খুলনায় মূর্তিমান আতংক তারা-তারেক দুই ভাই

0
119

টাইমস রিপোর্ট:
খুলনার মূর্তিমান আতংকের নাম তারা ও তারেক। সম্পর্কে তারা আপন দুই ভাই। রূপসা সেতু থেকে জিরো পয়েন্ট হয়ে শিরোমনি এলাকা পর্যন্ত সিটি আউটার বাইপাস সড়কের দুই পাশে তাকালেই চোখে পড়বে ‘বিশ^াস প্রোপার্টিজ’ ও ‘নিউ বিশ^াস প্রোপার্টিজ’ নামের প্যানা ও বিল বোর্ড। এই দুটি প্রতিষ্ঠানের মালিক এক সময়ের ছাত্র শিবির কর্মী হিসেবে পরিচিত বর্তমানে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আজগর আলী বিশ^াস তারা ও তার ভাই তারেক বিশ^াস।

নগরীর রায়েরমহল এলাকার নিম্ববিত্ত পরিবারের সন্তান তারা। সরকারি ও ব্যক্তিমালিকানাধীন শত শত একর জমি দখল করে হাজার কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন এই সহোদর। সম্প্রতি দ্বিতীয় স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে তারেক বিশ^াস গ্রেপ্তার হওয়ার পর বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার তদন্তে উঠে এসেছে দুই ভাইয়ের অপকর্মের অজানা কাহিনী। এক সময়ের শিবির কর্মী আজগর আলী বিশ^াস তারা আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ই পেয়ে যান জেলা কমিটির সদস্য। এখন আওয়ামী লীগ নেতা হিসাবেই পরিচিত।

ভ‚মি (জমি) ব্যবসার আড়ালে নগরীর রূপসা, জিরোপয়েন্ট, বয়রা, রায়েরমহল, আড়ংঘাটা, দেয়ানা, ডুমুরিয়ার বিল পাবলা, চর হাসান খালি, কৈয়াসহ আশপাশের এলাকায় গড়ে তুলেছেন নিজস্ব বাহিনী। এদের হাতে সাধারণ কৃষক, মৎস্য চাষী, ছিন্নমূল পত্রিকার হকার, ফুটপাথের কাঁচামাল বিক্রেতা ও জমির মালিকরা জিম্মি হয়ে পড়েছেন। সন্ত্রাসীদের হুমকি-ধামকি, অত্যাচার, নির্যাতনের কারণে নিজের জমি-জায়গা ফেলে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন অনেকেই। ভয়ে তারা জমির ধারে কাছেও যেতে পারেন না। আওয়ামী লীগের শীর্ষ কয়েকজন নেতার সঙ্গে রয়েছে তার সু-সম্পর্ক। মন্ত্রী, এমপি ও প্রধানমন্ত্রীর চাচাতো ভাইয়ের সঙ্গে সেলফি তুলে তিনি নিজের ফেসবুকে ও অনুসারীদের মাঝে প্রচার করে ক্ষমতার দাপট দেখান। তার হঠাৎ বিত্তবৈভব ও ক্ষমতার দাপটে এলাকাবাসী আতংকিত।

বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা ও স্থানীয় সূত্র জানায়, নগরীর রায়ের মহল হামিদ নগর এলাকার বাসিন্দা হারেজ বিশ^াসের দুই ছেলে আজগর আলী বিশ^াস তারা ও তারেক বিশ^াস। হারেজ বিশ^াস ছিলেন একজন ফড়িয়া। গ্রাম থেকে ধান সংগ্রহ করে বিক্রি করে সংসার চালাতেন। আর তারা ও তারেক দুই ভাই বয়রা, মুজগুন্নী আবাসিক এলাকায় বাড়ি বাড়ি দুধ বিক্রি করতো। স্থানীয় পিএমজি স্কুল ও রায়ের মহল স্কুলে লেখাপড়া করার সময় ছাত্র শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন তারা। সরকারি বিএল কলেজে পড়ার সময় তিনি শিবিরের শীর্ষ নেতাদের নজরে আসেন। যে কারণে স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় জামায়াত নেতাদের সঙ্গে ছিলো ঘনিষ্ট সম্পর্ক। ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খুলনা- ৫ আসনে জামায়াত নেতার পক্ষ হয়ে প্রচার-প্রচারণা করেন বলে স্থানীয়রা জানান। ওই সময় একটি জীবন বীমা কোম্পানির মাঠ কর্মী হিসেবে কাজ করতেন তিনি। একই সময় হামিদ নগর এলাকায় উদয়ন সমবায় সমিতি নামে একটি সঞ্চয় ও ঋণদান সমিতি গঠন করে সভাপতি হন। অভিযোগ রয়েছে ওই সমিতির সদস্যদের সঞ্চয়ের ৪ লাখ টাকা ও বীমা কোম্পানির গ্রাহকদের টাকা হাতিয়ে নিয়ে খুলনা থেকে লাপাত্তা হন।

