সু চিকে ‘সাধু’ তৈরির নেপথ্যে পশ্চিমারা

0
272

খুলনাটাইমস বিদেশ : পশ্চিমা বিশ্বের নেতারা মিয়ানমার নেত্রী অং সান সু চিকে অনেক আগেই ‘সাধু’ হিসেবে বিবেচিত করেছিলেন। যদিও তিনি শুরু থেকেই তাদের হতাশ করে আসছেন। আন্তর্জাতিক পরিম-লের ধারণা অনুযায়ী, সু চির মতো খুব কম নেতাই আছেন যারা এত উপরে যেতে পেরেছেন। ২০১৩ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী হওয়ার পর দীর্ঘদিনের গৃহবন্দি দশা থেকে মুক্তি পান সু চি। যার প্রেক্ষিতে দেশটির সামরিক সরকারের ওপর একে একে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার চাপও কমতে শুরু করে। সে সময় ব্রিটিশ পার্লামেন্টে তাকে ‘একটি দেশের বিবেক ও মানবতার নায়িকা’ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। পরবর্তীকালে দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকার পর ২০১৫ সালে মিয়ানমারে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) প্রথম বড় কোনো জয় উদযাপন করে। নোবেল জয়ী এই নেত্রীর বিরল সফলতার কারণে পশ্চিমাদের অনেকেই তাকে এশিয়ার নেলসন ম্যান্ডেলা হিসাবে আখ্যায়িত করেছেন। মিয়ানমারের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য রাখাইনে হাজার হাজার রোহিঙ্গা মুসলিমকে গণহত্যার অভিযোগে চলতি সপ্তাহে ‘মানবতার নায়িকা’ হেগে আন্তর্জাতিক আদালতে তার দেশকে রক্ষার জন্য হাজির হয়েছিলেন। যেখানে পরোক্ষভাবে তিনি এই নৃশংসতার বিষয়টি স্বীকার করেন।বিশ্লেষকদের মতে, মিয়ানমারের স্বাধীনতার পর সামরিকবাহিনীর শাসনকালে দেশটিতে এক জাতিগত কলহ দেখা দেয়। ২০১৫ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের পর পূর্বের সেই অবস্থান অপরিবর্তিত থাকে। যা এখনো বিদ্যমান।