হিরণের সাইকেলে চেপে ৩য় বিবাহবার্ষিকী উদযাপন

0
347

খুলনাটাইমস ডেস্ক: বিবাহবার্ষিকীকে জাঁকজমকভাবে উদযাপন করেন অনেকে। আত্মীয়-স্বজন আর বন্ধুদের দাওয়াত করা হয় বাসায় কিংবা রেস্তোরাঁয়। নাচ, গানসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সঙ্গীকে উপহার হিসেবে দেওয়া হয় পারফিউম, ফুল, বই, পোশাক, ঘড়ি বা অন্য কোনো পছন্দের জিনিস। এসব প্রচলিত প্রথা থেকে বেরিয়ে বাইসাইকেল চালিয়ে সচেতনামূলক বার্তা দিয়ে বিবাহবার্ষিকী উদযাপন করেছেন শরিফুল ইসলাম হিরণ।
শুক্রবার সকালে খুলনা ফেরিঘাটের মোড় থেকে দল বেঁধে সাইকেল চালিয়ে বিবাহবার্ষিকী উদযাপন করেন তিনি। ফুল দিয়ে সাজানো সাইকেলে চড়ে একদল সাইক্লিস্ট নিয়ে শোভাযাত্রাটি শেষ হয় মহানগরীর নগরভবনের সামনে যেয়ে।
এসময় সড়কের পথচারী উৎসুক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে শোভাযাত্রাটির দিকে। পরিবেশবান্ধব বাইসাইকেল ব্যবহারে উৎসাহ জোগাতে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন সাইক্লিস্ট হিরণ। ২০১৭ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি সাইকেল চালিয়ে বরযাত্রীসহ গিয়ে বিয়ে করে আলোচিত হন তিনি। ঠিক এক বছর পর ২০১৮-২০১৯ সালের ২১ ফেব্রুয়ারিতে দল বেঁধে বাইসাইকেল চালিয়ে ১ম ও ২য় বিবাহবার্ষিকী উদযাপন করেছেন তিনি। এবারও তেমনি সাইকেল চালিয়েই বিবাহবার্ষিকী উদযাপন করলেন।
২০১৪ সালে একদিন ছোটবেলার বন্ধু বাহারুল ইসলাম জাফনিনকে নিয়ে সাইকেলে বেরিয়ে পড়েন হিরণ। বাংলাদেশের ৬৪ জেলা ভ্রমণ করে লিফলেটের মাধ্যমে জন্মগত ক্লাবফুট, ঠোঁট ও তালুকাটা সম্পর্কে মানুষের মধ্যে সচেতনতা গড়ে তোলেন।
সুস্থ জীবন গড়ি, মাদককে না বলি-¯ে¬াগানকে সামনে রেখে বাইসাইকেল চালিয়ে মাদকের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের খুলনার খানজাহান আলী (র.) সেতু (রূপসা সেতু) থেকে ভারতের কলকাতার হাওড়া ব্রিজ পর্যন্ত প্রচারাভিযান করেন হিরণ ও বাহারুল ।
হিরণ ডুমুরিয়ার রাজিবপুর গ্রামের ব্যাংকার শেখ মো. রাশেদুল ইসলামের ছেলে। বিয়ে করেছেন খুলনার পুরনো গল্লামারীর কুবা মসজিদ সংলগ্ন কন্ট্রাক্টর আব্দুল মুতালিব তালুকদারের মেয়ে তাসনিয়া তাবাস্সুম শিউলীকে। তিন বছরের বিবাহ জীবনে তার ২ বছর ২ মাসের একটি মেয়ে আছে।
হিরণ বলেন, ৩য় বিবাহবার্ষিকীতে আমি ও আমার স্ত্রী তাসনিয়া তাবাসুম শিউলীর পক্ষ থেকে সাইকেল র‌্যালির মাধ্যমে সচেতনতামূলক বার্তা সবার কাছে পৌঁছাতে চাই। আর তা হলো-সাইকেল চালান, নামাজ পড়ুন, কোরআন পড়ুন, পরিবেশ বাঁচান, পরিবেশ দূষণ কমাতে সাইকেল চালান, হেলমেট ব্যবহার করুন, ট্রাফিক আইন মেনে চলুন, সাইকেল চালালে শারীরিক সুস্থতা বজায় থাকে, পরিবেশ দূষণের আশঙ্কা নেই, সড়ক দুর্ঘটনা কমবে, পরনির্ভরশীলতা কমে।
তিনি প্রতি বছর এদিনে সাইকেল চালানোর মাধ্যমে বিভিন্ন বিষয়ে সচেতনামূলক ধারণা দেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।