আশাশুনির খাজরায় বাঁশের সাঁকোই ভরসা ৩টি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের

0
282

মইনুল ইসলাম, আশাশুনি:
আশাশুনি উপজেলার খাজরায় একটি মাত্র বাঁশের সাঁকোর উপর ভরসা ৩টি বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর। জানাগেছে, ইউনিয়নের গজুয়াকাটি সরকারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন চেউটিয়া খালের উপর নির্মিত বাঁশের সাঁকোটি বর্তমানে নড়বড়ে অবস্থার কারণে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, বাইনতলা আর সি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ত্রয়োদশ পল্লী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় এবং গজুয়াকাটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছ্ত্রা-ছাত্রীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এ ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকোর উপর দিয়ে প্রতিদিন পারাপার হয়ে থাকে। এছাড়া অত্র এলাকার সাধারণ জনগন বিভিন্ন প্রয়োজনে উপজেলাসহ পার্শ্ববর্তী কয়েকটি বাজারে যাতায়াত করে থাকে। স্থানীয়রা জানান, কৃষি কাজসহ নিত্য প্রয়োজনীয় মালামাল আনা নেওয়ার ক্ষেত্রে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয় তাদের। বিষয়টি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে বহুবার অবগতি করা হলেও অদ্যবধি তারা কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। একাধিক অভিভাবক এ প্রতিবেদককে জানান, সাঁকো অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় শত ব্যস্ততার মাঝেও সকালে ছেলে মেয়েদের বাঁশের এ সাঁকো পার করে স্কুলে পাঠাতে হয় এবং ছুটি শেষে আবারও তাদেরকে পার করে বাড়ীতে নিয়ে আসতে হয়। কয়েকজন শিক্ষার্থীরা জানান, ঝুঁকিপূর্ণ এ সাঁকোটি পারাপার হতে তাদের ভোগান্তির অন্ত থাকে না। অনেক শিক্ষার্থীরা পা পিছলে সাঁকো থেকে খালের পানিতে পড়ে বই বিনষ্ট এবং আহত হলেও ঝুঁকিপূর্ণ এ সাঁকোর স্থানে এখনও পর্যন্ত ব্রীজ বা কালভার্ট নির্মানের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। এব্যাপারে জানতে চাইলে কালিকাপুর ইউপি সদস্য ইব্রাহিম গাজী জানান, বিষয়টি নিয়ে খাজরা ইউপি চেয়ারম্যানের সাথে আলোচনা করা হয়েছিলো। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে এখনও পর্যন্ত এ খালের উপর কালভার্ট বা ব্রীজ নির্মানের কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। এমতাবস্থায় এলাকাবাসী, কোমলমতি শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষের যান মালের নিরাপত্তার স্বার্থে এ ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকোর স্থানে অতিদ্রুত ব্রীজ বা কালভার্ট নির্মানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবী জানিয়েছেন স্থানীয় সচেতন মহল।