আনুলিয়ায় ভোগদলীয় জমি জবর দখলের চেষ্টা!

0
307

আশাশুনি প্রতিনিধি: আশাশুনি উপজেলার আনুলিয়ায় ৪০/৪৫ বছরের ভোগদখলীয় ও রেকর্ডীয় পৈত্রিক সম্পত্তিতে জবর দখলের চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানাগেছে, উপজেরার আনুলিয়া ইউনিয়নের পাইকপাড়া গ্রামের মহাতাব উদ্দিনের নামে পাইকপাড়া মৌজায় এসএ ১০, বিএস ২৫ খতিয়ানে এসএ ৮ ও হাল ১০ নং দাগে ১৬ শতক জমির মধ্যে ১১ শতক, সাবেক ২ ও হাল ২ দাগে ৭৮ শতক জমির মধ্যে ১৩ শতক ও সাবেক ১৩, হাল ১৫ দাগে ০১ শতক (কবরস্থান) মোট ২৫ শতক জমি রেকর্ড আছে। উক্ত জমিতে পৈত্রিক সূত্রে ওয়ারেশ আশরাফ, শামছুর, আছাদুর, শাহাদাৎ, ফজলু, মেহরুন, জয়নাব, শেফালী ও শিউলি দীর্ঘ ৪০/৪৫ বছর যাবৎ শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোগদখলিকার আছেন। সাবেক ৮ ও হাল ১০ দাগে সাড়ে ৫ শতক জমি (জলকর) তারা একই গ্রামের মৃত ভদু গাজীর ছেলে মহাতাবের নিকট ২০১৪ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে ডিড দিয়েছিলেন। ডিড শেষে বর্তমানে উক্ত জলকরহ সমুদয় জমি তারা ভোগদখলে আছেন। অপর শরীক মফিজের ওয়ারেশ ওবায়দুল দিং তাদের সাবেক ৮, হাল ১০ দাগে রেকর্ডীয় ০৫ শতক জমি (আশরাফ দিং দখলীয় জমির পূর্ব পাশে) দখলে আছেন এবং বিএস ২৩ খং ৪, ১০ ও ১৫ দাগে তাদের পাওনা ২৬ শতক হলেও রেকর্ড হয়েছে ২৯ শতক। তাদের পাওনা জমি তারা দখলে আছেন। ফেরদৌসের ওয়ারেশ মহসিন দিং বিএস ২১ খং ২,৩ ও ১৩ দাগে পাবে ২৪ শতক, রেকর্ড হয়েছে ২৫ শতক। তারাও তাদের পাওনা জমিতে ভোগদখলে আছেন। অপর শরীক ইমান আলির ওয়ারেশ গোলাম কুদ্দুছ দিং বিএস ১৭ খং ২ দাগে পাওনা ২৪, রেকর্ড ২৪ শতক। যা তাদের দখলে আছে। এছাড়া বিএস ৪ ও ৩ খং ওয়ারেশগণ তাদের নামে রেকর্ড পেয়েছেন এবং স্ব-স্ব জমি দখলে আছেন। তারা তাদের সমুদয় জমিতে দখলে থাকা স্বত্ত্বেও প্রতিপক্ষের (আশরাফ দিং) জমিতে অবৈধ দখলের ষড়যন্ত্র শুরু করলে তাদের পক্ষে সাতক্ষীরা জজ কোর্টের এ্যাড. ফারজানা রহমান মহাসিন দিংকে লিগ্যাল নোটিশ প্রদান করেন। এরপরও তারা রেকর্ডীয় ও ৪০/৪৫ বছরের ভোগদখলীয় জমির মালিকদের ২৫ শতক জমির মধ্যে তাদের জমি রয়েছে দাবী করে ইউপি চেয়ারম্যান বরাবর অভিযোগ করেন। নোটিশ পেয়ে ২১ ডিসেম্বর বিবাদী পক্ষ হাজির হলে ঘেরাবেড়া উঠিয়ে শালিসে আসতে হবে বলে তাদেরকে জানিয়ে দেওয়া হয়। আশরাফ দিং বলেন, উকিল নোটিশ দেওয়া এবং শালিস নিস্পত্তি না করে হঠাৎ করে ৪ জানুয়ারি প্রতিপক্ষ ওবায়দুল ও মহসিন স্থানীয় গ্রাম পুলিশ এলেম শেখের পুত্র মোরালী ও মোসলেম খার ছেলে আয়ুব আলির উপস্থিতিতে তাদের সহযোগিদের নিয়ে লাঠি শোটা নিয়ে তাদের দখলীয় সীমানার ঘেরাবেড়া ভেঙ্গে একাকার করে দেয় এবং জানমালের ক্ষতি সাধনের হুমকী ধামকী দিচ্ছে। ফলে তারা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তারা আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এব্যাপারে আইনের আশ্রয় নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।