রূপসার সংগ্রাম হত্যা মামলায় আরও একজনের স্বীকারোক্তি

0
379

নিজস্ব প্রতিবেদক:
খুলনার রূপসার চাঞ্চল্যকর সারজিল ইসলাম সংগ্রাম (২৮) হত্যা মামলায় গ্রেফতারকৃত আসামি আদশ শেখ (৩৪) হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছেন। বৃহস্পতিবার রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আসামিকে আদালতে উপস্থাপন করলে সে সংগ্রাম হত্যার দায় স্বীকার করে স্বেচ্ছায় ফৌঃ কাঃ বিধি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নয়ন বিশ্বাস তার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করেন। আসামি আদশ শেখ রূপসা উপজেলার মৃত আনোয়ার আলী শেখের ছেলে।
এর আগে গত ১৪ অক্টোবর তাকে ৩ দিনের পুলিশ রিমান্ডে এনে জেলা গোয়েন্দা শাখা, খুলনার ইনচার্জ তোফায়েল আহমেদ এর নেতৃত্বে মামলার তদন্তকারী অফিসার এসআই মুক্ত রায় চৌধুরী পিপিএম ধারাবাহিক নিবিড় জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে আসামি আদশ শেখ ভিকটিম সারজিল ইসলাম সংগ্রাম হত্যার নেপত্থ্যের কারণসহ হত্যার পরিকল্পনা ও হত্যা মিশনে অংশ নেওয়া সকল আসামির বিষয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রদান করেন।
ডিবি পুলিশ জানায়, মামলাটি একটি চাঞ্চল্যকর মামলা হিসেবে পুলিশ সুপার এসএম শফিউল্লাহ বিপিএম সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে জেলা গোয়েন্দা শাখা, খুলনায় ন্যস্থ করলে প্রযুক্তি নির্ভর তদন্তের মাধ্যমে ঢাকা, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি ও কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন স্থানে ধারাবাহিক অভিযান পরিচালনা করে চাঞ্চল্যকর সারজিল ইসলাম সংগ্রাম হত্যার ঘটনার হত্যা মিশনে অংশগ্রহণকারী এজাহারনামীয় ৪ জন আসামিসহ হত্যামিশনে অংশ নেওয়া ৭ জন আসামিকে এবং হত্যার পরিকল্পনার সাথে জড়িত সন্দেহে আরো ২ জন আসামিকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে গ্রেফতার করে চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করেন।
হত্যা মামলার ঘটনার দায় স্বীকার করে ইতিপূর্বে হত্যা মিশনে অংশ নেওয়া আসামি সুমন মোল্যা, রাহাত শিকদার, আলমগীর মোল্যা, অমিত শেখ, সাজু হাওলাদার, সোহেল হাওলাদার ও রন জয়ধর হত্যার দায় স্বীকার করে বিজ্ঞ আদালতে ফৌঃ কাঃ বিধি ১৬৪ ধারার জবানবন্দি প্রদান করেছে এবং হত্যা মিশন বাস্তবায়নে ব্যবহৃত ৩টি চাপাতি ও ৩টি ছোরা ও ভিকটিম সারজিল ইসলাম সংগ্রাম এর ১টি মোবাইল ফোন বস্তুগত আলামত হিসেবে জব্দ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২৬ সেপ্টেম্বর বেলা পৌনে ২টার দিকে সংগ্রামকে রূপসা থানাধীন বাগমারা সাকিনের হিমায়ন বরফকলের সন্নিকটে আলামিন মল্লিক এর চায়ের দোকানের সামনে একটি মোবাইল চুরি সংক্রান্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ভিকটিমকে হত্যা করে। উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভিকটিমের মা মোছা সাবিনা ইয়াসমিন মিলি এজাহারনামীয় চারজনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে রূপসা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।