কুল্যা ইউপি চেয়ারম্যান নিয়ম ভাঙ্গার উৎসবে মেতেছেন!

0
277

আশাশুনি প্রতিনিধি: আশাশুনি উপজেলার কুল্যা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল বাছেত আল হারুন চৌধুরী প্রশাসনকে তুয়াক্কা না করে নিয়ম ভাঙ্গার উৎসবে মেতেছেন। তার কাজ দেখে “চেয়ারম্যানের খুঁটির জোর কোথায়?” এমন প্রশ্ন তুলছেন সচেতন মানুষ। অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসৃজন কর্মসূচি ২০১৯-২০ অর্থ বছরের আওতায় উপজেলার সকল ইউনিয়নে নিয়োগকৃত পুরনো শ্রমিকরা পুনরায় কাজ শুরু করেছেন। কুল্যা চেয়ারম্যান হারুন চৌধুরীও কাজের জন্য পুরাতন তালিকা না পাঠিয়ে বহু শ্রমিককে, বিশেষ করে যারা তাকে ভোট দেয়নি, তারা যত গরীবই হোকনা কেন, তাদেরকে কাজে রাখা যাবেনা এমন মানষিকতা নিয়ে পুরনো অনেকের নাম বাদ দিয়ে নতুন করে তার অনুগতদের তালিকা করে উপজেলায় প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানাগেছে। বাদ পড়া শ্রমিকরা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে কথা বললে অনিয়ম বরদাস্ত করা হবেনা মনোভাব প্রকাশ করলে উক্ত চেয়ারম্যান প্রয়োজনে ইউনিয়নে কাজ করানো হবেনা, টাকা ফেরৎ দেওয়া হবে, তবুও পুরনোদের দিয়ে কাজ করান হবেনা এমন বাক্যবান ছুড়েন বলে সংশ্লিষ্টরা জানান। উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা ও সরকারি নিয়ম নীতিকে তুয়াক্কা না করে চেয়ারম্যান ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ১৪ জন পুরনো শ্রমিককে বাদ দিয়ে নতুন তালিকা প্রেরণ করেন। বাদপড়া শ্রমিকরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন। এনিয়ে পত্রপত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। গত ২৯ ডিসেম্বর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিদের্শনায় পিআইও অফিস হতে উক্ত চেয়ারম্যানকে কর্মসূচির ২০১৯-২০ অর্থ বছরে ১ম পর্যায়ের অন লাইনে নিবন্ধনকৃত পুরাতন শ্রমিকদের কাজে রাখতে এবং কি কারনে পুরনো শ্রমিকদের নাম বাদ দিয়ে নতুন শ্রমিকদের কাজ করানো হচ্ছে ব্যাখ্যা দিতে চিঠি করা হয়। কিন্তু আশ্চার্যের বিষয় ৯ দিন অতিক্রান্ত হলেও পুরানোদেরকে কাজে না নিয়ে নতুনদের দিয়েই কাজ করানো হচ্ছে। কোন ব্যাখ্যাও এখনো দেওয়া হয়নি। এব্যাপারে প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার সোহাগ খানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বিধি মোতাবেক পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়েছে। অনিয়ম প্রমানিত হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানাগেছে, অন লাইন তালিকায় নাম না থাকলে তারা কাজ করলেও মজুরি পাবেন না। এবিষয়ে কুল্যা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল বাছেত আল হারুন চৌধুরীর কাছে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে জানতে চাইলে তিনি জানান, ইউপি চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পাওয়ার পর আমি ইউনিয়ন পরিষদে ব্যাপক উন্নয়ন করেছি। আমি কোন অনিয়ম করেনি।