অধ্যক্ষ হত্যা: আমৃত্যু কারাদ-র পাশাপাশি আসামিদের অর্থদ-

0
202

টাইমস ডেস্ক:
১৯ বছর আগে চট্টগ্রামের নাজিরহাট কলেজের অধ্যক্ষ গোপাল কৃষ্ণ মুহুরী হত্যা মামলায় তিনজনকে আমৃত্যু কারাদ-ের পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদ- দিয়ে রায় ঘোষণা করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। গতকাল বৃহস্পতিবার জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ রায় দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাসগুপ্ত। এর আগে গত ৬ অক্টোবর ওই তিন আসামির মৃত্যুদ-ের সাজা কমিয়ে আমৃত্যু কারাদ- দিয়ে রায় দিয়েছিলেন আপিল বিভাগের একই বেঞ্চে। গতকাল বৃহস্পতিবার নতুন করে এই অর্থ দ- সংযুক্তি করে রায় দেয়া হলো। আমৃত্যু দ-প্রাপ্ত তিন আসামি হলেন-তসলিম উদ্দীন ওরফে মন্টু, আজম ও আলমগীর কবির ওরফে বাইট্টা আলমগীর। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাসগুপ্ত সাংবাদিকদের বলেন, ৬ অক্টোবর রায়ে আদালত তিন আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদ-ের আদেশ দেন। এ যাবজ্জীবন মানে আমৃত্যু কারাদ-। কিন্তু ঘোষিত রায়ে জরিমানা আরোপের বিষয়টি ঘোষণা করা হয়নি। গতকাল বৃহস্পতিবার আদেশে আপিল বিভাগ তিন আসামিকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেন। অনাদায়ে আরও অতিরিক্ত এক বছর করে কারাদ- দেয়া হয়েছে। ২০০১ সালের ১৬ নভেম্বর চট্টগ্রাম মহানগরীর জামাল খান রোডের বাসায় নাজিরহাট কলেজের অধ্যক্ষ গোপাল কৃষ্ণ মুহুরীকে (৬০) গুলি করে হত্যা করে জামায়াত-শিবির ক্যাডাররা। একইদিন তার স্ত্রী রেলওয়ের তৎকালীন অডিট কর্মকর্তা উমা মুহুরী বাদী হয়ে চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলার বিচার শেষে নাসির ওরফে গিট্টু নাসির, আজম, আলমগীর কবির ওরফে বাইট্টা আলমগীর এবং তসলিম উদ্দীন ওরফে মন্টুকে মৃত্যুদ- দেন বিচারিক আদালত। এ ছাড়া আসামি মহিউদ্দিন ওরফে মহিনউদ্দিন, হাবিব খান, সাইফুল ওরফে ছোট সাইফুল এবং শাহাজাহানকে যাবজ্জীবন কারাদ- দেন। পরবর্তীতে মামলার ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পৌঁছে। পাশাপাশি আসামিরা আপিল করেন। এর মধ্যে মৃত্যুদ-প্রাপ্ত গিট্টু নাসির ক্রসফায়ারে মারা যান। মারা যান যাবজ্জীবন দ-প্রাপ্ত ছোট সাইফুলও। হাইকোর্টে শুনানি শেষে তিনজনের মৃত্যুদ- বহাল থাকে। তবে যাবজ্জীবন দ-প্রাপ্ত শাহাজাহান ও সাইফুল খালাস পান। বাকিদের সাজা বহাল থাকে। একপর্যায়ে মামলাটি আপিল বিভাগে আসে। আসামিদের আপিলের শুনানি শেষে ৬ অক্টোবর রায় ঘোষণা করা হয়।