খুলনার এক উপজেলাতেই আ’লীগের সদস্যপদ চান দশ হাজার কর্মী-সমর্থক

0
443

নিজস্ব প্রতিবেদক:
খুলনার এক উপজেলাতেই আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্যপদ পাওয়ার জন্য আবেদন করেছেন দশ হাজার জন কর্মী-সমর্থক। রবিবার রাতে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক বরাবর লিখিত আবেদন জমা দেন খুলনা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ননী গোপাল মন্ডল ও দাকোপ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট জি এম কামরুজ্জামান। আবেদন গ্রহণ করেন জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক এ্যাডভোকেট ফরিদ আহমেদ।
আবেদনে তারা উল্লেখ করেন, ‘চলমান প্রাথমিক সদস্যপদ নবায়ন ও নতুন সদস্যপদ পাওয়ার জন্য দাকোপ উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার আওয়ামী লীগের ত্যাগী দলীয় নেতাকর্মীদের দশ হাজার খানা আবেদনপত্র গ্রহণের জন্য প্রার্থণা করতেছি।’
একটি সূত্র জানায়, দাকোপ উপজেলার যে দশ হাজার ব্যক্তি সদস্যপদ চেয়ে আবেদন করেছেন তারা সকলে সাবেক সংসদ সদস্য ননী গোপাল ম-লের অনুসারী। তাদের ধারণা- উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ আবুল হোসেন ও ননী গোপাল ম-লের মধ্যে ভালো সম্পর্ক না থাকায় সদস্যপদ থেকে তারা বঞ্চিত হতে পারেন। এজন্যই পৃথকভাবে আবেদন করেছেন।
জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক এ্যাডভোকেট ফরিদ আহমেদ জানান, ‘জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শেখ হারুনুর রশীদের অনুমতিক্রমে পৃথক পৃথক কাগজে করা এই দশ হাজার আবেদনপত্র জমা গ্রহণ করি। এটি একটি রাজনীতির বিরল ঘটনা। স্বল্প সময়ে এত আবেদন দলের প্রতি তৃনমূলের নেতাকর্মীদের দলের প্রতি ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ।’
সম্মেলনের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের প্রস্তুতি চলছে। আগামীকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টায় নগরীর একটি অভিজাত হোটেলে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের উপস্থিতিতে সভা অনুষ্ঠিত হবে। উক্ত সভায় বিভাগের ১০ জেলার সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক অংশগ্রহণ করবেন। সেখান থেকেই সম্মেলনের বিষয়ে নতুন সীমা-রেখা জানানো হবে।’
দলীয় সূত্র জানায়, কমিটির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পর চলতি বছরের মে মাসে নগরীর ইউনাইটেড ক্লাবে কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে নগর ও জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে কেন্দ্রীয় নেতারা সেপ্টেম্বরের মধ্যে জেলা ও নগরীর সম্মেলন শেষ করার তাগিদ দেন। এই লক্ষ্যে কাজও শুরু হয়। তালিকাও করার কাজ শুরু হয়। কিন্তু জেলা সভাপতি পবিত্র হজ্ব পালন করতে যাওয়ায় কাজ অনেকটা শিথিল হয়ে যায়। পরবর্তীতে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সম্মেলন পিছিয়ে যাওয়ায় মেয়াদোত্তীর্ণ ইউনিটগুলোকে সম্মেলন করতে নতুন করে ডিসেম্বরের ১০ তারিখ পর্যন্ত সময় বেধে দেওয়া হয়েছে।