রংপুরকে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠলো রাজশাহী

0
283

খুলনাটাইমস স্পোর্টস : সিলেট পর্বের প্রথম ও আসরের ২৯তম ম্যাচে আজ রংপুর রেঞ্জার্সকে ৩০ রানে হারিয়েছে রাজশাহী রয়্যালস। এই জয়ে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) টি-২০ ক্রিকেট আসরের শীর্ষে উঠলো রাজশাহী । টানা দু’ম্যাচ হারের পর জয়ের ধারায় ফিরে টুর্নামেন্টের শীর্ষে এখন রাজশাহী। ৯ খেলায় ৬ জয় ও ৩ হারে ১২ পয়েন্ট নিয়ে রান রেটে এগিয়ে থেকে শীর্ষে উঠলো রাজশাহী। সমান পয়েন্ট চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সেরও। কিন্তু রান রেটে পিছিয়ে দ্বিতীয়স্থানে রয়েছে চট্টগ্রাম। সমান ১০ পয়েন্ট নিয়ে পরের দু’টি স্থানে খুলনা টাইগার্স ও ঢাকা প্লাটুন। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্বান্ত নেয় রংপুর রেঞ্জার্স। ব্যাট হাতে নেমে দলকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন রাজশাহীর দুই ওপেনার লিটন দাস ও আফিফ হোসেন। ৪ ওভারে ৪৮ রান যোগ করেন তারা। এরমধ্যে ১২ বলে ২৯ রান ছিলো আফিফের। পঞ্চম ওভারের পঞ্চম বলে রংপুরের পেসার মুস্তাফিজুর রহমানের বলে আউট হন লিটন। ১৫ বলে ১৯ রান করেন তিনি। পরের ওভারে আফগানিস্তানের মোহাম্মদ নবীর বলে বিদায় নেন আফিফও। ২টি চার ও ৩টি ছক্কায় ১৭ বলে ৩২ রান করেন তিনি। এরপর দলের হাল ধরেন ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক পাকিস্তানের শোয়েব মালিক। ইরফান শুক্কুরকে নিয়ে বড় জুটির চেষ্টায় ছিলেন তিনি। কিন্তু বেশি বড় হয়টি জুটিটি। ২০ বলে ২০ রান করে স্পিনার আরাফাত সানির বলে আউট হন শুক্কুর। তবে চতুর্থ উইকেট জুটিতে মারমুখী মেজাজে ৩৪ বলে ৪৮ রান দলকে উপহার দেন মালিক ও বোপারা। ১৭তম ওভারে দলীয় ১৩২ রানে আউট হন মালিক। ৩১ বলে ৪টি চারে ৩৭ রান করে মুস্তাফিজের বলে আউট হন মালিক। মালিক ফিরলে ইনিংসের শেষদিকে দ্রুত রান তুলে রাজশাহীকে বড় সংগ্রহ এনে দেন বোপারা। ৪ উইকেটে ১৭৯ রানের সংগ্রহ পায় রাজশাহী। ইনিংসের শেষ ওভারে মুস্তাফিজকে শেষ তিন বলে তিনটি বাউন্ডারি মেরে ২৯ বলে হাফ- সেঞ্চুরি তুলে মাঠ ছাড়েন বোপারা। ৪টি চার ও ৩টি ছক্কায় অপরাজিত ৫০ রান করেন তিনি। পাকিস্তানের মোহাম্মদ নওয়াজকে নিয়ে পঞ্চম উইকেটে ২১ বলে অবিচ্ছিন্ন ৪৭ রান যোগ করেন বোপারা। ৯ বলে ২টি চারে ১৫ রানে অপরাজিত থাকেন নাওয়াজ। রংপুরের মুস্তাফিজুর ৪১ রানে ২ উইকেট নেন। জয়ের জন্য ১৮০ রান তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই মন্থর ছিলো রংপুরের ব্যাটিং। ১৫ বলে মাত্র ৩ রান করে বিচ্ছিন্ন হন দলের দুই ওপেনার মোহাম্মদ নাইম ও অধিনায়ক অস্ট্রেলিয়ার শেন ওয়াটসন। এরপর ব্যাট হাতে ঝড় তুলেন নাইম ও দক্ষিণ আফ্রিকার ক্যামেরন ডেলপোর্ট। মাত্র ১৩ বলে ৩২ রান যোগ করেন তারা। কিন্তু দলীয় ৪৭ রানের মধ্যে বিদায় ঘটে তাদের। ১৮ বলে ২টি করে চার-ছক্কায় ২৭ ও ডেলপোর্ট ৭ বলে ২টি চার ও ১টি ছক্কায় ১৪ রান করে আউট হন। দু’জনই শিকার করেন রাজশাহীর ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মালিকের। এরপর দলের হাল ধরেন ইংল্যান্ডের টম অ্যাবেল ও ফজলে মাহমুদ। দ্রুততার সাথেই রান তুলছিলেন তারা। ফলে ১৩ ওভারেই দলের স্কোর শতরানের পৌঁছে যায়। তারপরও এই রান যথেষ্ট ছিলো না। কারন শেষ ৭ ওভারে ৭৭ রান প্রয়োজন পড়ে রংপুরের। তবে দু’বলের মধ্যে দুই সেট ব্যাটসম্যান অ্যাবেল ও ফজলে আউট হয়ে গেলে, চাপে পড়ে যায় দল। সেই চাপ থেকে পরবর্তীতে ঘুড়ে দাঁড়াতে পারেনি রংপুর। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৪৯ রান পর্যন্ত যেতে সক্ষম হয় দলটি। অ্যাবেল ৩টি চারে ২৪ বলে ২৯ এবং ৩টি চার ও ২টি ছক্কায় ২৬ বলে ৩৪ রান করেন ফজলে। শেষদিকে, আল-আমিনের ১৭ বলে ১৮ রান দলের হারের ব্যবধান কমিয়েছে। রাজশাহীর নওয়াজ-মালিক-রাব্বি ২টি করে উইকেট নেন। ম্যাচ সেরা হয়েছেন রাজশাহীর বোপারা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
রাজশাহী রয়্যালস : ১৭৯/৪, ২০ ওভার (বোপারা ৫০*, মালিক ৩৭, মুস্তাফিজুর ২/৪১)।
রংপুর রেঞ্জার্স : ১৪৯/৭, ২০ ওভার (ফজলে ৩৪, অ্যাবেল ২৯, নাওয়াজ ২/২১)।
ফল : রাজশাহী রয়্যালস ৩০ রানে জয়ী।
ম্যাচ সেরা : রবি বোপারা (রাজশাহী রয়্যালস)।