দিল্লির পর এবার উত্তপ্ত পশ্চিমবঙ্গ

0
257

খুলনাটাইমস বিদেশ : কঠোর সমালোচনার মুখে ভারতের সংসদের উচ্চ কক্ষে পাশ হওয়া নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল (সিএবি) নিয়ে আন্দোলনের উত্তাপ এবার ছড়িয়ে পড়েছে গোটা ভারতজুড়ে। আসাম থেকে শুরু করে শুক্রবার দিল্লির পর এবার উত্তাপের আগুন ছড়িয়ে পড়েছে পশ্চিমবঙ্গে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যয়ের আন্দোলনের ডাক দেয়ার কয়েক ঘণ্টার মাথায় বঙ্গজুড়ে তৈরি হয়েছে এমন পরিস্থিতি। শুধু জেলা নয়, নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল (সিএবি) এবং জাতীয় নাগরিক পঞ্জির (এনআরসি) বিরোধিতার ঢেউ আছড়ে পড়ল শহরেও। শুক্রবার শহরের একাধিক জায়গায় রাস্তা অবরোধ করে সংখ্যালঘু বিভিন্ন সংগঠন। যার জেরে কাজের দিন দুপুর থেকেই শহরের বিভিন্ন এলাকায় যানজটে নাকাল হয়ে পড়েন সাধারণ মানুষ। দুপুর থেকে শুরু হওয়া ভোগান্তি চলে রাত পর্যন্ত। পুলিশের বরাত দিয়ে আনন্দবাজারের খবরে বলা হয়েছে, এদিন বিভিন্ন সংখ্যালঘু সংগঠনের তরফে সিএবি এবং এনআরসি-র বিরোধিতার জন্য জমায়েতের ডাক দেওয়া হয়েছিল। তার জেরেই ওয়েলিংটন, খিদিরপুর, বেলগাছিয়া, পার্ক সার্কাস চার নম্বর সেতু ও পার্ক সার্কাস সাত মাথার মোড়-সহ শহরের বিভিন্ন প্রান্তে রাস্তা অবরোধ করে সংখ্যালঘুদের সংগঠন। একই সঙ্গে ধর্মতলা থেকে একটি প্রতিবাদ মিছিল বের হয়ে গান্ধী ভাস্কর্য পর্যন্ত চলে। সেখানেই জমায়েত হতে শুরু করে বিক্ষোভকারীরা। ট্র্যাফিক পুলিশ সূত্রের খবর, এ দিন দুপুর থেকে যে অবরোধ শুরু হয়েছিল পার্ক সার্কাস সাত মাথার মোড়ে, তা ছড়িয়ে পড়ে খিদিরপুর ও বেলগাছিয়াতেও। পার্ক সার্কাসের ওই অবরোধের ফলে দক্ষিণ, মধ্য এবং পূর্ব কলকাতার একটা বড় অংশ কার্যত অচল হয়ে পড়ে। যার রেশ এসে পড়ে ধর্মতলা, বিবাদী বাগ থেকে শুরু করে খিদিরপুর ও বিবেকানন্দ সেতুতেও। বাদ যায়নি ইএম বাইপাস, এজেসি বসু রোডও। একই অবস্থা ছিল বেলগাছিয়া রোড-সহ সমস্ত এলাকার ছোট-বড় রাস্তার। নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল (সিএবি) এবং জাতীয় নাগরিক পঞ্জির বিরোধিতায় অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে দেশের উত্তর-পূর্ব অংশে। সেই আন্দোলনের আঁচই বৃহস্পতিবার কিছুটা পড়েছিল এ রাজ্যে। শুক্রবার তা জেলা ছাড়েয়ে শহরে এসে পৌঁছায়। এর আগে তীব্র সমালোচনার পরও, ভারতের সংসদের উচ্চ কক্ষ রাজ্য সভায় গত বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) নাগরিকত্ব সংশোধন আইনটি পাশ হওয়ার পর থেকেই আসাম থেকে শুরু হওয়া আন্দোলন গোটা ভারতজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। বিভিন্ন জায়গায় সহিংস বিক্ষোভ শুরু হয়। আন্দোলনের তীব্রতার ফলে রাষ্ট্রপতির সাক্ষরের পরও নাগরিক সংশোধনী বিল (সিএবি) নিয়ে আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে।