কুমিল্লায় কর্নেল অলির গাড়িবহরে হামলা-ভাঙচুর

0
489

টাইমস্ ডেস্ক:

কুমিল্লার চান্দিনায় লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) অলি আহমদের গাড়িবহরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে দুর্বৃত্তরা।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুর পৌনে ১টার দিকে চান্দিনায় ড. রেদওয়ান আহমেদ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ২ নম্বর ক্যাম্পাস উদ্বোধন করতে যাওয়ার পথে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, দুপুরে চান্দিনা উপজেলা কার্যালয় ও থানা ভবনের মাঝ দিয়ে অলি আহমদ ও রেদওয়ান আহমেদ যাচ্ছিলেন। এ সময় ২০-২৫ জনের একটি দল ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে সেখান দিয়ে যাচ্ছিল। হঠাৎ করে অলি আহমদের গাড়িতে হামলা চালায় তারা। এতে তার গাড়ির পেছনের গ্লাস ভেঙে যায়। অলি আহমদের পেছনেও একটি গাড়ি ছিল। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি।

এর কিছুক্ষণ পর রেদওয়ান আহমেদ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ২ নম্বর ক্যাম্পাসের মমতাজ আহমেদ ভবন উদ্বোধন করেন অলি আহমদ। সেখানে এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন তিনি।

এ সময় তিনি বলেন, আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা। আমার গাড়িতে হামলা হয়েছে। পুলিশের সামনে মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যার উদ্দেশ্যে সন্ত্রাসীরা হামলা করবে এ জন্য দেশ স্বাধীন করিনি। আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তি, আওয়ামী লীগকে ধন্যবাদ জানাই। যার কর্মীরা মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা করতে চায়। পুলিশ ও ইউএনও অফিসের পাশে, আগে-পেছনে একাধিক পুলিশ অফিসার এমনকি ওসির উপস্থিতিতে এ ধরনের হামলা আমি কল্পনাও করতে পারি না। তারা দেশের ক্ষতি করেছে, আওয়ামী লীগের ক্ষতি করেছে। আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিচার দিলাম। তিনি বিচার না করলে আল্লাহ বিচার করবেন।

বিকেলে চান্দিনা পৌর এলডিপি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সম্মেলন বন্ধ করে দেয়া প্রসঙ্গে কর্নেল অলি বলেন, রাজনৈতিক দলের সভা, সমাবেশের জন্য ইউএনও, ওসির অনুমতি নিতে হবে কেন? এটা গণতন্ত্রের জন্য হুমকি। গাড়িবহরে হামলার প্রসঙ্গ টেনে হামলার সময় চান্দিনা থানা পুলিশের ওসির নীরব ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেন তিনি।

মমতাজ আহমেদ ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ড. রেদওয়ান আহমেদ। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন কলেজের আজীবন সদস্য মিসেস মমতাজ আহমেদ, ইঞ্জিনিয়ার মফিজ আহমেদ ভুঁইয়া ও সুলতান মঈন আহমেদ রবিন।

হামলার বিষয়ে চান্দিনা পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মফিজুল ইসলাম বলেন, হামলার সঙ্গে আমাদের দলীয় কোনো লোক জড়িত নয়। যদি কেউ জড়িত থাকে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হলে আমাদের পক্ষ থেকে কোনো আপত্তি থাকবে না।

এলডিপির মহাসচিব অ্যাডভোকেট রেদওয়ান আহমেদ বলেন, প্রকাশ্যেই আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা দলের চেয়ারম্যানের গাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছে। এখন আওয়ামী লীগ মিথ্যা বলে সত্য আড়াল করতে চাচ্ছে। যারা হামলা চালিয়েছে তাদের ভিডিও ফুটেজ ও ছবি আমাদের কাছে রয়েছে। মিথ্যা বলে হামলার দায় এড়াতে পারবে না তারা। এ হামলার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার দাবি করছি আমরা।

চান্দিনা থানা পুলিশের ওসি মোহাম্মদ শামসুল ইসলাম বলেন, কর্নেল অলি আহমদের গাড়িবহরে হামলা ও ভাঙচুরের বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পাইনি। শুনেছি রেদওয়ান আহমেদ কলেজে যাওয়ার সময় কে বা কারা পেছন থেকে ঢিল মেরেছে। এতে গাড়ির একটি গ্লাস ভেঙে গেছে। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।