করোনা বাস্তবতায় পৃথিবীর স্বাস্থ্য ব্যবস্থা অনেকটাই দুর্বল!

0
171

টাইমস প্রতিবেদক:
আজ ৭ এপ্রিল। বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস। প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রতিপাদ্য নির্ধারন করে দিনটি পালন করে থাকে। বাংলাদেশও বিভিন্ন আয়োজনে দিবসটি পালন করা হয়। তবে কোভিড-১৯ বিবেচনায় এবারের আয়োজন সীমিত হবে তা বলাই বাহুল্য। করোনা বাস্ততায় বদলে যাওয়া পৃথিবীর স্বাস্থ্য ব্যবস্থা অনেকটাই দূর্বল হয়েছে। কোভিড -১৯ দূর্বল করেছে বিশ্বের শক্তিশালী রাষ্ট্রের স্বাস্থ্যখাত এবং দেখিয়েছে জীবন জীবিকার বৈষম্য ও ভারসাম্যহীনতা। জাতিসংঘ বলছে, কোভিডের নানামুখী প্রভাবে ২০২০ সালে প্রায় ২ লাখ ২৮হাজার শিশুমৃত্যু এবং ১১ হাজার মাতৃমৃত্যু হয়েছে। করোনার চিকিৎসা নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্য সেবা,প্রজনন স্বাস্থ্য সেবা, এমনকি হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা চরম ব্যহত হয়েছে। ইউনিসেফ, ইউএনএফপিএ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা একযোগে বলছে, সাউথ এশিয়ার ছয়টি জনবহুল দেশ আফগানিস্থান, বাংলাদেশ, নেপাল, ভারত, পাকিস্থান এবং শ্রীলংকা কোভিডের কারনে আশঙ্কাজকনহাওে বেকারত্ব বেড়ে যাওয়ায় এবং স্কুল বন্ধ থাকায় ৪ লাখ ২০ হাজার শিশুর অনিশ্চত ভবিষ্যৎ এর আশঙ্কায় বেড়েছে বাল্যবিবাহ। যার ফলে ইউএনএফপিএ এর প্রতিবেদন বলছে, অতিরিক্ত ৩.৫ লাখ শিশু গর্ভবতী হয়েছে। ১.৯ লাখ শিশু পুষ্টিকর খাবারের সুযোগ বঞ্চিত। স্বাস্থ্য সেবা ব্যহত হওয়ায় ৮০ শতাংশ শিশু তীব্র পুষ্টহীনতার শিকার হয়েছে যা ভবিষ্যৎ প্রজন্ম গঠনে হুমকীস্বরুপ। এতে করে শারীরিক স্বাস্থ্য যেমন ভেঙে পড়েছে ঠিক তেমনি হুমকীর সম্মুখীন মানসিক স্বাস্থ্যও। লকডাউন পরিস্থিতি অব্যাহত থাকায় কর্মসংস্থান, অর্থনীতি, মানসিক স্বাস্থ্য এবং সামাজিক শৃঙ্খলার ওপর এর ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে (বিশেষত যেখানে সামাজিক সুরক্ষা বলয় সীমিত)। তাই লকডাউনের ফলে সৃষ্ট অর্থনৈতিক সঙ্কট কাটিয়ে উঠার ক্ষমতা ধনী রাষ্ট্রগুলোর থাকলেও নিম্ন ও মধ্যম আয়ের রাষ্ট্রগুলি এ বাস্তবাতায় কতদূর টিকে থাকতে পারবে, সেটি একটি কঠিন প্রশ্ন। এই অবস্থায় প্রতিদিনই করোনা সংক্রমণের হার বেড়ে চলেছে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ দ্বিতীয়, তৃতীয় ঢেউয়ের সম্মুখীন হচ্ছে। বর্তমান সময়ে সবথেকে কঠিনতম সময় পাড় করছে বাংলাদেশ। বাড়তি সংক্রমণ আর অপ্রতুল চিকিৎসা সেবা নিয়ে রীতিমত হিমশিম খাচ্ছে স্বাস্থ্য খাত। এর মধ্যে স্বাস্থ্য দিবস উদযাপনে বাংলাদেশের জন্য সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ হবে কোভিড মোকাবিলায় স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে পরিকল্পিত উদ্যোগ গ্রহন এবং তার যথাযথ বাস্তবায়ন।