মোরেলগঞ্জে মাদারাসার নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগে অর্থ বানিজ্যের অভিযোগ

0
203

বাগেরহাট প্রতিনিধি:
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার বহরবুনিয়া দাখিল মাদরাসায় ৫ লক্ষ টাকা ঘুষ গ্রহণের মাধ্যমে মোঃ মাইনুল হাওলাদারকে নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগ দেওয়া অভিযোগ উঠেছে। নিয়োগ স্থগিতাদেশ চেয়ে বাগেরহাট দেওয়ানি মোরেলগঞ্জ আদালতে মামলা দায়ের করেছেন আরেক নিয়োগ প্রত্যাশী স্থানীয় মোঃ আঃ কাদের।
মোঃ আঃ কাদের বলেন, ১৩ ফেব্রুয়ারী দৈনিক পূর্বাঞ্চল পত্রিকায় বহরবুনিয়া দাখিল মাদরাসায় একজন নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগ দেওয়া হবে বলে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। ওই বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত কাগজপত্রসহ আমি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মাদরাসার সুপার বরাবর আবেদন করি। কিন্তু করোনার কারণে দীর্ঘদিন এসব বিষয়ে কোন খোজ খবর জানতাম না। আমার নামে কোন নিয়োগ পরীক্ষার পত্র আসেনি। এর মধ্যে ৮ আগস্ট অত্যন্তু গোপনে বাগেরহাট আলীয়া (কামিল) মাদরাসায় তিনজনকে ডেকে নিয়োগ পরীক্ষা নিয়েছেন মাদরাসার সুপার মাওলানা আবু হানিফ বদরুদ্দোজা ও সংশ্লিষ্টরা। ওইদিনই ৫ লক্ষ টাকার বিনিময়ে পূর্ব থেকে নির্দিষ্ট করা মাইনুল ইসলামকে নিয়োগ প্রদান করেন। নিয়োগ পরীক্ষায় মাইনুলসহ তিনজনকে ডাকা হয়েছিল। মাইনুল ছাড়া অন্য দুইজন ইব্রাহীম হাওলাদার ও শাহিন জমাদ্দার মাইনুলের সাজানো লোক ছিল। ইব্রাহিম হাওলাদার মাইনুলের আপন বোনের স্বামী এবং সরকারি পিসি কলেজে স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে পড়াশুনা করেন। শাহিন জমাদ্দার স্থানীয় মা-বাবার ঋণ কলেজে চাকুরী করেন। এই বিষয় থেকেই বোঝা যায় ওই নিয়োগ বোর্ড ও নিয়োগ পরীক্ষা সাজানো ছিল। পরবর্তীতে আমি বিষয়টি জানতে পেরে মাদরাসার সুপার আবু হানিফ বদরুদ্দোজা ও মাদরাসা ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি টিএম জসিম তালুকদারের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন মাদরাসার উন্নয়নের জন্য ৫ লক্ষ টাকা নিয়ে মাইনুলকে চাকুরী দেওয়া হয়েছে। তুমি আবার কি চাও।
মোঃ আঃ কাদের আরও বলেন, পরে আমি অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার বিচার চেয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বাগেরহাট জেলা প্রশাসক, মোরেলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, মোরেলগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেছি। অভিযোগ দেওয়ার পরে যখন কোন সুরাহা হয়নি। তখন এই অবৈধ নিয়োগ বাতিল, ঘুষ গ্রহনকারীদের শাস্তি ও পুনরায় নিয়োগ পরীক্ষা নিয়ে আমার যোগ্যতা যাচাইয়ের সুযোগ চেয়ে আমি বাগেরহাট আদালতে মামলা দায়ের করেছি। আদালত ৩ নভেম্বর আমার অভিযোগের বিষয়ে শুনানীর দিন ধার্য করেছেন।
মাদরাসার সুপার মাওলানা আবু হানিফ বদরুদ্দোজা বলেন, সকল নিয়মকানুন মেনেই যোগ্য প্রার্থীকে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে। আঃ কাদেরের শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদে সমস্যা থাকায় তাকে নিয়োগ পরীক্ষায় ডাকা হয়নি। তাই তিনি আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ করছেন।