সাতক্ষীরা-৩ আসনে জনপ্রিয়তার শির্ষে উন্নয়নের রূপকার ডা. রুহুল হক এমপি

0
117

আব্দুর রব লিটু : আগামী বছরের ৭ জানুয়ারী অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নির্বাচনকে সামনে ঘিরে বর্তমান ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের পাশাপাশি বিভিন্ন সংগঠন তাদের দলকে মজবুত ও তৃনমূলের চাহিদাকে প্রাধ্যান্য দিয়ে প্রার্থী বাঁছাইয়ে মনোযোগ বাড়িয়ে দিয়েছেন। সাতক্ষীরায় গেল ১৫বছর বর্তমান সরকারের নানামূখি উন্নয়নের ফলে এখন অনেকটাই সমৃদ্ধ হয়েছে আওয়ামী লীগের ভোট ব্যাংক।আর এসব কৃতিত্বের একমাত্র ধারক ও বাহক হলেন সাবেক স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রী, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সাংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি, সাতক্ষীরা-০৩ আসনের বারবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য, বরেণ্য অর্থোপেডিক সার্জন অধ্যাপক ডা. আফম রুহুল হক।
কেবল তার নির্বাচনী এলাকা নয় তিনি গোটা সাতক্ষীরার উন্নয়নের জন্য কাজ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অত্যন্ত আস্থাভাজন হওয়ার ফলে ডা. রুহুল হকের হাতেই ঘুরে দাঁড়িয়েছে সাতক্ষীরার উন্নয়নের চাকা। আগামী সোমবার আওয়ামী লীগের দলীয় মনোয়নের চুড়ান্ত তালিকা প্রকাশ হতে পারে বলে বিভিন্ন সুত্রে জানাযায়। এর মধ্যে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। তবে আলোচনা সমালেচনা যাই হোক জেলার অন্যান্য সাংসদীয় আসন গুলোতে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীজট থাকলেও, সাতক্ষীরা-০৩ আসনে এখনও পর্যন্ত ডা; আফম রুহুল হকের বিকল্প নেই বলে মনে করছেন শীর্ষস্থানীয় নেতা থেকে শুরু করে ক্ষমতাসীন দলের তৃনমূল নেতা এবং জনসাধারণ ।
উল্লেখ্য বর্তমান দেবহাটা, আশাশুনি ও কালীগঞ্জ আংশিক নিয়ে সাতক্ষীরা-০৩। এই আসনে ডা: আফম রুহুল হক ২০০৮ সালে ১মবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর কেবলমাত্র তার নিজের নির্বাচনী এলাকার উন্নয়নে সীমাবদ্ধ ছিলেন না। অবহেলিত গোটা সাতক্ষীরা জেলার উন্নয়নের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন তিনি। গত ১৫ বছরে নিজ নির্বাচনী এলাকায় শতভাগ বিদ্যুতায়ন, রাস্তা ঘাট, ব্রীজ-কালভার্ট নির্মানের পাশাপাশি সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় বয়স্ক, বিধবা, প্রতিবন্ধি ও মাতৃত্বকালিন ভাতাসহ শতভাগ ভাতা ব্যবস্থা নিশ্চিত করেছেন।
তার নির্বাচনী এলাকা সাতক্ষীরা ৩ আসনের ভাঙন কবলিত দেবহাটা, কালীগঞ্জ ও আশাশুনিতে নদী গুলোতে ভাঙনরোধে জরাজীর্ন বেড়িবাঁধ মেরামত ও এলাকাভেদে নতুন বাঁধ নির্মানের ব্যবস্থা করেছেন। ঘূর্নিঝড় ও বন্যায় প্রানহানি এবং ক্ষয়ক্ষতি হ্রাসে ঝুঁকিপূর্ন এলাকা গুলোতে একের পর এক বহুমূখি ঘূর্নিঝড় আশ্রয়ন প্রকল্প কাম সাইক্লোন সেল্টার স্থাপনের ব্যবস্থা করেছেন। পাশাপাশি কর্মসৃজন প্রকল্প, টিআর, কাবিখা, কাবিটা ও এডিপি’র মতো প্রকল্পের মাধ্যমে নির্বাচনী এলাকার তিনটি উপজেলায় অবকাঠামোগত উন্নয়নে আমূল পরিবর্তন এনেছেন প্রধানমন্ত্রীর আস্থাভাজন এই নেতা। এছাড়া মুজিববর্ষকে ঘিরে গৃহহীন ও ভূমিহীনদের মাঝে জমিসহ সরকারি অর্থায়নে নির্মিত সেমিপাকা অসংখ্য ঘর বরাদ্দ প্রক্রিয়া সুষ্ঠভাবে বাস্তবায়নে ব্যাপক অবদান রয়েছে তার ।
বিশ্ববরেণ্য চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী থাকার সুবাদে গোটা সাতক্ষীরার স্বাস্থ্যখাতে ব্যাপক পরিবর্তন এনেছেন তিনি। কমিউনিটি ক্লিনিক গুলোতে স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়নের পাশাপাশি অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং সাধারণ মানুষকে কমিউনিটি ক্লিনিকমুখী করতেও তিনি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। এছাড়া দেবহাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে ৫০ শয্যায় উন্নীতকরণ, নলতায় ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজি (আইএইচটি) এবং ম্যাটস নির্মাণ, সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ নির্মাণ সবই এসেছে ডা. রুহুল হকের হাত ধরেই।
তাছাড়া তিনি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সাংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সাতক্ষীরায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় নির্মানে যথেষ্ট প্রচেষ্টা চালিয়ে সম্প্রতি সাতক্ষীরা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুমোদনে সফলতা পেয়েছেন। একসময় সাতক্ষীরায় বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণ জেলাবাসির কাছে কল্পনাতীত থাকলেও, তা বাস্তবে রুপ দিয়েছেন ডা. রুহুল হক এমপি। ২০১৩-১৪ সালে বিএনপি –জামাতের তান্ডবে আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা সাংগঠনিক ভাবে কিছুটা পিছিয়ে পড়লে পরবর্তিতে রাজনীতিকে ফের সুসংগঠিত ও স্বাভাবিক ধারায় ফিরিয়ে আনতে দিনরাত এক করে কাজ করেছিলেন ডা. রুহুল হক এমপি। যার ফলে আগামি সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে সাতক্ষীরা-০৩ আসনে তার বিকল্প কোন নের্তৃত্ব আজও ভাবতে পারেনি এই আসন এলাকার সিংভাগ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
তবে ক্ষমতাসীন দলের হয়ে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রুহুল হক এমপি ছাড়াও এ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক শেখ এজাজ আহমেদ স্বপন, নর্দান ইউনিভার্সিটির ভিসি প্রফেসর ড. ইউসুফ আবদুল্লাহ, আশাশুনি উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান এবিএম মোস্তকিম, দেবহাটার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও সাবেক উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাড.সম গোলাম মোস্তফা, সাবেক কুষ্টিয়া ইসলামী ইউনিভার্সিটির বর্ষিযান ছাত্রলীগ নেতা আফছার আলী, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি খালেদ হোসেন।