দাকোপে আলোচিত স্কুল ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন স্থগিত

0
661

আজিজুর রহমান,খুলনাটাইমস :
খুলনার দাকোপ উপজেলার চালনা কেসি পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচন স্থগিত করেছেন আদালত।

বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বলেন, আদালতের নোটিশ জারিরপত্র প্রাপ্তির পর নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। নির্বাচনী কার্যক্রমের ওপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আবেদন করলে আদালত উভয় পক্ষের শুনানিক্রমে বুধবার এ আদেশ দেন।

 

নির্বাচনের ভোটার তালিকায় ত্রুটি ও বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে বুধবার (১৯ সেপ্টেম্বর) খুলনার বিজ্ঞ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন সাতজন ব্যক্তি। যাচাই বাছাই করে স্কুল ম্যানেজিং কমিটি নির্বাচনে ৬শত ১৩ জন ভোটারের চূড়ান্ত তালিকা ছয় আগষ্টে প্রকাশ করেন নির্বাচন পরিচালনা কমিটি। প্রকাশিত তালিকায় আটজন মৃত্যু ব্যক্তি, ঠিকানাহীন ২০ জন, নামের গরমিলসহ একই ব্যক্তি তালিকায় দু’বার ভোটার হিসেবে নাম ছিল। অভিযোগ রয়েছে, তালিকায় মৃত্য ভোটার ও স্কুলে শিক্ষার্থী নেই ভোটার হিসেবে অভিভাবকের নাম থাকলেও কম্পিউটার প্রদর্শকের নাম ছিল না।
চালনা কেসি পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কম্পিউটার প্রদর্শক মিলটন মন্ডল জানান, ভোটার তালিকা থেকে চক্রান্তমূলকভাবে তাঁর নাম বাদ রাখা হয়েছিল। বিষয়টি জেনে খুলনা বিজ্ঞ আদালতে দেওয়ানী ১১৬/১৮ নম্বরে মামলা দায়ের করেন তিনি। পরে তাঁর নাম আদালতের মাধ্যমে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভূক্তির আদেশ পায়। এরপর শিক্ষক প্রতিনিধি পদে প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতা করতে বৃহস্পতিবার ইউএনও’র নিকট লিখিত আবেদন করেন মিলটন। এতে বলা হয়েছে ভোটার তালিকা সংশোধন করে পুনঃতফসিলের মাধ্যমে নির্বাচন ঘোষণা দেওয়া হোক।

 

উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী বৃহস্পতিবারে (২৭ সেপ্টেম্বর) স্কুল ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। নির্বাচনে অভিভাবক সদস্য পদে পুরুষ আটজন ও সংরক্ষিত মহিলা তিনজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দিতা করছিলেন। ইতোমধ্যে এই নির্বাচনের প্রচার প্রচারণাও বেশ জমে উঠেছিল। এর মধ্যে গত বুধবার এই নির্বাচন স্থগিতাদেশ ঘোষণা করা হয়।

শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সোহেল হোসেন জানান, আদালতে প্রায় আটটি অভিযোগ দায়ের করলে সেগুলো আমলে নেয়নি। এরমধ্যে মিলটন মন্ডলকে দ্রুত ভোটার তালিকায় অন্তর্ভূক্তি করে নির্বাচনের দিনধার্য্য করতে বলা হয়েছে। তবে ২০ অক্টোবরে আদালতে একটি শুনানি আছে। এখন আদালতের আদেশ অনুসারে নির্বাচন করা হবে।

এদিকে দাকোপ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর লিখিত অভিযোগ এনে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মো. সোহেল হোসেন ও তাঁর সহকারি রমজান আলীকে (শিক্ষক) নির্বাচনের দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার চেয়েছেন নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দিতা প্রার্থী ও মামলার বাদী বিলাস বিশ্বাস, প্রবীন রায়, লাবনী গোলদার, মুকুল কান্তি মন্ডল তাছাড়া মামলার আরও তিনজন বাদী হচ্ছে মিলটন মন্ডল, প্রীতিশ বিশ্বাস ও অমিয় ঘোষ। তারা বলেন, আদালতের আদেশক্রমে নির্বাচন স্থগিত হয়েছে। সঠিক ভোটার তালিকা তৈরি করে পুনরায় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা দিয়ে পুনঃ প্রচারণার স্বার্থে সময় চেয়েছে তারা।

এ বিষয়ে ইউএনও মো. আব্দুল ওয়াদুদ খুলনাটাইমসকে  বলেন, যেহেতু মামলাটি আদালতের অধীনে তাই আদালত যে সিদ্ধান্ত নিবেন সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।