মোরেলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে সওজের রাস্তার বেহাল দশা,

0
115

দূর্ভোগে সেবা নিতে আসা রোগীরা
মেজবাহ ফাহাদ:
মোরেলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ৫০ শয্যা বিশিষ্ট এই সরকারী হাসপাতাল ১৬ টি ইউনিয়ন ও ১ টি পৌরসভার সাধারণ মানুষের প্রাথমিক চিকিৎসা সেবার একমাত্র ভরসাস্থল,আর সেই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রবেশপথে সড়ক বিভাগের রাস্তার দীর্ঘদিন ধরে বেহাল দশা, চলছে বর্ষা মৌসুম, আর এই মৌসুমে দু-একদিনের ভারী বৃষ্টিতে এই সড়ক একের পর ছোট বড় গর্তে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, হাসপাতাল খেয়াঘাট থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগামী সওজের সড়কটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রবেশপথের দৈঘ্য প্রায় ৫০০-৭০০ মিটার রাস্তা খানা খন্দের কারনে প্রায় চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। রাস্তার মাঝে মাঝে ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে, হাসপাতালকে কেন্দ্র করে রাস্তাটির দুইপাশে গড়ে ওঠা ঔষধের দোকান, ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিকরা রাস্তার দুইপাশে তাদের নিজ নিজ জায়গায় উঁচু করে ভবন নির্মাণ করেছেন। ফলে দু’পাশে গড়ে ওঠা দোকানগুলোর ভিটের তুলনায় রাস্তার অবস্থান অনেকটাই নিচে।দীর্ঘদিন রাস্তাটি সংস্কার না করায় দিন দিন বাড়ছে জনদুর্ভোগ।
স্থানীয়রা জানান, গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তাটি সংস্কার করা না হলে রাস্তাটি চলাচলের একেবারেই অযোগ্য হয়ে পড়বে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মাহবুব ব্রাদার্স সড়কটির সংস্কারে কোন অগ্রগতি নেই, রাস্তাটি বেহাল দশায় পরিণত হলেও সংস্কার করার কোন উদ্যোগ গ্রহন করেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কাজ করতে দেখা যায় না।এই সড়কটি দিয়ে প্রতিনিয়তই অসংখ্য রোগী, স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীসহ মোরেলগঞ্জ এবং পাশ্ববর্তী ইন্দুরকানী উপজেলার কয়েক হাজার লোক চলাচল করে পাশাপাশি এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন পৌর শহরে যাতায়াত করছে হাজারো মানুষ, তাদেরও ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। বিশেষ করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মূমুর্ষূ রোগীদের আনা-নেয়া করতে চরম ভোগান্তিতে পরছেন রোগীর স্বজনরা। স্থানীয়দের দাবি খুব শীগ্রই রাস্তাটির সংস্কার কাজ চালু হলে তাতে রোগীদের দুর্ভোগ কিছুটা লাঘোভ হবে।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার প্রতিস্টানের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তারা ফোন রিসিভ করেন নি।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শর্মী রায় বলেন, এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিদিন অনেক রোগী চিকিৎসা সেবা নিতে আসেন। রাস্তার দুরাবস্থার কারণে তাদের খুবই কষ্ট হয়। হাসপাতালের ড্রেনেজ ব্যবস্থা এই রাস্তা সংস্কারের কারনে নস্ট হয়েছে সেটাও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ঠিক করে দেয় নি, এই রাস্তাটির কারনে রোগীদের বেশী সমস্যা পোহাতে হয়। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে স্থানীয় সংসদ সদস্যের মাধ্যমে জানানো হয়েছে।
রাস্তাটি সংস্কারের অগ্রগতির ব্যাপারে বাগেরহাট জেলা সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ফরিদ উদ্দিন বলেন, এই রাস্তাটির কাজ দ্রæততম সময়ের মধ্যে শেষ করার জন্য সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার প্রতিস্টানকে বলা হয়েছে, তবে বৃষ্টির কারনে এই সড়কের কাজে কিছুটা ধীরগতি এসেছে, আশা করছি খুব শীগ্রই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সামনের এই রাস্তাটি সংস্কার কাজ শেষ করা হবে।