রূপসায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের গাফিলতির কারনে নির্ধারিত সময়ে শেষ হচ্ছে না নির্মাণ কাজ,চলাচলে ব্যহত

0
290

রূপসা প্রতিনিধি : খুলনার রূপসা উপজেলায় ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের অবহেলা ও গাফিলতির কারনে আলাইপুর-ভবানীপুর গ্ররুত্ব পূর্ণ সড়কটি মরন ফাদে পরিনত হয়েছে। সড়কটি দেখলে মেনে হয় ছোট বড় পুকুরে পরিনত হয়েছে। এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন হাজারও মানুষ চলাচল করে। এ কারনে সড়ক দিয়ে চলাচলরত জনসাধারন ও যানবাহন পড়েছে মহাবিপাকে।
এ সড়কের কাজ দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা প্রকৌশলী একাধিক বার সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে তাগিদ দিলেও ঠিকাদার তা কর্ণপাত করেননি।
উপজেলা প্রকৌশলীর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, সড়কটি দীর্ঘদিন অবহেলায় থাকার পর সাড়ে ৪ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণের কাজ শুরু হয় চলতি বছরের ফেব্রুয়ারী মাসে। সে মোতাবেক ২৭ আগষ্ট সড়কের কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের নির্লিপ্ততা ও নানামুখী অযুহাতের কারনে সড়কের কাজ এক চতুর্থাংশ সম্পন্ন হয়নি।
সাড়ে ৪ কিলোমিটার সড়কের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে৩ কোটি ৮৮ লক্ষ ৭২ হাজার ১০৩ টাকা।
অভিযোগ মতে, সড়কটি ৩.৭ মিটার চওড়া এবং ১২ ইঞ্চি মাটি খুড়ে নতুন করে বালু দিয়ে সড়কের কাজ শুরু করার কথা থাকলেও কাজের শুরুতেই দূর্নীতির আশ্রয় নিয়েছেন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। সড়কের তলদেশ ১২ ইঞ্চি খোড়ার পর রুলার করার কথা থাকলেও সামান্য খোড়াখুড়ি করে রুলার না করে ধুলাবালির পরিবর্তে পাশ্ববর্তী নদী থেকে ড্রেজার দিয়ে নদীর পলি মিশ্রিত বালু উক্ত রাস্তায় আনা হয়। আর এ কারনে প্রবল বর্ষনে সড়কের অবস্থা হয়েছে কর্দমাক্ত এবং উক্ত সড়কে অর্ধ শতাধিক গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সরেজমিনে দেখা গেছে হ্যাজিং এ ব্যবহৃত ইটের মান সন্তোষজনক নয় এবং বর্তমানে উক্ত সড়ক দিয়ে যান চলাচল একেবারেই বেহাল দশায় পরিনত হয়েছে। ইজিবাইক চালক মোঃ জাকির হোসেন জানান, এ সড়কে যান চলাচল করতে হয় জীবনের ঝুকি নিয়ে। তিনি বর্ষা মৌসুমে উক্ত সড়কে প্রায় শতাধিক দূর্ঘটনা ঘটেছে। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ কামাল উদ্দিন বাদশা জানান, সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে বারবার তাগিদ দেওয়া সত্ত্বেও তিনি যথারীতি সড়কের কাজ নিয়ে ধীরগতি অবলম্বন করছেন। নির্মাণ কাজের ঠিকাদার ইদ্রিস আলী জানান ঈদের ছুটির কারনে বর্তমানে সড়কের কাজ বন্দ রয়েছে। তবে সড়কের কাজের অনিয়ম সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে তিনি এড়িয়ে যান। অপরদিকে উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ মহিউদ্দিন মিয়া জানান সড়কের কাজ দেখভাল করার জন্য তাদের প্রতিনিধি সার্বক্ষণিক কর্মকান্ড পরিচালনা করছেন। তবে সঠিক সময়ে সড়কের কাজ শেষ হবে না বলে তিনি এ প্রতিনিধিকে জানান। এ ব্যাপারে খুলনা জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী এ এস এম কবির হোসেন জানান ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের গাফিলতি এবং জন দূর্ভোগের কথা আমি অবগত হয়েছি। শিঘ্রই জন দূর্ভোগ লাঘবে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।