১০অক্টোবর দিনাজপুরের গণহত্যা দিবস

0
464

দিনাজপুর প্রতিনিধিঃ ১৯৭১ সালের ৯ অক্টোবর বিরামপুর উপজেলার আলতাদিঘীতে একটি গরুর গাড়িতে করে পাক হানাদার বাহিনীর সদস্যরা বিরামপুর ক্যাম্পে যাচ্ছিল। এসময় মুক্তিযোদ্ধারা অতর্কিত হামলা করে ৭ সেনাকে হত্যা করে। এসময় তাদের সঙ্গে দুই রাজাকার ছিল। সেই রাজাকাররা বিরামপুর হানাদার বাহিনী ক্যাম্পে খবর দেয়।পরে এ ঘটনায় প্রতিশোধ নিতে ৯ অক্টোবর রাতে পুটিমারা ইউনিয়নের চড়ারহাট (প্রাণকৃঞ্চপুর) ও আন্দোলগ্রাম (সারাইপাড়া) ঘেরাও করে বিরামপুর ক্যাম্প কমান্ডারের নেতৃত্বে হানাদান বাহিনী। ১০ অক্টোবর ভোরে গ্রামের মানুষদের কাজের কথা বলে ডেকে নিয়ে চড়ারহাটের একটি স্থানে সারিবদ্ধ করে নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করেছে।সে সময় সব শহীদদের মরদেহ শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। শহীদদের মধ্যে ৯৩ জনের মরদেহ শনাক্ত করা হয়েছিল। যার মধ্যে চড়ারহাট (প্রাণকৃঞ্চপুর) গ্রামের ৬১ জন ও আন্দোলগ্রামের (সারাইপাড়া) ৩২ জন ছিল। ওই সময় এক কবরে একাধিক মরদেহ দাফন করা হয়।স্বাধীনতার ৪০ বছর পর বিগত ২০১১ সালে নিহত শহীদদের জন্য একটি স্মৃতি মিনার তৈরির ভিত্তি প্রস্তরের উদ্বোধন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মশিউর রহমান চড়ারহাটের গনহত্যার প্রকৃত ইতিহাস শিক্ষার্থীদের মাঝে তুলে ধরার জন্য শিক্ষকদের নিয়ে পৃথক এক আলোচনা সভায় এমন আহবান জানান। পরে কাজ শেষে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন দিনাজপুর জেলার তৎকালীন প্রশাসক জামাল উদ্দীন আহমেদ। বীর মুক্তিযোদ্দা মো. হাসান আলী জানান, আগামী ১০ অক্টোবর গনহত্যার দিনে চড়ারহাট দিবসের প্রকৃত ইতিহাস আলোচনা শেষে শহিদদদের স্বরনে মাগফেরাত কামনা করা হবে।