জোট সরকারের বিদায়কালে তিনি ঢাকায় গিয়ে একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করতেন। এরপর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর আজগর আলী তারা খুলনা ফিরে এসে জমির দালালী শুরু করেন। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তুলে জমির দালাল থেকে পর্যায়ক্রমে আবাসন ব্যবসায়ীতে পরিণত হন। এরপর থেকে তাকে আর পেছনে তাকাতে হয়নি। জেলা আওয়ামী লীগের এক শীর্ষ নেতার আর্শিবাদে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে লুফে নেন জেলা কমিটির সদস্যপদ। আলোচনায় চলে আসতে শুরু করেন অভিনব প্রচার-প্রচারণার মাধ্যমে।

যশোর থেকে শুরু করে খুলনা, বাগেরহাট, গোপালগঞ্জ মহাসড়কের দুপাশে বঙ্গবন্ধু, প্রধানমন্ত্রীর ছবির সঙ্গে নিজের ছবি লাগিয়ে বড় বড় বিলবোর্ড ও প্যানা লাগিয়েছেন। তিনি স্থানীয় আওয়ামী লীগের বড় একজন ডোনার হিসেবে পরিচিত। বিগত সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের আগে হামিদ নগরের একটি স্কুলের পাশে সৈয়দপুর ট্রাস্টের জমিতে বিশ^াস প্রোপার্টিজের সাইনবোর্ড লাগিয়ে দখল করেন। ১৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সির আনিছুর রহমান বিশ^াস দখলদার উচ্ছেদ করতে গেলে তারা বিশ^াস প্রকাশ্যে অস্ত্র উঁচিয়ে হুংকার দিয়ে আলোচনায় আসেন। ক্যাডার হিসেবে সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে তার নাম। শুধু এখানেই শেষ নয়, বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খুলনা-৫ (ডুমুরিয়া-ফুলতলা) সংসদীয় আসনে দলীয় মনোনয়ন পেতে দলীয় মনোনয়ন বোর্ডে সাক্ষাতকার দিয়ে সবার দৃষ্টি কাড়েন। এছাড়া তিনি নিজেকে কখনো সাংবাদিক, কখনো মানবাধিকার নেতা, শিক্ষানুরাগী দাবি করেন। তবে তার একটি ভিজিটিং কার্ডে দেখা যায় থানা পুলিশিং ফোরামের সভাপতি, বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক, খুলনা চেম্বাবার কমার্স এন্ড ইন্ড্রাস্ট্রির সদস্য। শুধু তাই নয়, খুলনার অভিজাত খুলনা ক্লাবের সদস্য।

পূর্ববিল পাবলা এলাকার নারায়ণ চন্দ্র বিশ্বাস অভিযোগ করে বলেন, আওয়ামী লীগ নেতা আজগর বিশ্বাস প্রতারণার মাধ্যমে ০.২৫ একর জমি ৫০ লাখ টাকা দাম ঠিক করে নিজের নামে পাওয়ার দলিল করে নেন। সে সময় তিনি বলেন, জমি বিক্রি করে তোমাকে টাকা দিয়ে দেব। কিন্তু তিনি প্লট আকারে জমি বিক্রি করলেও আজ পর্যন্ত আমার পাওনা টাকা দেননি। আমি টাকা ফেরত পেতে মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুজিত অধিকারীর নিকট লিখিত আবেদন করে দ্বারে দ্বারে ঘুরছি কিন্তু প্রতারক তারা বিশ^াস এখন বলছে তোকে আমি চিনি না।

