অনিশ্চয়তা কাটেনি পদ্মা সেতুর রেল সংযোগ প্রকল্প নিয়ে

0
1890

খুলনা টাইমস ডেস্ক :
মূল সেতুর কাজ শুরু হওয়ার ৩ বছর পরও অনিশ্চয়তা কাটেনি পদ্মা সেতুর রেল সংযোগ প্রকল্প নিয়ে। মূলত চীনের সঙ্গে ঋণ চুক্তি নিয়ে জটিলতার কারণেই কাজ শুরু করা যাচ্ছে না। এ অবস্থায় সেতু উদ্বোধনের দিন রেল লাইন চালু করার পরিকল্পনা থেকে সরে আসতে বাধ্য হয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়। তবে চলতি মাসে চীনের সঙ্গে ঋণ চুক্তি সম্পন্ন করার ব্যাপারে আশাবাদী রেলমন্ত্রী বলছেন, শিগগিরই শুরু হবে প্রকল্পের কাজ।

নদীর বুকে বিশাল কর্মযজ্ঞ। সাফল্যের মুকুটে নতুন পালক হিসেবে জাজিরা প্রান্তে দুটি পিলারের ওপর একটি স্প্যান বসানোর কাজও সম্পন্ন। নতুন করে আরো দুটি পিলারকে প্রায় প্রস্তুত করে আনা হচ্ছে । প্রায় শতভাগ কাজ শেষ সংযোগ সড়ক এবং সার্ভিস এরিয়াগুলোর কাজেও।

তবে জট বেঁধেছে রেল সংযোগ প্রকল্পের কাজে। ২০১৬ সালের জানুয়ারি মাসে কাগজে কলমে কাজ শুরু হওয়া এ প্রকল্প রাজধানী ঢাকাকে রেলপথে যোগ করবে দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে। কমলাপুর থেকে ছাড়া ট্রেন গেন্ডারিয়া হয়ে পৌঁছাবে ৩৭ কিলোমিটার দুরের মুন্সিগঞ্জের মাওয়ায়। সেখান থেকে মূল পদ্মা সেতু দিয়ে যাবে অন্যপ্রান্ত জাজিরায়। আর জাজিরা থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত ৪২কিলোমিটার এবং পরে ভাঙ্গা থেকে নড়াইল হয়ে যশোর পর্যন্ত ৮৭ কিলোমিটার রেল সংযোগ দেয়া হবে।

গত বছর চীনা প্রেসিডেন্টের সফরে সমঝোতা স্মারকের পর চলতি বছর অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দেশটিকে এ প্রকল্পে ঋণ দেয়ার তাগিদ দেয়া হয়। তবে দেশটির এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে সুদের হারসহ চুক্তির নানা শর্ত নিয়ে বনিবনা হচ্ছিলো না। আশার কথা সম্প্রতি এক্সিম ব্যাংকের বোর্ড সভায় এ প্রকল্পে ঋণ অনুমোদন হয়েছে।

প্রকল্পে ৩৫ হাজার কোটি টাকার মধ্যে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা বাংলাদেশ আর বাকী টাকা ঋণ হিসেবে দেবে চীন। প্রথম পর্যায়ে রেলপথ নির্মাণের জন্য ৩৬১ হেক্টর জমির প্রয়োজন হবে। মূল পদ্মা সেতু প্রকল্পের পক্ষ থেকে কিছু এলাকায় জমিও অধিগ্রহণ করে রাখা হয়েছে।

রেল লাইন চালু করা গেলে খুলনার সাথে ঢাকার দূরত্ব কমবে ২১২ কিলোমিটার, সময় লাগবে সাড়ে ৩ ঘণ্টা। এছাড়া পায়রা ও মংলা সমুদ্র বন্দরের সঙ্গেও রেল যোগাযোগের দুয়ার খুলবে।