‘যুদ্ধাপরাধের বিচারের মূল উদ্দেশ্য সঠিক ইতিহাস এবং সত্যের অনুসন্ধান’

0
243

খুলনাটাইমস: যুদ্ধাপরাধের বিচারের মূল উদ্দেশ্য সঠিক ইতিহাস এবং সত্যের অনুসন্ধান করে সেটিকে তুলে আনা। তাই এ ধরনের বিচারে অভিযুক্ত অনুপস্থিত থাকলেও এর গুরুত্ব কোনো অংশে কম নয়। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে আয়োজিত প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন গণহত্যা ও যুদ্ধাপরাধ নিয়ে বিশ্লেষণ করা দেশি-বিদেশি অনেক গবেষক। তারা যুদ্ধাপরাধ এবং গণহত্যার বিচার নিয়ে এমনটাই বলেন। বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধ এবং এর বিচার নিয়ে ষষ্ঠবারের মতো আয়োজিত আন্তর্জাতিক সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই এই প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। যুদ্ধাপরাধ এবং নৃশংস গণ অপরাধের বর্তমান সময়ের বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে এই প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েন্স আয়ার্সের অপরাধ বিষয়ক উচ্চ আদালতের দূত এবং অধ্যাপক ইরেনে ভিক্তোরিয়া মাসিমিনো, নটরডেম ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের আইন বিভাগের প্রধান তাহসিন খান এবং পোল্যান্ডের সমাজবিজ্ঞানী রাফাল প্যানকোয়াস্কি। এতে সভাপতিত্ব করেন এশিয়া জাস্টিস অ্যান্ড রাইটসের জ্যেষ্ঠ আইনি উপদেষ্টা নিকোল জেনিসুইচ। আলোচনায় ইরেনে ভিক্তোরিয়া বলেন, যুদ্ধাপরাধ বা গণহত্যার বিচারে অনেক সময়ই কম গুরুত্ব দেওয়া হয়। কারণ অভিযুক্ত পক্ষ অনুপস্থিত থাকে বলে। কিন্তু এ ধরনের বিচারিক কার্যক্রমে এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় না। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে সত্যকে খুঁজে বের করা। সমাজবিজ্ঞানী রাফাল প্যানকোয়াস্কি বলেন, পোল্যান্ডে নাৎসি বাহিনী যে ব্যাপক গণহত্যা চালায়, এর সঙ্গে ৭১ এ বাংলাদেশের ঘটনার ব্যাপক মিল রয়েছে। এখানে বাংলাদেশকে দেখতে হবে যে, পোল্যান্ড কীভাবে সেসব ঐতিহাসিক সত্যতা রক্ষার অভিভাবক হিসেবে কাজ করেছে। বাংলাদেশকে এখান থেকে শিক্ষা নিতে হবে। তবে আনন্দের বিষয় হচ্ছে, শুরু থেকেই পোল্যান্ডকে পাশে পেয়েছে বাংলাদেশ। প্যানেল আলোচনায় রোহিঙ্গা এবং মিয়ানমার ইস্যুতেও বক্তব্য রাখেন আলোচকেরা। তারা বলেন, ইতিহাস থেকে যদি মিয়ানমার শিক্ষা না নেয়, তাহলে ইতিহাসের ফলাফল তাদেরও বরণ করতে হতে পারে। তাই যত দ্রুত সম্ভব রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে মিয়ানমারকে আন্তরিক হওয়ার আহবান জানান তারা।