খুলনাকে জলাবদ্ধমুক্ত নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে চাই নগর পরিকল্পনা দিবসে : সিটি মেয়র

0
739

বিজ্ঞপ্তি : খুরনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক নগর পরিকল্পনাবিদ ও প্রকৌশলীদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, লব্ধ জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার আলোকে আমাদেরকে পরামর্শ দিন। খুলনাকে জলাবদ্ধমুক্ত তিলোত্তমা নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। তিনি বলেন, অপরিকল্পিত নগরায়ন কারো কাম্য নয়। নগরীতে অপরিকল্পিতভাবে ইমারাত নির্মাণের ফলে নগরবাসী উন্নয়ন কর্মকান্ডের সুফল পাচ্ছেন না। এ জন্য জলাবদ্ধতা দূরীকরণের লক্ষ্য ভরাটকৃত খাল পুনরুদ্ধার ও প্রশস্থ ড্রেন নির্মাণের মাধ্যমে সুষ্ঠু পানি নিস্কাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে।
সিটি মেয়র রবিবার (১১ নভেম্বর) সকালে নগর ভবনে শহীদ আলতাফ মিলনায়তনে বিশ্ব নগর পরিকল্পনা দিবস ২০১৮ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন। পরিকল্পিত নগরায়নের লক্ষ্যে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ব্রাক এর সহযোগিতায় বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্লানার্স (বিআইপি) খুলনা চ্যাপ্টার এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এর আগে সিটি মেয়র বিশ্ব নগর পরিকল্পনা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত র‌্যালীর নেতৃত্ব দেন। র‌্যালীটি নগরীর শহীদ হাদিস পার্ক থেকে শুরু হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে নগর ভবনে এসে শেষ হয়। টেকসই নগর ও জনবসতি গড়ে তোলার অভিপ্রায়ে এ বছর খুলনায় দিবসটি পালিত হলো।
সিটি মেয়র আরো বলেন, আগামী প্রজন্মের জন্য আমরা একটা সুন্দর বাসযোগ্য নগরী রেখে যেতে চাই। তিনি এশিয়ার বৃহত্তর নগরী কলকাতার উদাহরণ টেনে বলেন, কয়েক বছর আগেও কলকাতা ছিল অগোছালো ও অপরিচ্ছন্ন নগরীর মধ্যে অন্যতম। সুষ্ঠু পরিকল্পনার মাধ্যমে আজ কলকাতা পরিচ্ছন্ন ও সুন্দর নগরীতে পরিণত হয়েছে। তিনি খুলনার উন্নয়নে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিকতার কথা তুলে ধরে বলেন ইতোমধ্যে তিনি খুলনার উন্নয়নে সাড়ে চৌদ্দশ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রদান করেছেন। সিটি মেয়র ময়ুর নদীকে দূষণ মুক্ত, স্বচ্ছ ও প্রবাহমান রাখতে বাস্তবভিত্তিক প্রকল্প প্রণয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং এ কাজে নগর পরিকল্পনাবিদের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।
বিআইপি-খুলনা চ্যাপ্টারের প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ড. মোঃ আশরাফুল আলম এর সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন কেসিসি’র প্যানেল মেয়র মোঃ আলী আকবর টিপু, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (যুগ্ম সচিব) পলাশ কান্তি বালা, খুলনা প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফারুক হোসেন, বিআইপি’র কেন্দ্রীয় বোর্ড মেম্বর মোঃ এ¯্রাজ উল জান্নাত ও ব্রাক আরবান ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের রিজিওনাল কো-অর্ডিনেটর আবু মোজাফফর মাহমুদ। ‘‘টাউন প্লানিং ফর সাসটেইন্যাবল ডেভেলপমেন্ট অব খুলনা’’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিআইপি-খুলনা চ্যাপ্টারের সেক্রেটারী এবং খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউআরপি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তুষার কান্তি রায়। মূল আলোচক হিসেবে আলোচনা করেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউআরপি ডিসিপ্লিনের প্রধান প্রফেসর ড. শেখ মোঃ মুরছালিন মামুন এবং খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউআরপি বিভাগের প্রধান প্রফেসর ড. মোঃ মোস্তফা সরোয়ার।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে খুলনা সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর মোঃ সাইফুল ইসলাম, কাউন্সিলর মোঃ আরিফ হোসেন মিঠু, সচিব মোঃ আজমুল হক, কেডিএ’র টাউন প্লানার তানভীর আহমেদ, বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির মহাসচিব শেখ আশরাফ উজ জামান সহ খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ও খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থী প্রমুখ বক্তৃতা করেন ও উপস্থিত ছিলেন।
বেলা ১১টায় নগর ভবনের শহীদ আলতাফ মিলনায়তনে ডিজিটাল সেন্টার শক্তিশালী ও টেকসইকরণ সংক্রান্ত এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। ডিজিটাল সেন্টার সমূহকে অধিক ব্যবসা বান্ধব ও সেবামুখী প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচালনার উদ্দেশ্যে একসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রোগ্রাম এর সহযোগিতায় খুলনা সিটি কর্পোরেশন এ কর্মশালার আয়োজন করে। কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন কেসিসি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (যুগ্ম সচিব) পলাশ কান্তি বালা।
কর্মশালায় মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন এ টু আই প্রোগামের কর্মকর্তা পারভেজ হাসান। অন্যান্যের মধ্যে কেসিসি’র প্যানেল মেয়র মেমরী সুফিয়া রহমান শুনু, কাউন্সিলর শেখ আব্দুর রাজ্জাক, মোঃ সাইফুল ইসলাম, মোঃ আব্দুস সালাম, শেখ মোহাম্মদ আলী, মোঃ ডালিম হাওলাদার, এমডি মাহফুজুর রহমান লিটন, কাজী তালাত হোসেন কাউট, মুন্সী আব্দুল ওয়াদুদ, শেখ মোসাররফ হোসেন, শেখ হাফিজুর রহমান মনি, আশফাকুর রহমান কাকন, কাজী আবুল কালাম আজাদ বিকু, ইমাম হাসান চৌধুরী ময়না, ফকির মোঃ সাইফুল ইসলাম, এস এম মোজাফফর রশিদী রেজা, মোঃ আলিফ হোসেন মিঠু, সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর মনিরা আক্তার, সাহিদা বেগম, রহিমা আক্তার হেনা, কনিকা সাহা, মাজেদা খাতুন, লুৎফুন নেছা লুৎফা, সচিব মোঃ আজমুল হক সহ নগর ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তাগণ সভায় বক্তৃতা করেন ও উপস্থিত ছিলেন।