ফণীর ৩দিন পরে খাবার বিতরণ, সাইক্লোন শেল্টারে আশ্রয় নেয়া সংখ্যার হিসেবে গড়মিল

0
501

শরণখোলা  অফিস: শরণখোলায় ঘূর্ণীঝড় ফণীর রাতে সাইক্লোন শেল্টারে আশ্রয় নেয়া ব্যক্তিদের জন্য বরাদ্দকৃত শুকনো খাবার তিনদিন পরে সোমবার বিতরণ করা হয়। অপরদিকে শেল্টারে আশ্রয় নেয়া ব্যক্তিদের সংখ্যা প্রশাসনের হিসেবের সাথে বাস্তবে গড়মিল রয়েছে বলে জনপ্রতিনিধিদের তথ্যে জানা গেছে ।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার ঘূর্ণীঝড় ফণীর রাতে উপজেলার ৮৫টি সাইক্লোন শেল্টারে ৪৫ হাজার ২শ ৫০ জন আশ্রয় নিয়েছিলো। অথচ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানান, প্রশাসনের হিসেবের সাথে বাস্তবে বিস্তর ফারাক রয়েছে। সাউদখালী ইউনিয়নের বগী ৭ নং ওয়ার্ড মেম্বার রিয়াদুল পঞ্চায়েত জানান, তার ওয়ার্ডের ৩টি শেল্টারে ৮৫৪ জন লোক আশ্রয় নিয়েছিলো, সাউদখালী ৬নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য জাকির হোসেন জানান, তার ওয়ার্ডের ৪টি শেল্টারে
১৩০০ জন ছিলো। এ ভাবে অন্যান্য এলাকা থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী প্রশাসনের হিসেবের সাথে গড়মিল লক্ষ্য করা গেছে। ঝড়ের রাতে প্রশাসনের তরফে কয়েকটি শেল্টারে সামান্য পরিমাণে শুকনো খাবার চিড়া গুড় বিতরন করা হয়।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন জানান, সরকারের কাছ থেকে পাওয়া ১৩শ প্যাকেট শুকনো খাবার সোমবার সাউদখালী ইউনিয়নের ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের মাঝে বিতরণ করা হয়। তিনি বলেন, ঝড়ের রাতে উপজেলার সাইক্লোন শেল্টার গুলোতে ৪৫ হাজার ২ শ ৫০ জন মানুষ আশ্রয় নিয়েছিলেন।
বাগেরহাটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (জেনারেল) মোঃ জহিরুল ইসলাম মুঠোফোনে জানান, দূর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার জন্য ঢাকা থেকে সরকারী বরাদ্দের শুকনো খাবার আমরা দেরীতে রবিবার পেয়েছি। শরণখোলায় ঘূর্ণীঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের জন্য ইতিমধ্যে ৩০ টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। আরো বরাদ্দ আসছে। সাইক্লোন শেল্টারে আশ্রয় নেয়া ব্যক্তিদের সংখ্যা প্রশাসনের হিসেবে কমবেশী হতে পারে বলে তিনি জানান।