আরেক মৎস্য ঘের ব্যবসায়ি মোল্লা জিহাদুল ইসলাম বলেন, চক আসানখালী মৌজায় আর এস দাগ নম্বর-১২৮২ ও ১২৮০ নম্বর দাগের ঘেরটি দখল করে বাঁশের বেড়া দিয়ে আটকে দিয়ে আমার মৎস্য ঘেরের ভেতরে বালু ফেলে ৫ লাখ টাকার মাছ লুট করে নিয়ে যায় তারা বিশ^াস। এ ঘটনায় অভিযোগ দেওয়া হলে আদালতের নির্দেশে বালু ফেলা বন্ধ রয়েছে।

একইভাবে আশা, আলমগীর ও বাবুর ২৮ শতক জমি দখল করে নিয়েছে তারা ও তারেক বিশ^াস। এছাড়া বয়রার আতিয়ার দারোগার ছেলে মনিরের বাঁশতলা এলাকার ৫০ শতাংশ জমি এবং রেললাইনের পাশে জমি দখল করে নিয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

সাজ্জাদ মীরের কৈয়া রায়েরমহল সড়কের মাদ্রাসার পাশে, কালাম কমিশনারের রায়েরমহল বাজার এলাকার ৫ বিঘা জমি দখল করে নিয়েছেন ভুমিদস্যু তারা। হ্যাচারি রোডের স্কুলের পাশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় মল্লিকদের ফসলি জমিতে বালু ফেলে দখল করে নিয়েছেন তিনি।

তার হাত থেকে রক্ষা পায়নি ছিন্নমূল কাচাঁমাল বিক্রেতা, পত্রিকার হকাররাও। রায়ের মহল মোস্তর মোড় এলাকার চর হাসানখালী মৌজায় আজিবর মোল্লা, সেলিনা খাতুন, শামিমা, ফরিদা, মাহমুদ হোসেন, আসমা বেগম, মনোয়ার, ফারুক হোসেন, জসিমসহ ১৫ জন ছিন্নমূল মানুষ ৮৬ শতক জমি কেনেন। রাতের আধাওে সন্ত্রাসীদেও দিয়ে এদেও সাইনবোর্ড ভেঙ্গে জমি দখলে নেয়।

পত্রিকা হকার আজিবর মোল্লা কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, আমরা দিন আনি দিন খাই, অনেক কষ্ট করে এই জমিটি কিনেছি। ভেবেছিলাম আমাদের মাথাগোজাঁর ঠাই হবে। এখন আমাদেও নামে একটি মিথ্য মামলা দিয়ে জোড়পূর্বক জমি দখল করে নিয়েছে।

ভুক্তভোগেীদের অভিযোগ, তারা বিশ^াস ও তার জমি দখলের বাহিনী প্রধান মাইদুল। রাস্তার পাশে এক খন্ড জমি কিনে বালু ফেলে পেছনের জমি মালিকদের যাতায়াতের পথ বন্ধ করে দিয়ে কমদামে জমি বিক্রি করাতে বাধ্য করে। প্রতিবাদ করলে এবং কোনো কৃষক জমি দিতে না চাইলে তার বাহিনী প্রধান মাইদুলের নেতৃত্বে নির্যাতন এবং জোরপূর্বক জমি দখল করে নেয়। অভিযোগ রয়েছে বেসরকারী নর্দার্ন বিজনেস অ্যান্ড টেকনিক্যাল ইউনির্ভাসিটির নির্মাণাধীন ভবনের পথ আটকিয়ে বন্ধ করে দিয়ে মোটা অংকের টাকা দাবি করেছিলো তারা। তবে সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেকের হস্তক্ষেপে সে যাত্রা রক্ষা পায় ভার্সিটি কর্তৃপক্ষ।

জানা গেছে রূপসা, জিরোপয়েন্ট, বয়রা, রায়েরমহল, আড়ংঘাটা, দেয়ানা, ডুমুরিয়ার বিল পাবলা, চর হাসান খালি, কৈয়াসহ আশপাশের এলাকায় একসময় প্রচুর পরিমাণে ধান ও মাছ চাষ হতো। খুলনা শহর ও আশপাশের এলাকার মানুষ এ অঞ্চলের মাছ, ধান ও সবজির উপর নির্ভরশীল ছিলো।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে সেই ধান ক্ষেত ও মৎস্য খামার আর নেই। সেখানে ধ’ু ধু বালুর মাঠ। সরকারি ও ব্যক্তিমালিকানাধীন শত শত বিঘা জমি দখল করে বিশ^াস প্রেপাটিজের নামে সাইনবোর্ড টাঙানো হয়েছে।

