ইউপি নির্বাচন,পাইকগাছার কাশিমনগরে এগিয়ে রয়েছেন শেখ রবিউল ইসলাম

0
163

নিজস্ব প্রতিবেদক:
জমে উঠেছে স্থানীয় সরকার পরিষদের সাধারণ নির্বাচন। ১১ এপ্রিল প্রথম ধাপের নির্বাচনে পাইকগাছার কপিলমুনিতে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী জনবান্ধব বর্তমান চেয়ারম্যান কওছার আলী জোয়াদ্দার ফের নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন বলে মনে করছেন নির্বাচন বোদ্দারা। শক্ত প্রতিদ্ব›িদ্ব না থাকায় চেয়ারম্যান পদে সাধারণ ভোটারদেরও আগ্রহ খানিকটা কম। তবে প্রতিটি ওয়ার্ডে মূলত নির্বাচনী মাঠ গরম করছেন সদস্য পদের প্রার্থীরা। সকাল থেকে মধ্যরাত অবধি তারা কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে প্রচার-প্রচারনায় ব্যস্ত থাকছেন স্ব-স্ব নির্বাচনী এলাকায়। সাধারণ নির্বাচনকে গুরুত্ব দিয়ে পাঠকদের জন্য তুলে আনা হচ্ছে নির্বাচনী এলাকার সর্বশেষ তথ্য। যার ধারাবাহিকতায় আজ রয়েছে উপজেলার কপিলমুনি ইউনিয়নের ২নং কাশিমনগর এলাকার সর্বশেষ অবস্থা। সুন্দরবন উপকূলীয় পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনি ইউনিয়নের সর্বশেষ উত্তর প্রান্তের ওয়ার্ড ২ নং কাশিমনগর। সাতক্ষীরার তালা উপজেলার সীমান্ত গ্রাম এটি। ইতিহাস-ঐতিহ্য, সামাজিক, সাংষ্কৃতিক ও শিক্ষার অবস্থান ইউনিয়নের অন্য ওয়ার্ডগুলির থেকে ব্যতিক্রম। এখানকার বাসিন্দারা বেশ সচেতন। বিশেষ করে যেকোন নির্বাচনে নির্বাচনপূর্ব জরিপই আগাম বলে দেয় ফলাফল। কাশিমনগর ওয়ার্ডেও ভোটার সংখ্যা ৩ হাজার ১ শ’৬৫ জন। গত নির্বাচনে এ সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৮ শ’৪৬ জন। অর্থাৎ নতুন ভোটার বেড়েছে ৩শ’১৯ টি। এবার সদস্য পদে ওয়ার্ডটি থেকে ৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্ব›িদ্বতা করছেন। যার মধ্যে বর্তমান ইউপি সদস্য শেখ রবিউল ইসলাম, সাবেক ইউপি সদস্য মো: হাসানুর রহমান মোড়ল ও নতুন প্রার্থী শহিদুল ইসলাম। এক্ষেত্রে নতুন প্রার্থী শহিদুল ইসলাম মূল নির্বাচনে কোন প্রকার প্রভাব ফেলতে পারবেনা। মূলত ভোটাররা তাকিয়ে রয়েছেন শেখ রবিউল ইসলাম ও হাসানুর রহমানের দিকে। সাধারণ ভোটারদের আকৃষ্ট করতে প্রার্থী ও তার কর্মী-সমর্থক বিভিন্ন প্রচার-প্রচারনার পাশাপাশি অপ-প্রচারও করছেন কেউ কেউ। তবে ভোটাররাও বেশ সচেতন। তারাও চুল-চেরা বিশ্লেষণ করছেন প্রার্থীদের নিয়ে। কাকে নির্বাচিত করলে জনস্বার্থ ত্বরান্বিত হবে। এলাকার উন্নয়ন হবে। গত ১০ বছরে নির্বাচিত দু’ইউপি সদস্য কে কতটুকু কাজ করেছেন। কিংবা কে বেশি সাধারণ মানুষের পাশে পৌছাতে পেরেছেন। পাঠকদের উদ্দেশ্যে অনুসন্ধানে তাদের কর্মকান্ডের খন্ডচিত্র তুলে ধরা হল:
সর্বশেষ গত ৫ বছরে শেখ রবিউল ইসলাম নির্বাচিত হওয়ার পর সরকারের বয়স্ক ভাতা,বিধবা ও প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড হয়েছে দু’শতাধিক। মাতৃত্বভাতার আওতায় নেয়া হয়েছে অর্ধ শতাধিক মা-কে। শিশু কার্ড বিতরণ হয়েছে ১০৮ জনকে। করোনাকালীন জনপ্রতি ২৫ শ’ টাকার প্রনোদনা দেওয়া হয়েছে ১শ’ ৮৫ জনকে। ফেয়ার প্রাইচ কার্ডের আওতায় নেয়া হয়েছে ১ শ’৯৫ জনকে। কর্মসৃজন কর্মসূচীর আওতায় কাজ করেছেন ৩০ জন শ্রমিক। করোণাকালীণ ওয়ার্ডের প্রায় ৮০% পরিবারের কাছে পৌছে দেওয়া হয়েছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর খাদ্য উপহার। এছাড়া ব্যক্তিগত উদ্যোগে ৪ শতাধিক পরিবারের মধ্যে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় বিতরণ করা হয়েছে সোলার সিষ্টেম, সেলাই মেশিন, পানি নিষ্কাশনের পাইপ, স্যানিটেশন ব্যবস্থা বাস্তবায়নে রিং-¯øাব। সরকারের আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর প্রদানে সু-সম বন্টনে সহযোগিতা। যা বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন মসজিদ, মন্দিরসহ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে সহযোগিতার পাশাপাশি কৃষি উপকরণের সু-সম বন্টন। ওয়ার্ডের সকল কাঁচা রাস্তায় মাটি প্রদানে সংষ্কার ও নতুন প্রায় ৪৩ শ’ফুট ইটের সোলিং রাস্তা। এছাড়া ব্যক্তি উদ্যোগে সার্বক্ষণিক এলাকার সাধারণ মানুষের পাশে আছেন তিনি। পক্ষান্তরে সাবেক ইউপি সদস্য হাসানুর রহমানের সময় ৩০/৩৫ জনের মধ্যে দেওয়া হয়েছিল বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধী কার্ড, মাতৃত্বকালীণ ভাতা প্রদান করা হয়েছিল ৮/১০ জনকে।
২০১১ সালের নির্বাচনে হাসানুর রহমানকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করলেও কাংখিত সুবিধা না পেয়ে ২০১৬ সালের নির্বাচনে এলাকাবাসী মুখ ফিরিয়ে নেয় তার দিক থেকে। নির্বাচিত করেন শেখ রবিউল ইসলামকে। সর্বশেষ শেখ রবিউল ইসলামের কর্মকান্ড ও কর্মতৎপরতায় এলাকাবাসী চাইছেন ফের তাকে নির্বাচিত করতে। সব কিছু ঠিক-ঠাক থাকলে আগামী ১১ এপ্রিলের নির্বাচনে ২য় বারের মত নির্বাচিত হচ্ছেন শেখ রবিউল ইসলাম। এমনটাই প্রত্যাশা ওয়ার্ডবাসীরও।