এই দুর্যোগকালেও থেমে নেই মাদক ব্যবসায়ীরা সাদীপুর বিভিন্ন পকেট ঘাট দিয়ে দেদারছে আসছে মাদক

0
203

বেনাপোল প্রতিনিধি:
যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানার আওতাধীন অগ্রভুলোট, পুটখালী, গাতিপাড়া, বড়আঁচড়া, সাদীপুর, রঘুনাথপুর, ঘিবা সীমান্ত দিয়ে দেদারছে আসছে ফেন্সিডিল, গাঁজা, মদ, হিরোইন ও গুলি অস্ত্র, বৈদেশিক মুদ্রা। এছাড়া অবৈধ পন্থায় সীমান্ত পার হচ্ছে নারী-পুরষ,শিশু ও স্বর্ণের বড় বড় চালান এই সব সম্ভব হচ্ছে সীমান্তে বিজিবির পোষ্ট না থাকার কারনে। স্থানীয় সুত্রে জানাযায়, মাদক সা¤্রাট ক্ষেত কিছু লোক একত্রিত হয়ে সিন্ডিকেট করে এই অবৈধ কাজ করে যাচ্ছে আর প্রশাসনের কিছু অসাধু লোক লামছাম সাপ্তাহিক হারে মাসোহারা পাচ্ছে। আর মাঝে মধ্যে দুই তিন জন্য বিজিবি টহল দিয়ে লোকসমাগম যেখানে থাকে সেখানে গিয়ে তাদের কে বাড়ী পাঠিয়ে দিয়ে তারপর সিন্ডিকেট এর সদস্যদের নিয়ে এই অবৈধ কাজ করছে। আরো জানা যায় আগে বিভিন্ন পয়েন্টে বিজিবির পোষ্ট ছিল সেই সময় কিন্তু এত পরিমানে অবৈধ কাজ হতে দেখেনি। এখন অনেক সুভিধা বিভিন্ন পোষ্ট দিয়ে বাঁধা ছাড়া পারাপার সহজ যেমন কাঁঠাল তলা পোষ্ট,বমবি তলা পোষ্ট,ডাক্তার বাড়ী পোষ্ট ও গাবতলা পোষ্ট দিয়ে বিভিন্ন প্রকার ভারতীয় মাদক উঠে এবং নারী-পুরষ শিশু পারাপার হয়ে থাকে। এদিকে স্থানীয় সুত্রে জানা যায় সাদীপুর ঘাট সিন্ডিকেট মালিকের নাম রমজান, কুদ্দুস, কামাল, নেদা, মিলন,সাংবাদিক মুরাদ, এদের সহযোগীতায় আছেন আরো ৪০/৫০ জন। নির্ভর যোগ্য সুত্রে জানাযায় সাংবাদিক পেশার নাম ভাঙ্গিয়ে মুরাদ মূলত সে গাঁজা ও ফেন্সিডিল তুলে তার গুরুর খামার থেকে পাইকুড়ি বিক্রয় করে প্রাইভেট কার, মোটরসাইকেল, এ্যাম্বুলেন্স, ইজিবাইকে করে দেশের বিভিন্ন জেলার মাদক স্পটে যায়, নাম প্রকাশ না করা শর্তে এক গ্রাম বাসি জানান, এই সকল অবৈধ কাজের জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধি জড়িত আবার সে মাদক নির্মুল করতে মুখে মুখে বলেন কিন্তু গোপনে মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মাসোহারার টাকা খাই। এ বিষয়ে ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল সেলিম রেজা জানান দীর্ঘদিন যাবত হুন্ডি, মাদক, চেরাচালান ও স্বর্ণ আটকের নিমিত্তে বিজিবি’র বিশেষ পরিকল্পনা অনুযায়ী গোয়েন্দা তৎপরতাসহ অভিযান জোরদার করা হয়েছে। এর ফলপ্রসূ বিভিন্ন মাদক ও অবৈধ পণ্যের চালান ধরা হচ্ছে এবং এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান। এ বিষয়ে কথা হয় বেনাপোল পোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মামুন খানের সাথে তিনি বলেন, আমাদের যশোর জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার জনাব মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন পিপিএম মহোদয়ের নির্দেশনায়, সাধ্যমত মাদকের বিরুদ্ধে জিরোট্রলারেন্স নিতি অবলম্বন করেছি বা করছি এবং অভিযান অব্যাহত আছে থাকবে মাদকের সাথে যারা জড়িত তাদের সাথে কোনো আপস নয়। স্থানীয় সুদী সমাজের মানুষ অনুরোধ করে প্রতিবেদক কে বলেন, আগামী প্রজন্মকে আধুনিক বা ডিজিটাল করে গড়ে তুলতে মাদক নির্মুল না করলে প্রতিবন্ধকতা মূল কারণ হবে, এবং সকল প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।