রমজানে খুলনার ৬৯ প্রতিষ্ঠানকে ভোক্তা অধিকারের আড়াই লাখ টাকা জরিমানা

0
673

নিজস্ব প্রতিবেদক:
রমজানে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর খুলনা জেলায় ২৩টি অভিযানে ৬৯টি প্রতিষ্ঠানকে ২ লাখ ৬৫ হাজার ৭শ’ টাকা জরিমানা করেছে। বিভিন্ন অপরাধে এ সকল প্রতিষ্ঠানকে ১শ’ টাকা থেকে শুরু করে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হয়েছে। গত ৫ মে থেকে এ অভিযান চলে ৩০ মে পর্যন্ত। এর মধ্যে গত ১৫ মে হাইকোর্টের রায়ের আলোকে নতুন করে পণ্য উৎপাদন না করতে খুুলনাঞ্চলের তিন প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশ দিয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে, খুলনার ফুলতলার মধুমতি সল্ট ইন্ড্রাস্ট্রিজ, দৌলতপুরের মধু প্রক্রিয়াজাতকরণ প্রতিষ্ঠান গ্রীণলেন মিল্ক প্রডাক্ট ও হলুদের গুড়া উৎপাদনকৃত প্রতিষ্ঠান কুষ্টিয়া সান ফুড।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর খুলনা অফিস সূত্রে জানা যায়, সেবা গ্রহীতার অর্থ, স্বাস্থ্য, জীবনহানি, পণ্যের গায়ে মেয়াদ মূল্য উল্লেখ না থাকা, মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করা, আমদানীকারকের নাম না থাকা, পঁচা বাসি খাবার ফ্রিজে সংরক্ষণ, লাইসেন্স বিহীন সিলিন্ডার গ্যাস সংরক্ষণ, এমআরপি বিহীন বিদেশী পণ্য, কসমেটিক্স বিক্রি, অবৈধ প্রক্রিয়ায় খাদ্য পণ্য ও পানি উৎপাদন, মিথ্যা বিজ্ঞাপন দ্বারা ক্রেতাকে প্রত্যারিত করা, অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা ছাড়া সিলিন্ডার গ্যাস বিক্রি, বিভিন্ন ব্রান্ডের নকল প্যাকেট ব্যবহার, অত্যন্ত নোংরা পরিবেশে খাদ্য প্রস্তুত, মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য-খাদ্য সামগ্রী বিক্রি ও হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে পণ্য সংরক্ষণ-বিক্রির অপরাধে বিভিন্ন ধারায় ৬৯টি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়েছে।
প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে, খুলনার নিউমার্কেট এলাকার বিগ বাজার, সেইফ এন সেইভ, বাংলাদেশ বেকারী, সিরাজ ষ্টোর, প্রিন্স ট্রেডার্স, আল রাজি ফার্মেসী, শিফা ভ্যারাইটিজ, আজাদ ষ্টোর, মেট্রোপলিটন কাউন্টার, সোনাডাঙ্গার বিজয় ষ্টোর, স্বপ্না ষ্টোর, পদ্মা ট্রেড, জননী টেইলার্স, ঐশি মেডিকেল হল, খান ডিপার্টমেন্টাল ষ্টোর, হেমায়েতের ঔষধের দোকান, খুলনা ড্রিংকিং ওয়াটার, কনক পরিবহন কাউন্টার, ডাকবাংলা মোড়ের নিউ নুরানিয়া হোটেল, অলকা রেস্তোরা, খান জাহান আলী রোডের লার্জ ফার্মা, প্রিন্সেস এন্টারপ্রাইজ, ময়লাপোতা মোড়ের শাওন মিট শপ, বাবু মিট শপ, রাজু মিট শপ, হাজি মিট শপ, চান মিয়া মিট শপ, মিঠু মিট শপ, মাসুম মিট শপ, গল্লামারি এলাকার কেওড়া রেস্টুরেন্ট, দারুচিনি রেস্তোরা, দৌলতপুরের সেইফ এন সেইভ, সিংগার শো-রুম, নিউ রুচি আইসক্রিম, রোজা বিউটি কনসেপ, মিনাজ এন্টারপ্রাইজ, এম এম এন্টারপ্রাইজ, হাজী মহসিন রোডের জাহাঙ্গীরের মাংসের দোকান, রেলওয়ে হাসপাতাল রোডের দেশ পানি ড্রিংকিং ওয়াটার, ৪নং ঘাট এলাকার আয়েশা ফুড প্রোডাক্টস, প্রান্তি ফুড প্রোডাক্টস, নিরালা এলাকার ফাইজান খুশবু, খালিশপুরের ফাহিম ট্রেডার্স, এন এস ড্রাগ হাউজ, তানভীন ভ্যারাইটিজ ষ্টোর, পিনু ষ্টোর, ইব্রাহিম ষ্টোর, শিরোমনির মুক্তি এন্টারপ্রাইজ, জিহাদ ফার্মেসী, সংগীতা মোড়ের ঐশী এন্টারপ্রাইজ, জনতা গ্যাস চুলা সেন্টার, রূপসা ষ্ট্যান্ড রোডের আকতার মেডিকেল হল, মেহেদী ট্রেডার্স, বড় বাজার এলাকার ইসমাইল ষ্টোর, মদিনা এন্টারপ্রাইজ, রূপসা কেসিসি মার্কেটের সিটি বাজার, আজিম কসমেট্রিক্স, জান্নাত কসমেট্রিক্স, অনন্যা অহনা কসমেটিক্স, নতুন বাজারের মুনসুর মিট শপ, মায়ের দোয়া মিট শপ, রয়েল মোড়ের ফাল্গুনী পরিবহন, বনফুল পরিবহন, টুটপাড়ার চায়নিকা ফার্মেসী, মনির ষ্টোর ও ইভা সুপার আইসক্রিম।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়াধীন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর খুলনা জেলায় সহকারী পরিচালক শিকদার শাহীনুর আলম জানান, অভিযানেগুলোতে সকলকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ অনুসারে ভোক্তা অধিকার বিরোধী কার্যাবলী হতে বিরত থাকার অনুরোধ জানানো হয়। এছাড়া মহামান্য হাইকোর্ট কর্তৃক নিষিদ্ধ কোন পন্য ক্রয়/বিক্রয় করা হতে বিরত থাকতে ক্রেতা বিক্রেতাদের অনুরোধ করাসহ সচেতনামূলক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে লিফলেট, প্যামপ্লেট বিতরণ করা হয়। জনস্বার্থে এ তদারকি কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। অভিযানে সার্বিক সহায়তায় ছিলেন খুলনার আনসার সদস্য, ও ক্যাব।
এছাড়া মহামান্য হাইকোর্ট কর্তৃক নিষিদ্ধ এসিআই লবন সংরক্ষনের জন্য বড় বাজারে প্রদিপ ষ্টোরের কাছ থেকে প্রায় ১২ হাজার ৫০০ কেজি এসিআই লবন জব্দ ও বিনস্ট করা হয়।