লকডাউনের অজুহাতে শিশু খাবার দুধ বহনকারি পিকআপ আটকে মামলা দিলেন সার্জেন্ট

0
177

টাইমস প্রতিবেদক:
লক ডাউনে খাদ্য সরবরাহ করার অনুমতি থাকলেও নগরীর গল্লামারী মোড়ে কর্তব্যরত ট্রাফিক সার্জেন্ট সাঈদ এর বিরুদ্ধে শিশু খাবার দুধ ভর্তি পিকআপ আটকে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও পিকআপ ড্রাইভার এর কাছে চেয়েছেন অর্থ। ভিটিকাল ডেইরী এন্ড ফুড ইন্ডাষ্ট্রিজ লিঃ এর খুলনা অঞ্চলের বিক্রয় প্রতিনিধির সাথে করেছেন অসৌজন্য মূলক আচারণ। অসময়ে প্রবেশ অভিযোগে মামলাও দিয়েছেন তিনি। ভুক্তভুগি ভিটিকাল ডেইরী এন্ড ফুড ইন্ডাষ্ট্রিজ লিঃ এর খুলনা অঞ্চলের প্রতিনিধি মোঃ রাজিব হোসেন খুলনা মেট্রোপলিটনের উপ পুলিশ কমিশনার ট্রাফিক বরাবর অভিযোগ করেছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত গ্রহনের সিদ্ধান্ত দিয়েছেন ট্রাফিক বিভাগের উপ পুলিশ কমিশনার। অভিযুক্ত সার্জেন্ট তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। অভিযোগে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার সকাল ৯ টায় ভিটিকাল ডেইরী এন্ড ফুড ইন্ডাষ্ট্রিজ লিঃ এর একটি পিকআপ গল্লামারী মোড় দিয়ে শহরে প্রবেশ এর সময় সার্জেন্ট সাঈদ তা রোধ করেন। গাড়ির কাগজপত্র দেখতে চাইলে তাকে গাড়ির সকল কাগজ পত্র দেখান চালক। কাগজপত্র ঠিক থাকার পরও লকডাউনের মধ্যে পণ্য পরিবহন করছেন কেন এই অভিযোগ করে তার কাছে অর্থ দাবি করে জিজ্ঞাসা করেন মাসিক টাকা কার কাছে দাও? তখন চালক বলেন, আমার কম্পানির উর্দ্ধতনরা জানেন এ ব্যাপারে আমি জানিনা। তখন সার্জেন্ট উদ্ধর্তনদের ডাকার নির্দেশ দেন। ড্রাইভারের ফোন পেয়ে কম্পানিটির খুলনা অঞ্চলের বিক্রয় প্রতিনিধি মোঃ রাজিব হোসেন ঘটনাস্থলে পৌছালে তিনি দেখেন তাদের পিকআপটি গল্লামারী রয়েছে। সার্জেন্ট সাঈদ জিরোপয়েন্টে দায়িত্ব পালন করছেন। এ সময় সার্জেন্ট সাঈদ এর নিকট জিরোপয়েন্টে যেয়ে দেখা করলে তিনি মোঃ রাজিব এর সাথে গালাগালি দিয়ে কথা বলেন। অথচ গত ২ দিন আগে সরকারের দেওয়া প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে খাদ্য পণ্য পরিবহন বন্ধ থাকবে না। এ বিষয়ে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের উপ পুলিশ কমিশনার মোঃ তাজুল ইসলাম জানান, আমরা রাজিব হোসেনের কাছ থেকে লিখিত অভিযোগ গ্রহন করেছি। এ ব্যাপারে আমাদের ট্রাফিক বিভাগের অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার কানাই লাল বিষয়টি তদন্ত করবেন। আর যে মামলাটি দেওয়া হয়েছে গাড়িটি ঢাকায় গিয়েছে সেখান থেকে আসার পর এ ব্যাপারে মামলা মওকুফের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে সার্জেন্ট সাঈদকে ফোন দেওয়া হলে, তিনি সরাসারি প্রতিবেদকের কাছে এসে দেখা করেন। এ সময় তিনি বলেন, আমরা মানুষের সেবায় থাকি। কিন্তু সব সময় মেজাজ ঠিক থাকে না। তবে আমি অভিযুক্তের সাথে কোন খারাপ ব্যবহার আমি করিনি। আর মাসিক টাকার ব্যাপারে যে অভিযোগ সেটি মিথ্যা বলেন তিনি। এ বিষয়ে নাগরিক নেতৃবৃন্দ বলেন, এটি একটি ছোট্ট ঘটনা। কিন্তু এমন ঘটনা নগরীতে প্রতিনিয়ত ঘটছে। আমরা সার্জেন্টদের দেখি মটরসাইকেল ধরতে তারা তৎপর। অথচ সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সময়ের মধ্যে নগরীতে দাপিয়ে বেড়ায় ট্রাক। অবৈধ লড়িতে করে বহন করা হচ্চে ইট ও বালি। যততত্র পার্কিং এর বিষয়টি নাইবা বললাম। অভিজাত হোটেল থেকে বড় সরকারি অফিস সকল অফিসের সামনেই রাস্তায় পার্কিং এখন নিয়মিত ব্যাপার।