মুন্সীগঞ্জে ২য় দফা বন্যার আশঙ্কা, জনমনে উদ্বেগ

0
161

খুলনাটাইমস (মুন্সীগঞ্জ ) : সমুদ্রে নিম্নচাপের প্রভাবে বিগত কয়েক দিনের বৃষ্টিপাত, এবং দেশের উত্তরাঞ্চলের পানি নামতে থাকায় মুন্সীগঞ্জে ২য় দফা বন্যার আশঙ্কা করছে স্থানীয়রা। গত শুক্রবার জেলার ভাগ্যক‚ল পয়েন্টে পদ্মা নদীর পানি বিপদসীমার ১৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। আর মাওয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।ফলশ্রæতিতে মুন্সীগঞ্জের নি¤œাঞ্চল আবারো প্লাবিত হচ্ছে। এর ফলে মুন্সীগঞ্জবাসী চরম উদ্বেগ-উৎকন্ঠায় দিন কাটাচ্ছে।
মুন্সীগঞ্জ জেলা পানি উন্নয়ন বোডের্র তথ্যানুযায়ী ,সমুদ্রে নিম্নচাপের কারণে, পানি ধীর গতিতে নামছে। এ ছাড়া উপক‚লীয় এলাকায় স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি জোয়ার হচ্ছে, এসব কারণে জেলায় আবারা পানি বাড়ছে। এখন স্বাভাবিক বর্ষার সমান উচ্চতায় পানি বিরাজ করছে। তবে পানি এভাবে বাড়তে থাকলে ২য় দফা বন্যা হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
সরকারী হিসাবে এবারের বন্যায় মুন্সীগঞ্জ জেলার ৪৪টি ইউনিয়নে ৩১৯টি গ্রাম পানিতে তলিয়ে গেছে। পানিবন্দি হয়েছে ৪২ হাজার ৫৮৩টি পরিবার। ্এখনো লৌহজং উপজেলায় ৮১টি পরিবার ও শ্রীনগর উপজেলায় ৫২টি পরিবার আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছে। উল্লেখ্য বন্যার সময় জেলায় মোট ৩৪৩টি পরিবার ৪৪টি আশ্রয়ণ কেন্দ্রে অবস্থান নিলেও পানি কমায় ২১০টি পরিবার ইতোমধ্যে বাড়ি ফিরে গেছে।
জেলা কৃষি অফিস ও মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, মুন্সীগঞ্জ জেলায় সাম্প্রতিক বন্যায় মাছ চাষীদের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৯ কোটি টাকা।এছাড়া ২৪ কোটি ৫৫ লক্ষ ৬৫ হাজার টাকার মৌসুমী ফসল বিনষ্ট হয়েছে।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন অফিসের তথ্যমতে, বন্যা কবলিতদের জন্য নতুন করে কোন বরাদ্দ হয়নি। তবে লৌহজং এলাকায় কিছু বরাদ্দের প্রাথমিক পরিকল্পনা চলছে। জেলায় বন্যা কবলিতদের জন্য এ পর্যন্ত সরকারি বরাদ্দের ৫৩৭ মেট্রিকটন চাল ও ৫ হাজার ৫শ প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও জিআর ক্যাশ হিসাবে ৫ লক্ষ, গো-খাদ্যের জন্য ১১ লক্ষ ও শিশু খাদ্যের জন্য ৫ লক্ষ টাকা বিতরণ করা হয়েছে।