কৃষি ও জলা ভূমি ভরাট করে আবাসন প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্পর্কে জানতে চাইলে খুলনা পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক ইকবাল হোসেন বলেন, মৎস্য ঘের ও কৃষিজমি ভরাট করে যারা আবাসন বাণিজ্য করছে সে যতই প্রভাবশালী হোন না কেন- তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সম্প্রতি দ্বিতীয় স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে তারার ভাই তারেক গ্রেপ্তার হওয়ার পর দুই ভাইয়ের নারী কেলেংকারীর ঘটনা প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে। গত ২৪ ফেব্রæয়ারি নগরীর একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তারেকের দ্বিতীয় স্ত্রী মাহমুদা আক্তার মিলি। তিনি ছিলেন এক কাস্টমস অফিসারের স্ত্রী। তাকে ফাঁদে ফেলে অর্থ সম্পদ হাতিয়ে নিয়ে বিয়ে করেন তারেক। ঘটনার এক মাস পর গত ২৫ মার্চ খুলনার আদালতে হত্যা মামলার আবেদন করেন নিহতের মা সেলিনা বেগম। এতে তারেক ও তার প্রথম স্ত্রী নাসিমাসহ চারজনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার বাদী সেলিনা বলেন, ‘বিভিন্ন সময় যৌতুকের জন্য আমার মেয়েকে মারধর করত তারেক। এসব নির্যাতনের অনেক ছবি ও ভিডিও ফুটেজ আমাদের দেখিয়েছে মাহমুদা। কিন্তু মেয়ের সংসারের কথা চিন্তা করে আমরা চুপ ছিলাম। গত ২৪ ফেব্রæয়ারি সকালে আবার ওকে বেদম মারধর করা হয়। মিলির সারাশরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল। হাসপাতালে মারা যাওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তারেক ও তার পরিবারের লোকজন মাহমুদার লাশ দাফন করে ফেলে। এতদিন তারেক ও তার ভাইদের ভয়ে পুলিশকে জানাতে সাহস পাইনি।’

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও হরিণটানা থানার এসআই রফিকুল ইসলাম বলেন, নিহত মাহমুদা আক্তার মিলির ‘ভিডিও রেকর্ডগুলো সংগ্রহ করেছি। তার মৃত্যুর কারণ খুঁজে বের করতে মরদেহের সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত করা প্রয়োজন। এ জন্য কবর থেকে লাশ তোলার আবেদন করা হয়েছে।

এদিকে তারা বিশ^াসের প্রথম স্ত্রী সনিয়া মান্নান তন্বি ছিলেন স্কুল শিক্ষিকা। হতদরিদ্য পরিবারে তিনিই ছিলেন একমাত্র উপার্জনকারী। প্রথম স্ত্রী বেচেঁ থাকা অবস্থায় তারই বান্ধবী নাইরার সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয় পরেন তারা বিশ^াস। প্রথম স্ত্রীর মৃত্যুর পর ওই বান্ধবীকে আগের ঘরের দুই সন্তানসহ বিয়ে করেছেন তিনি।

অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে আলোচিত আবাসন ব্যবসায়ি ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আজগর বিশ^াস তারা বলেন, আমি কারো জমি জোর করে দখল করিনি। যারা জমি বিক্রি করতে আসছে তাই কিনতে পারছি না, জোর করে দখল করবো কেন। জলাশয় ভরাট প্রসঙ্গে বলেন, আমি কোনো সরকারি জমি ভরাট ও দখল করিনি। তবে ব্যাক্তি মালিকানাধীন জমি কিনে ব্যবসার জন্য ভরাট করছি। এ ক্ষেত্রে কারো আপত্তি থাকার কথা না। এছাড়া আমার সম্পর্কে অন্য যেসব অভিযোগ শুনছেন তা ঠিক নয়।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট সুজিত অধিকারী বলেন, নারায়ণ চন্দ্র বিশ্বাস নামের এক ব্যক্তি আমাদের কাছে জমাজমি সম্পর্কিত তারা বিশ^াসের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলো। পরবর্তী ওই বিষয়টি সমাধান হয়েছে বলে অভিযোগকারী জানিয়েছে। তারা বিশ^াস ছাত্র শিবির থেকে অনুপ্রবেশকারী কিনা এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রথমে এ অভিযোগটি আমিও শুনেছিলাম। কিন্তু বিএল কলেজে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি অভিযোগ সঠিক না। তথ্যসূত্র : মানবজমিন

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here