শেখ সোহেলের নির্দেশে কর্মহীনদের জন্য ছোট্ট পরশের বৃহৎ উদ্যোগ

0
2039

ফারহা শেখ:
তানজিলা বেগম। নগরীর ১৬নং ওয়ার্ডস্থ স্বর্ণালী বস্তিতে তার বসবাস। তিন সদস্য’র অস্বচ্ছল পরিবার তার। দিন আনে দিন খায়। করোনা সৃষ্ট পরিস্থিতি আরও কঠোর করে তুলেছে তার দৈনন্দিন জীবনকে। তবে এই সময়ে তার পরিবারের পাশে খাদ্যপণ্য নিয়ে সহায়তার হাত বাড়িয়েছে আজিজুর রহমান পরশ বিশ্বাস। একবারই নয়, পাঁচ দফায় খাদ্যপণ্য, সবজিসহ নানান কিছু পৌছে গেছে তানজিলার ঘরে।


শুধু তানজিলা একা নন, এমন সহায়তা প্রায় ২ হাজার পরিবারের ঘরে ঘরে পৌছানো হয়েছে। পারিবারিক ঐতিহ্য ধরে রাখার সাথে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক শেখ সোহেলের অনুপ্রেরণায় ও নির্দেশে ছোট্ট পরশের এই বৃহৎ উদ্যোগ। উদ্যোগটি মূলত: করোনাভাইরাসের সৃষ্ট লকডাউনে কর্মহীন হয়ে পড়া অসহায় মানুষের জন্য নেয়া। সংকট চলাকালীন যা অব্যাহত থাকবে বলে জানায় পরশ বিশ্বাস। বলা বাহুল্য, সোনাডাঙ্গা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বুলু বিশ্বাসের বড় সন্তান পরশ ।


পরশের এই উদ্যোগের সুফলভোগী স্বর্ণালী বস্তির বাসিন্দা শান্তি, খাদিজা, রহিমা, রিজিয়া, ইলিয়াস, জাকির, রুবেল, কামরুল, রিনা, আনোয়ারাসহ অনেক বাসিন্দা এই প্রতিবেদককে জানান, করোনার এই দুঃসময়ে শুধুমাত্র পরশ ভাই তাদের পাশে দাড়িয়েছেন। এসময় তারা আক্ষেপ করেন, স্থানীয় অনেকেই আছেন, তবে কেউ এগিয়ে আসেনি। তারা একযোগে পরশের উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি ও সফলতার জন্য দোয়া করেন।


আরেক বাসিন্দা ছাত্রলীগ নেতা ইয়াছিন শিকদার বলেন, খুলনাকে লকডাউন ঘোষণার পরপরই প্রথম পর্যায়ে পরশ বিশ্বাসের উদ্যোগে তারা মাস্ক, স্যানিটাইজার, সাবানসহ সুরক্ষা সরঞ্জাম বিতরণ শুরু করেন। পরবর্তীতে খাদ্য সামগ্রী বিতরণের কাজ শুরু হয়। যা এখনও অব্যাহত আছে। সোনাডাঙ্গা থানা এলাকাজুড়ে তার এই খাদ্য সামগ্রী বিতরণ চলছে, বিশেষ করে ১৬নং ওয়ার্ডের বস্তি এলাকায় বসবাসকারীদের গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। তিনি আরও জানান, পবিত্র শবে বরাতে আনুমানিক ৫/৭শ’ মানুষের মাঝে মুরগীর তেহরি রান্না করে বিতরণ করা হয়। এছাড়া পরশের উদ্যোগে চারদিন ধরে চলে সবজি বিতরণ কর্মসূচি।


আরেক বাসিন্দা ইকবাল জমাদ্দার জানান, শুধু নিজ ওয়ার্ড বা থানা এলাকা নয়, নগরীর সদর ও সোনাডাঙ্গা থানা এলাকার বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে নেতাকর্মীরা পরশ বিশ্বাসের সহায়তা গ্রহণ করে নিজ এলাকায় বিতরণ করছে। এছাড়া ইকবাল আরও জানান, তার নিকট প্রতিবেশি এক পরিবহন শ্রমিক হৃদরোগসহ নানা জটিল রোগে আক্রান্ত, তার জন্য একমাসের ওষুধ যোগাড় করে দিয়েছেন পরশ।
জানা গেছে, করোনাভাইরাসের উদ্ভ‚ত পরিস্থিতির পর হতে প্রায় ১৯ টন চাল, প্রায় ৫/৬শ’ লিটার ভোজ্যতেল, ১ টনের অধিক পরিমাণ আলু, আড়াইশ’কেজি পেয়াজ, ৫শ’কেজি ডাল বিতরণ করা হয়েছে। এই কার্যক্রম ততদিন চলবে, যতদিন চলমান সংকট থাকবে।