শেখ জামালের বিপক্ষেও জিততে পারল না জাতীয় দল

0
353

স্পোর্টস ডেস্কঃ

সৌরভ, আরিফুল, তারেক…ফুটবল মাঠে নিয়মিত যাতায়াত থাকলেও নামগুলো জানা থাকার কথা নয়। অথচ এমন খেলোয়াড়দের নিয়ে গড়া শেখ জামালের বিপক্ষেই প্রস্তুতি ম্যাচে জিততে পারল না বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। কোনোমতে ১-১ গোলের ড্র নিয়ে মাঠ ছেড়েই স্বস্তি পেয়েছে জাতীয় দল।

বর্তমান পরিস্থিতিতে শেখ জামাল দলে বড় কোনো নাম নেই। পুরোনো গাম্বিয়ান সলোমন কিংয়ের সঙ্গে ট্রায়ালে এসেছে নতুন দুই বিদেশি। ধানমন্ডির দলটির প্রস্তুতিও মাত্র দুই সপ্তাহের। এমন একটি দলের বিপক্ষেও কাতারে দুই সপ্তাহের অনুশীলন করে এসে দাপট দেখাতে পারেনি জামাল ভুইয়ারা।

প্রস্তুতি ম্যাচে জয়-পরাজয় বড় হওয়ার কথা নয়। দলটা কেমন খেলল, রক্ষণভাগে ফাঁকফোকর আছে কি না, আক্রমণভাগ কাজ করছে কি না—এগুলোই দেখার বিষয়। কিন্তু এতেও ভালো কিছু হয়েছে বলা যাবে না। বল দখলে এগিয়ে থাকায় জেমি ডের শিষ্যরা পাস মার্ক পাবেন এই যা।

৩০ মিনিট করে তিন ভাগে হয়েছে ম্যাচটি। ঘুরিয়ে ফিরিয়ে সব খেলোয়াড় বাজিয়ে দেখেছেন কোচ। প্রথমে জামাল ভুইয়ার নেতৃত্বে এশিয়ান গেমসের হবু একাদশটাই মাঠে নামানো হয়েছিল। তিন মিনিটেই বিপলুর দর্শনীয় গোলে এগিয়ে যাওয়া। কিন্তু এরপরে আর একবারও জামালের রক্ষণভাগে ঝাঁকি দিতে পারেনি এশিয়ান গেমসগামী সম্ভাব্য সেরা একাদশটি।

এরপরের দুই ভাগে এশিয়ান গেমস ও সাফের জন্য অবশিষ্ট খেলোয়াড়দের মাঠে নামানো হয়। দ্বিতীয় ভাগে রহমতের আত্মঘাতী গোলে সমতায় ফেরে জামাল। এরপর কর্নার থেকে নেওয়া মামুনুল ইসলামের একটি শট সরাসরি জালে জড়িয়ে যাচ্ছিল প্রায়। দ্বিতীয়ার্ধে জাতীয় দলের প্রাপ্তি বলতে এই।

আর শেষ ভাগে ইমন বাবুর একটি ভালো দূরপাল্লার শট ছিল। একটু আশার খবর, জামালের আক্রমণভাগের তিন বিদেশির বিপক্ষে বাদশা, তপু বর্মণ, মানিকদের রক্ষণভাগ ছিল বেশ গোছানো। সব মিলিয়ে এশিয়ান গেমস বা সাফে আশা দেখানোর মতো কিছু নয়।

দেশে ও কাতারে দুই সপ্তাহের ক্যাম্প মিলিয়ে জাতীয় দলের প্রায় এক মাসের প্রস্তুতি। কঠোর অনুশীলনের ধকলটা এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেনি বলে মনে করেন কোচ জেমি, ‘অনুশীলন ম্যাচের ফলাফল নিয়ে ভাবছি না। প্রস্তুতিটাই আসল। আমরা খুবই কঠোর অনুশীলন করেছি। ফলে খেলোয়াড়দের মধ্যে ক্লান্তি আছে। সামনের সময়টা শুধু ম্যাচ ফরমেশনের দিকেই নজর দেওয়া হবে। এশিয়ান গেমসের আগেই সবাই পুরোপুরি সতেজ হয়ে যাবে।’

আগামীকাল রাতেই কোরিয়ার উদ্দেশে রওনা হচ্ছে জাতীয় ফুটবল দল। অনুশীলনের সঙ্গে সেখানে কয়েকটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেই এশিয়ান গেমস খেলতে সরাসরি ইন্দোনেশিয়ায় যাবে ফুটবল দল। আগস্টের ১৮ তারিখ থেকে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় শুরু হবে এশিয়াড। বাংলাদেশের গ্রুপে আছে থাইল্যান্ড, কাতার ও উজবেকিস্তান।