সব সিদ্ধান্তই ভালো ছিল না: কৃতি

0
268

খুলনাটাইমস বিনোদন : বলিউড অভিনেত্রী কৃতী শ্যাননের ক্যারিয়ার চলছে মসৃণ গতিতে। তার অভিনীত সিনেমাগুলো পাচ্ছে প্রত্যাশানুরূপ সাফল্য। দর্শকদের কাছেও কৃতী হয়ে উঠেছেন প্রিয়। তার সাফল্যের রহস্যটা কী?Ñসাংবাদিকরা প্রায়ই এই প্রশ্ন করে থাকেন। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে কৃতী অকপটে বলেছেন সেই কথা। কৃতি শ্যানন বলেন, ‘পাঁচ বছরের বেশি সময় কেটেছে বলিউডে। এই ইন্ডাস্ট্রিতে আসার পর যে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, সবগুলোই যে ভালো ছিল ঠিক এমনটা নয়। বরং তার অনেকগুলোই ভুল। কিন্তু তারপরেও নিজের ভুলগুলো নিয়ে কোনো ভাবেই কখনও দুঃখ-কষ্ট পাইনি।’ কারণ কৃতী জানেন মানুষ নিজের ভুল থেকেই শিক্ষা নেয়। আর তিনিও নিজের ভুল থেকেই শিখেছেন সবচেয়ে বেশি। কৃতী জানান, বলিউডে অভিনেত্রী হিসেবে পুরো শিক্ষাটাই তিনি পেয়েছেন তার ভুলগুলো থেকে। তবে ভুলের পরিমাণ আগের চেয়ে অনেক কমেছে, সেটাও মেনে নিচ্ছেন তিনি। ২০১৪ সালে ‘হিরোপন্তি’ চলচ্চিত্র দিয়ে বলিউডের ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন কৃতি। কোন চলচ্চিত্রটি করবেন, বাছাই করেন কীভাবে? সাক্ষাৎকারে কৃতী বলেছেন, ‘সিনেমা নির্বাচনের ক্ষেত্রে আমার প্রথম শর্তই হলো ছবিটার প্রতি আমার শতভাগ বিশ্বাস। সেই বিশ্বাসটা যদি চিত্রনাট্য শুনে আসে, তবেই রাজি হই। না হয় একেবারে না!’ হাতে কোনো কাজ নেই বলেই যে একটা ছবির কাজ নিতে হবে, তার কোনো মানে নেই। বরং হাতে কাজ না থাকলে একটু সময় নিয়ে ভেবেই সিদ্ধান্ত নিতে ভালোবাসেন কৃতি। এবং এটাও জানিয়েছেন, কোনও ছবির কাজ করতে গিয়ে যদি তার মনে হয়, এই ছবির চিত্রনাট্যে কোথাও বদল হলে, সেটা ভালো হবে, সেকথাও নির্মাতাদের খুব স্পষ্ট করে বলেন তিনি। এই পদ্ধতি অবলম্বন করে তিনি উপকারও পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন বলিউডের এ অভিনেত্রী। তবে তার নিজের কাজের ক্ষেত্রে কিছু সমালোচনার জায়গা আছে বলেও তিনি মনে করেন। তিনি বলেন, ‘সিদ্ধান্ত নেয়ার প্রশ্ন আসলেই আমি খানিকটা হতাশ হয়ে যাই। বলিউডে অভিনয় করে ক্যারিয়ার তৈরির জন্য সবচেয়ে বেশি লাগে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা। একটা চিত্রনাট্য শোনার পর সিদ্ধান্ত নিতে হয়, এই প্রজেক্টে কাজ করা উচিত হবে, নাকি হবে না। ফল তো অনেক পরে জানা যাবে। তত দিন পর্যন্ত তো সিদ্ধান্ত নেয়ার অপেক্ষায় থাকা যাবে না! এসব ক্ষেত্রেই আমি প্রচুর সময় নিই।’ অনেক অভিনেতা বা অভিনেত্রীই হয়তো চিত্রনাট্য শুনেই ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ বলে দেন। কিন্তু কৃতির কথায় তিনি তা পারেন না। অনেকটা লম্বা সময় নেন।