এমপি’র ট্রলারে কাঁদা ছোড়ার ভ্রান্ত রাজনীতি সরকারের গায়ে আঁচড়

0
171

পাইকগাছা প্রতিনিধি:
বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রায় সময় বক্তব্য-বিবৃতির ক্ষেত্রে সতর্ক করে থাকেন ষড়যত্রকারীরা সুযোগ পেলেই আঘাত করবে! আমরা কতটুকু তা মেনে চলি বা অনুসরণ করি। ঘুর্নিঝড় আইলা পরিবর্তীতে প্রধানমন্ত্রী সাতক্ষীরা ও খুলনার কয়রা সফরকালে বাঘালী’তে বিশাল জনসমুদ্রে ঘোষনা করেছিলেন উপকূলীয় এলাকায় মানুষের জীবনমান রক্ষার্থে টেকসহ বেড়িবাঁধ নির্মান সহ ওয়াপদার বাহিরে গাছ লাগিয়ে সবুজ বেষ্টনি গড়ে তোলা হবে। ঐ জনসভায় শেখ হাসিনা’র অন্যান্য ঘোষনা সহ বিশেষ করে ততকালীন এমপি এ্যাডঃ সোহরাব আলী সানার দাবীর প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী পাইকগাছায় একটি কৃষি কলেজ প্রতিষ্ঠার ঘোষনা দেন। যে কথা সেই কাজ। নেত্রীর ঘোষনা মতে আজ লস্কর ইউপি’র চকবগুড়া মৌজায় কৃষি কলেজের বিশাল-বিশাল ভবন গড়ে উঠছে। কিন্তু কথা থেকে যায় এ কৃষি কলেজ নিয়ে ষড়যন্ত্রের শেষ ছিলনা। কলেজের স্থানে জলরাশির নৈতি বাচক তথ্য-উপাথ্য দিয়ে অনেকে কলেজটি অন্যত্র প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। ঘুর্নিঝড় সিডর ও আইলা গেল, বুলবুল-আম্ফান গেল সর্বশেষ ঘুর্নিঝড় ইয়াস এর প্রভাবে উপকূলীয় এলাকা লন্ড-ভন্ড হয়ে হয়েছে। বাঁধ ভেঙে উপকুলীয় গোটা নির্মাঞ্চল প্লাবিত হয়ে চিংড়ি ঘের, ঘরবাড়ী, পুকুর, রাস্তাঘাট, ক্ষেত-খামার তলিয়ে অর্থনীতি ধ্বংশ হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ঘোষনা মতে টেকসহ বেড়িবাঁধ না হলে ভবিষ্যতে প্রাকৃতিক দুর্যোগে এমন ঘটনা ঘটবে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ হলেই একাধিকবার মন্ত্রী ও সচিব পর্যায়ের বৈঠকে শুধু সিদ্ধান্ত হয়। এলাকা সফর হয়। আমরা দেখি বা গণমাধ্যমে তা অবহিত হই। রাজনৈতিক ও গনমাধ্যম কর্মি হিসেবে আমার দৃড় বিশ্বাস দ্রæত সময়ে উপকুলীয় মানুষের জীবন-মান রক্ষার্থে শেখ হাসিনা’র সরকারই টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মানে সক্ষম হবেন। হয়তো বিলম্ব হচ্ছে। সেই পর্যন্ত ধৈর্য্য ধারন করতে হবে। সর্বশেষ ঘুর্নিঝড় ইয়াসে’র জলোচ্ছ্বাসে উপকুলীয় জেলা সহ পাইকগাছা-কয়রায় বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে বা কোথায় উপছে জন জীবন ব্যাহত সহ ব্যাপক সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। অতিতেও এমন ঘটনা ঘটেছে। মানুষের কষ্টের শেষ থাকেনা। তবুও সংকটকালে সরকার বা প্রসাশন, এমপি বা স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সমাজকর্মীরা বসে থাকেনা। এবারেও বসে ছিলনা। তারা