শান্তি বজায় রাখার শপথ নিল আওয়ামী লীগ-বিএনপি 

0
413

খুলনাটাইমস ডেস্কঃ শপথ নিলেন আওয়ামী লীগ ও বিএনপির শতাধিক নেতা। শপথের মূল কথা সহনশীল ও শান্তিপূর্ণ রাজনীতির চর্চা করা এবং আগামী নির্বাচনে শান্তি বজায় রাখা।রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘শান্তিতে বিজয়’ শীর্ষক ক্যাম্পেইনে ওই শপথ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্শিয়া বার্নিকাট এবং যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার অ্যালিসন ব্লেক।

ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইউএসএআইডি এবং ইউকেএইডের যৌথ অর্থায়নে এবং ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের ‘স্ট্রেনদেনিং পলিটিক্যাল ল্যান্ডস্কেপ’ (এসপিএল) প্রকল্পের আওতায় ‘শান্তিতে বিজয়’ ক্যাম্পেইনটি পরিচালিত হচ্ছে।অনুষ্ঠানে বিএনপি ও আওয়ামী লীগসহ কয়েকটি দলের বিভিন্ন পর্যায়ের ৪০০ নেতা একযোগে শপথ নিয়ে শান্তির পক্ষে কথা বলেন। তবে নির্বাচনে শান্তি বজায় রাখার ব্যাপারে বড় দুই দল তাদের নিজস্ব কিছু মতামতও তুলে ধরে।

এইচ টি ইমাম বলেন, ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সব সময় আক্রান্ত হয়েছে। বিভিন্ন সময়ে। আমি সেসব ঘটনা বলতে চাই না। কিন্তু আমরা কখনো কাউকে পাল্টা আক্রমণ করিনি।বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মঈন খান বলেন, ‘ন্যায় বিচার ছাড়া শান্তি প্রতিষ্ঠা হতে পারে না। এখানে অনেকেই শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের কথা বলছে। অবশ্যই আমরাও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই। তবে শুধু শান্তিপূর্ণ নির্বাচনই চাই না, সেই সঙ্গে রাজনৈতিক পরিবেশও চাই।’

অনুষ্ঠানে মার্শিয়া বার্নিকাট বলেন, ‘সব রাজনৈতিক দল, সংগঠন ও ব্যক্তিদের জন্য নির্বাচনের প্রাক্কালে রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় পরিপূর্ণভাবে অংশগ্রহণ থাকা উচিত। রাজনৈতিক দলের কর্মী সমর্থকদের অবশ্যই শান্তিপূর্ণ উপায়ে মতামত প্রকাশ ও সভাসমাবেশ করার স্বাধীনতা থাকতে হবে। নীতির প্রশ্নে মতপ্রার্থক্য থাকতেই পারে। কিন্তু প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলোকে গ্রহণ করার মানসিকতা অবশ্যই থাকতে হবে। বাংলাদেশিদের নির্বাচনের সময়ে শান্তির পক্ষে অবস্থান নিতে হবে। মনে রাখতে হবে সহিংসতা শুধু তাদের কাজে আসে যারা এ দেশের ভালো চায় না।’

যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার অ্যালিসন ব্লেক বলেন, ‘আমরা সবাই শান্তি চাই। শান্তি জিতলে, জিতবে বিশ্ব, জিতবে বাংলাদেশ। আগামী নির্বাচনে শান্তি কতটা বজায় থাকবে, সে ব্যাপারে কেবল অনুষ্ঠানস্থল নয়, অনুষ্ঠানস্থলের বাইরে থেকেও বেশ কিছু মতামত সংগ্রহ করে ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল।