ব্যাংকের বুথসহ সংশ্লিষ্ট সকল সেবা মেলার স্টলেই মিলবে।
এছাড়াও আগামী ১৩ নভেম্বর সকালে খুলনা সিটি ইন হোটেলে ২০১৮-১৯ করবর্ষে সর্বোচ্চ কর প্রদানকারী, সর্বোচ্চ কর প্রদানকারী তরুণ করদাতা, সর্বোচ্চ কর প্রদানকারী মহিলা করদাতা এবং দীর্ঘ সময় কর প্রদানকারীসহ খুলনা কর অঞ্চলের ৭৭জনকে সম্মাননা জানানো হবে। সম্মাননার জন্য নির্ধারিত করদাতারা হলেন খুলনা সিটি করপোরেশনের মোঃ আবু বকর শেখ, সৈয়দ আবু নাসের, খান সাইফুল ইসলাম, মোঃ আব্দুল হামিদ সরদার, এস, এম মনিরুজ্জামান শাহীন, কাজী সানোয়ার হোসেন ও মিজ সাবিত্রী আগরওয়ালা। খুলনা কর সার্কেলের মোঃ আব্দুল মজিদ সানা, মোঃ আনোয়ার ইকবাল, জিয়াউল আহসান, মোঃ শামীম আহসান, শেখ ইবাদত হোসেন, মোঃ নূর-এ-আলম সিদ্দিকী ও মিজ লায়লা আকতার। সাতক্ষীরা কর সার্কেলের বিশ্বজিৎ সাধু, মোঃ আবু হাসান, মোঃ আক্কাজ আলী, মোঃ আশিকুর রহমান (আশিক), দিপংকর কুমার ঘোষ, গোলাম আকবর ও মিজ নিলুফা ইয়াসমিন। বাগেরহাট কর সার্কেলের গৌর চন্দ্র সাহা, মিজ লিপিকা রানী দাস, রাম কৃষ্ণ বসু, মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, মীর রহমত আলী, মোঃ এখলাছুর রহমান ও মিজ পপি আক্তার। যশোর কর সার্কেলের মোঃ গোলাম মোরশেদ, মোঃ আনছারী হোসেন সোহেল, নিমাই চন্দ্র দত্ত, মোঃ নূর হোসেন, আবু নাসের সরকার,মোঃ তৌফিকুর রহমান ও মিজ রাফফাত আরা ডলি। কুষ্টিয়া কর সার্কেলের মোঃ ইবাদত আলী, মোঃ মজিবর রহমান, মোঃ মফিদুল ইসলাম খান, মোঃ পারভেজ রহমান, মিস সেলিমা বেগম, মোঃ জিয়াউল হক ও মিজ পারভীন রহমান। মাগুরা কর সার্কেলের খোন্দকার আমির হোসেন, মোঃ শাহীনুর রহমান পিকুল, মোঃ সামছুল হক, মকবুল হাসান মাকুল, মোঃ মেহেদী হাসান রাসেল, মোঃ ফয়সাল আহাম্মেদ ও ডাঃ সুপর্ণা আহমেদ। নড়াইল কর সার্কেলের মোঃ হুমায়ুন কবীর,এম, এম রেজাউল আলম,আজিজুর রহমান ভুইয়া, মোঃ ওয়াহিদুজ্জামান, জাহিদুল ইসলাম, মোঃ ইমদাদুল ইসলাম ও মিজ উম্মে রেজওয়ানা। ঝিনাইদহ কর সার্কেলের সৈয়দ শাহজাহান আলী, মোঃ মিজানুর রহমান লিটন, মোঃ ফজলুল করিম মিন্টু, নিখিল কুমার পাল, শামিম হোসেন মোল্লা, মোঃ রাশিদুর রহমান ও ডাঃ মোছাঃ মারফিয়া খাতুন। চুয়াডাঙ্গা কর সার্কেলের মোঃ শহিদুল হক মোল্লা, দিলিপ কুমার আগরওয়ালা, মোঃ খোরশেদ আলম, মিস সবিতা আগরওয়ালা, মিস সাইফুন্নাহার আক্তার শাম্মী, আবু তাহের মোঃ হাসানুজ্জামান ও মিস আক্তারী জোয়ার্দার। মেহেরপুর কর সার্কেলের মোঃ গিয়াস উদ্দিন, অজয় সুরেকা, মোঃ আবুল কাশেম, মোঃ আব্দুল হান্নান, মোঃ আব্দুস সামাদ বিশ্বাস, মোঃ আরিফ শেখ ও মিস হামিদা খানম।
অনুষ্ঠানে আরো জানানো হয়, ২০১৮ সালের খুলনা কর অঞ্চলের আয়কর মেলায় ৪২ কোটি আট লাখ ১৪ হাজার দুইশত ৪৬ কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ের পাশাপাশি এক হাজার চারশত ৫৩ জন নতুন করদাতা রিটার্ন দাখিল করেন। প্রসঙ্গত, বিভাগীয় শহর খুলনার ন্যায় খুলনা বিভাগের অবশিষ্ট নয়টি জেলা ও ছয়টি উপজেলায় অনুরূপ কর মেলা অনুষ্ঠিত হবে।