কে এই প্রিয়া সাহা

0
492

খুলনাটাইমস: বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায় নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে অভিযোগকারী প্রিয়া সাহা ওরফে প্রিয় বালা বিশ্বাসের বিস্তারিত পরিচয় মিলেছে। তিনি বাংলাদেশ মহিলা ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। বিভ্রান্তিমূলক কর্মকা-ের জন্য গতবছর তাকে মহিলা ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির আট সাংগঠনিক সম্পাদকের একজন। এই ঐক্য পরিষদের সভাপতি হিউবার্ট গোমেজ এবং সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রানা দাস গুপ্ত। এ ছাড়া ‘শারি’ নামে বাংলাদেশের দলিত সম্প্রদায় নিয়ে একটি এনজিও’র পরিচালক প্রিয়া সাহা। এর পাশাপাশি তিনি ‘দলিত কণ্ঠ’ নামের একটি পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। ওই পত্রিকায় প্রিয়া সাহার পুরো নাম দেওয়া হয়েছে ‘প্রিয় বালা বিশ্বাস’। সেখানে বয়স দেখানো হয়েছে ৫৪ বছর। পিতার নাম- মৃত নগেন্দ্র নাথ বিশ্বাস।
এই পত্রিকার ঘোষণাপত্রে দেখা যায়, চলতি বছরের ১২ জুন ঢাকা অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কাজী নাহিদ রসুল পত্রিকাটি প্রকাশের ঘোষণাপত্র প্রদান করেন। ঘোষণাপত্রে শনাক্তকারী হিসেবে স্বাক্ষর করেন অ্যাডভোকেট আল আমিন রিজভী। প্রিয়া সাহা ওরফে প্রিয় বালা বিশ্বাসের পৈত্রিক নিবাস পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার চরবানিয়ারী গ্রামে এবং শ্বশুরবাড়ি যশোরে। পড়াশোনা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি), থাকতেন রোকেয়া হলে। ছাত্রজীবন থেকেই তিনি ছাত্র ইউনিয়নের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। প্রিয়ার স্বামী মলয় কুমার সাহা দুদকের সদর দফতরে উপপরিচালক পদে কর্মরত রয়েছেন। তার দুই মেয়ে প্রজ্ঞা পারমিতা সাহা ও ঐশ্বর্য লক্ষ্মী সাহা পড়াশোনার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন।
এর আগে বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় হোয়াইট হাউজে ধর্মীয় নীপিড়নের শিকার হওয়া ১৯টি দেশের ২৭ জন ব্যক্তির সঙ্গে ট্রাম্পের সাক্ষাৎকালে প্রিয়া নিজেকে বাংলাদেশি পরিচয় দিয়ে বলেন, ‘স্যার, আমি বাংলাদেশ থেকে এসেছি। সেখানে ৩৭ মিলিয়ন হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান বিলীন হয়ে গেছে। দয়া করে আমাদের সাহায্য করুন। আমরা বাংলাদেশেই থাকতে চাই। সেখানে এখনো ১৮ মিলিয়ন সংখ্যালঘু মানুষ রয়েছে। আমার অনুরোধ দয়া করে আমাদের সাহায্য করুন। আমরা আমাদের দেশ ছাড়তে চাই না। শুধু থাকার জন্য সাহায্য করুন।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমি আমার বাড়ি-ঘর হারিয়েছি, তারা আমার বাড়ি-ঘর জ¦ালিয়ে দিয়েছে। তারা আমার জমিজমা দখল করে নিয়েছে। কিন্তু তারা (সরকার) কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। এখন পর্যন্ত।’ এ সময় ট্রাম্প ওই নারীকে প্রশ্ন করেন, ‘কারা জমি দখল করেছে, করা বাড়ি-ঘর দখল করেছে?’
ট্রাম্পের প্রশ্নের উত্তরে ওই নারী বলেন, ‘তারা মুসলিম মৌলবাদী গ্রুপ এবং তারা সব সময় রাজনৈতিক আশ্রয় পায়। সব সময়ই পায়।’ ক্ষমতাধর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে বাংলাদেশ নিয়ে এমন মিথ্যাচারের ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। তার বক্তব্য নিয়ে ইতোমধ্যে তুমুল বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।