সাধ্যমত বিপদের সময় মানুষের পাশে দাড়িয়েছেন। সরকারের লক্ষ্য উদ্দেশ্যোর কথা মানুষকে বুঝিয়ে ভুমিকা রাখছেন। এবারেও ভাঙনের পর জীবন-জীবিকা রক্ষার্থে সাধারন মানুষও স্বেচ্ছায় বাঁধের কাজে নেমে পড়েন। এর অংশ হিসেবে মঙ্গলবার সুন্দরবন ঘেষা কয়রার দশহালিয়াতে বিচ্ছিন্ন বাঁধ মেরামতের জন্য সাধারন মানুষ অংশ গ্রহন করেন। এক পর্যায়ে সংসদ সদস্য মোঃ আকতারুজ্জামান বাবু সহ দলীয় নেতা-কর্মীরা ট্রলারযোগে ভাঙনকুলে পৌছান। এ সময় ক্ষতিগ্রস্থ মানুষ দীর্ঘদিনের প্রানের দাবী টেকসই বাঁধের দাবী তোলেন। ক্ষোভের মুহুর্তে এ সময় কেউ-কেউ উস্কানী দিলে জামাতপন্হীরা সহ এমনকি ভিতরের কিছু মানুষের ইন্ধনে ট্রলারে কাঁদা ছোড়ার ঘটনা ঘটলেও পরবর্তীতে সেই সাধারন মানুষ এমপি-বাবুর সাথে কাঁধে-কাঁধ মিলিয়ে বাঁধে মাটির কাজে যোগদেন। যা সকলে প্রত্যক্ষ করেছেন। কিন্তু এ ঘটনাটি সরকার বিরোধীরা এমনকি এমপি-বাবুর রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা একটি ভিডিও বিভিন্ন স্থানে মোবাইল ম্যাসেঞ্জারে ছড়িয়ে দিয়ে কৌতুহলের সৃষ্টি করেছেন। এমনকি এমপি’র ভাবমুর্তি বা সন্মান নিয়ে টানাহেচড়ার চেষ্ট করেছেন। কিন্তু এ ঘটনায় এমপি বাবুর সন্মান কিন্তু কমেনি, জনপ্রতিনিধি বা রাজনৈতিক নেতা হিসেবে সর্বসাধারনের কাছে তার গ্রহণযোগ্যতা বেড়েছে। কেননা সে এমপি নির্বাচিত হবার পর সকল দুর্যোগের সময় ও করোনা মহা সংকটে এ জনপদে মানুষের পাশে রয়েছেন। ট্রলারে কাঁদা ছুড়ে শুধু এমপি’র ভাবমুর্তি ক্ষন্ন করেননি? তারা সরকার ও আওয়ামীলীগের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করার চেষ্টা করেছেন। এতে তাদের কোন লাভ হয়নি ও হবেও না। আর এ ঘটনা ঘটিয়ে যারা লাভবান হতে চেয়েছিলেন সে সম্পর্কে যথাযত রিপোর্ট সরকারের উচ্চমহল পর্যন্ত পৌছিয়েছে। ভবির্ষ্যতে এ জনপদে যারা এমপি বা বড়মাপের রাজনৈতিক নেতা হবার চেষ্টা করছেন তারা দুর থেকে পাজামা-প্ঞ্জাাবী পরে ঘরে বসে শুধু সমালোচনা করে দায়িত্ব এড়িয়ে যাবেন না। দুর্যোগ পরবর্তীতে মানুষের পাশে এসে দাঁড়ান। করনীয় বিষয়ে ভুমিকা রাখুন। সরকারকে আকৃষ্ট করতে টেকসই বেড়িবাঁধের দাবী জোরদার করুন। ক্ষতির বড় কারন চিংড়ি থাকবে কিনা মতামত দিন।অস্তিত্বের জন্য আমরা সকলে ভুমিকা রাখি। কারন বিজ্ঞানীরা ভবির্ষ্যত বানী করেছেন জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে আগামী ৫০ বছরের মধ্যে উপকূলীয় জেলা সমুহ প্লাবিত হয়ে কোটি-কোটি মানুষ গৃহহীন হবে। এ অঞ্চল বসবাসের অনুপোযোগী হয়ে পড়বে। আমরা সেই আলামত প্রত্যক্ষ করছি। এখন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা’র সরকার আমাদের শেষ ভরসাস্থল হয়ে দাঁড়িয়েছে।