ঘূর্ণিঝড়ে নয় শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত

0
1228

আজিজুর রহমান, খুলনাটাইমস :
খুলনার দাকোপ উপজেলায় ঘূর্ণিঝড়ে প্রায় নয়শত ৮০ পরিবারের নয় শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এছাড়া অসংখ্য গাছপালা ভেঙে গেছে ও উপড়ে পড়েছে। ক্ষতি হয়েছে বোরো ও তরমুজ চাষিদের।

মাত্র আট মিনিটের ঘূর্ণিঝড়ে উপজেলার দুটি ইউনিয়নের পাঁচটি গ্রামের নয় শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। অসংখ্য ছোট-বড় গাছপালা উপড়ে ও ভেঙে পড়েছে। বজ্রপাতসহ ঘরচাপা পড়ে আহত হয়েছে প্রায় ১৭ জন। তাদেরকে স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন জানান, মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) রাত সাড়ে সাতটার দিকে উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে প্রচণ্ড গতির এ ঘূর্ণিঝড় এলাকায় আঘাত হানে। মাত্র আট মিনিটের মধ্যে লণ্ডভণ্ড করে দেয় ঘরবাড়ি ও গাছপালা। ঝড়ে কাঁচাঘরসহ টিন শেডের আধাপাকা ঘরের দেয়াল ভেঙে পড়ে ও অনেক ঘরের চাল উড়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মধ্যে রয়েছে উপজেলার সুতারখালী ইউনিয়নের গুনারী, কালীবাড়ি, মডেল গ্রাম, কালাবগি ও তিলডাঙ্গা ইউনিয়নের কামনিবাসীয়া। এছাড়া বাজুয়া ও কৈলাশগঞ্জ ইউনিয়নের তরমুজ খেতে ব্যাপক ক্ষতি হয়।


উপজেলার সুতারখালি গ্রামের আব্দুল মালেক সানা(৫২) বলেন, উত্তর-পশ্চিম কোণ থেকে কালো কুণ্ডলী আকারে আচমকা একটি ঝড় এই গ্রামে আঘাত হানে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই সবকিছু লণ্ডভণ্ড করে দেয়। একই কথা বলেন, গুনারী গ্রামের জয়ন্ত মণ্ডল(৩৩)। উপজেলার কামনীবাসিয়া গ্রামের রাজিব সরদার(৩৪) জানান, উপজেলার তিলডাঙ্গা ইউনিয়নের সোনার বাংলা কলেজের পিছন দিক থেকে কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলী আকারে ঝড় এসে এই গ্রামে আঘাত হানে। ক্ষণিকের মধ্যে গ্রামের ঘরবাড়ি ও গাছপালা গুঁড়িয়ে দেয়।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শেখ আ. কাদের বলেন, প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী ওই ঝড়ে উপজেলার সুতারখালী ইউনিয়নে ৭১০ ও তিলডাঙ্গা ইউনিয়নে ২৭০টি পরিবার আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত দুটি ইউনিয়নের জন্য সরকারের তহবিল থেকে ২টন চাল ও ৪০ হাজার টাকা দেয়া হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবদুল ওয়াদুদ খুলনাটাইমসকে বলেন, ঘূর্ণিঝড়ে উপজেলার দুটি ইউনিয়নের নয় শতাধিক পরিবারের বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বোরো ও তরমুজ চাষিদের। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের তালিকা তৈরি ও আর্থিক সহায়তা দেওয়ার কাজ চলছে। তিনি আরও বলেন, ক্ষতিগ্রস্তর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।