সৈয়দপুরে দলিত জনগোষ্ঠির মানোন্নয়নে সুধীজনের সাথে আলো প্রকল্পের মতবিনিময়

0
343

খুলনাটাইমস (সৈয়দপুর, নীলফামারী) :নীলফামারীর সৈয়দপুরে নৃ-তাত্তি¡ক এবং দলিত জনগোষ্ঠির নিরাপদ আবাসন, জীবন মান উন্নয়নে গ্রাম বিকাশ কেন্দ্র আলো প্রকল্পের উদ্যোগে সরকারি বিভিন্ন বিভাগ এর প্রতিনিধি, রেলওয়ে প্রতিনিধি, পৌরসভার প্রতিনিধি, গণমাধ্যম কর্মী এবং বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিবর্গ ও সুধীজনদের নিয়ে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। গত ২৭ আগস্ট সৈয়দপুর পৌরসভার হলরুমে ওই মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য বলেন, পৌর মেয়র আমজাদ হোসেন সরকার। সভায় বিভিন্ন বিষয়ের ওপর বক্তব্য বলেন, পৌরসভার প্যানেল মেয়র-১ জিয়াউল হক জিয়া, সৈয়দপুর প্রেস ক্লাবের সহ-সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল ইসলাম, পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী আইয়ুব আলী, রেলওয়ের আইওডাবিøউ তৌহিদুল ইসলাম, হরিজন নেত্রী তুতিয়া বাসফোর, পৌর প্যানেল মেয়র-২ শাহীন আক্তার, কাউন্সিলর আবদুল খালেক সাবু, গ্রাম বিকাশ কেন্দ্র (জিবিকে) সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার শারা মারান্দি, গ্রাম বিকাশ কেন্দ্র আলো প্রকল্পের প্রজেক্ট কর্মকর্তা অ্যাডভোকেসি ফিরোজ আহমেদ, আলো প্রকল্পের উপজেলা ম্যানেজার নাদিরা পারভিন, সিডিএফ রবিউল ইসলামসহ অনেকে। ওই প্রকল্পের প্রকল্প ব্যবস্থাপক মো. নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, উত্তরাঞ্চলে দলিত সম্প্রদায়ের জনগোষ্ঠির জীবনমান উন্নয়নে গ্রাম বিকাশ কেন্দ্র আলো প্রকল্প নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। দলিত জনগোষ্ঠিকে বিভিন্ন বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি, দক্ষ করে গড়ে তোলা এবং সরকারি এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে তাদের সুযোগ সৃষ্টি করা আমাদের প্রকল্পের অন্যতম একটি কাজ। তিনি বলেন, নাগরিক উদ্যোগ কর্তৃক পরিচারিত গবেষণা অনুযায়ী দেশে দলিত ও ক্ষুদ্র নৃ-তাত্তি¡ক জনগোষ্ঠি রয়েছে প্রায় ৬৫ লাখ। আমরা সাধারণত হরিজন সম্প্রদায়কে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কর্মী হিসেবে জেনে আসছি। তাদের নির্দিষ্ট কোন আবাসন ব্যবস্থা নেই। সাধারণত পরিত্যক্ত সরকারি কোয়ার্টার বা রেল স্টেশনের পাশে অথবা খাস জমিতে লোকালয় হতে দুরে, কেউ বা শহর ঘেষে বসবাস করে আসছে। সমাজে আমরা তাদেরকে ছোট জাত জেনে অনেক সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত করে আসছি। বর্তমানে আমরা সৈয়দপুর পৌরসভার ৫টি হরিজন পল্লীতে কাজ করছি। তাদের মধ্যে মুন্সিপাড়া ২৭টি, নতুন বাবুপাড়া ১২টি, পাওয়ার হাউসে ৩০টি, হাতিখানা ১৩টি এবং সুরকি মহল্লায় ৬টি, মোট ৮৮টি পরিবার, যাদের নিজস্ব কোন বসতভিটে নেই। এ ৮৮টি পরিবারে নারী রয়েছে ২৩৩ জন এবং পুরুষ ২১৯ জন। আমাদের লক্ষ্য হলো রেল কলোনি ও পৌরসভার জমিতে দলিত জনগোষ্ঠির নিরাপদ আবাসনের ব্যবস্থা করা। খাস জমিতে ওই মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে গৃহ নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ। চাকরিরতদের চিকিৎসা ভাতা, শিক্ষাভাতা, চাকুরিতে নির্দিষ্ট সংখ্যক পদ সংরক্ষরিত রাখা। তাদের বসবাসসের স্থানে ড্রেনেজ ব্যবস্থা, নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা উন্নয়ন করা। পাশাপাশি পর্যাপ্ত টয়লেট এবং নলক‚প স্থাপন। সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে তাদের নামে বিশেষ বরাদ্দ রাখা। এদের ছেলে-মেয়েদের বিভিন্ন স্কুল-কলেজে শিক্ষার সুযোগ গ্রহণ।