সুন্দরবনে গোলপাতা আহরণে অনিয়ম, রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার

0
184

কয়রা প্রতিনিধি:
চলতি মৌসুমে সুন্দরবনে গোলপাতা আহরণে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। গোলপাতার পারমিটে রাজস্ব অতিরিক্ত অর্থ আদায়, নৌকার ধারণ ক্ষমতার চেয়ে ৪ গুনের বেশি গোলপাতা আহরণ, কূপে নিযুক্ত বনকর্মকর্তাদের ঘুষবাণিজ্য, বাওয়ালীদের নিয়ম বর্হিভূতর বনজ দ্রব্য(সম্পদ) কর্তন করা চলছে। সূত্রজানায়, গত ৩১ জানুয়ারি পশ্চিম সুন্দরবনের ৮টি ফরেষ্ট ষ্টেশন থেকে গোলপাতার পারমিট প্রদান শুরু হয়েছেনযা ৩১ মার্চ পর্যন্ত চালু থাকবে। খুলনা রেঞ্জে শিবসা কূপ ও সাতক্ষীরা রেঞ্জে সাতক্ষীরা গোলপাতা নামে ২টি কূপের মাধ্যমে আড়াই শতাধিক বিএলসি ধারী কাঠের তৈরী বড় নৌকা বর্তমানে গোলপাতা কর্তন করতে সুন্দরবনে ব্যস্ত সময় পার করছে। ইতমধ্যে দু’চারটি গোলপাতা ভর্তি নৌকা লোকালয়ে আসতে শুরু করেছে। নৌকা গুলো ২/৩ স্তরের মলমলা গিয়ে ৫শ মণের পারমিটে আড়াই হাজার মণের বেশি অতিরিক্ত গোলপাতা বোঝাই করেছেন। পশ্চিম সুন্দরবনে শিবসা ও সাতক্ষীরার দুটি গোলপাতার কূপে দু’জন কূপকর্ম কর্তা, সহযোগি কর্মকর্তা ও বেশ কয়েক জন বন রক্ষী রয়েছেন। তারা মূলত সংশ্লিষ্ট কূপে গোলপাতা কর্তনের জন্য বিএলসিধারী নৌকা রমালিক দের ঘের বরাদ্দ দেওয়া, নৌকার সঠিক পরিমাপ করা, অতিরিক্তি বোঝাই নিয়ন্ত্রনে দুই-তিন স্তরের মলম খুলে নেওয়া সহ অন্যান্য বনজ দ্রব্য কর্তন থেকে বাওয়ালীদের বিরত রাখতে সার্বক্ষনিক নজর দারিকরবেন মর্মে বন বিভাগের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করবেন। কিন্তু বাস্তব চিত্র উল্টো দেখা যায়। ধুরন্দর বাওয়ালীরা কূপ কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে ৫শ মণধারণ ক্ষমতার নৌকায় অতিরিক্ত আড়াই থেকে তিন হাজারমণ গোলপাতা বোঝাই করে নিয়ে আসছে।কয়রার ভান্ডর পোল গ্রামের বাওয়ালী আয়ুব আলী, নুরুল ইসলাম জানিয়েছেন, অতিরিক্ত গোলপাতা বোঝাইয়ের জন্য বহর মালিক জাহাঙ্গীরের মাধ্যমে বনরক্ষীদের মোটা অংকের উৎকোচ দিয়ে থাকি। ফলে প্রতিটি নৌকা থেকে সরকার ট্রিপপ্রতি ২৫-৩০ হাজার টাকা হারে রাজস্ব আদায় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। নিয়মবর্হিভূতভাবে গোলপাতা আহরণের সুযোগ দিয়ে বাওয়ালীদের কাছ থেকে এভাবে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন কূপে নিযুক্ত বনকর্মকর্তা ও বনরক্ষীরা। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পশ্চিম সুন্দরবনেররশিবসা গোলপাতাকূপের সহযোগি কূপ কর্মকর্তা জহুরুল বলেন, গোলপাতার নৌকায় মলম ব্যবহার না করতে বাওয়ালীদের সতর্ক করা হয়েছে। তারপর কেউ করছে কিনা খতিয়ে দেখা হবে।