মালদ্বীপ ছাড়ার নির্দেশ ভারতীয় সামরিক কর্মকর্তাদের

0
1103

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ চলতি বছরের জুনে শেষ হওয়া চুক্তি অনুযায়ী ভারতকে মালদ্বীপ থেকে সামরিক কপ্টার, কর্মকর্তাসহ সব ধরণের সামরিক প্রতিনিধিত্ব গুটিয়ে নিতে বলেছে চীন সমর্থিত দেশটির আব্দুল্লাহ ইয়ামীনের সরকার। শুক্রবার দিল্লিস্থ মালদ্বীপ দুতাবাসের বরাত দিয়ে এনডিটিভি এই খবর প্রকাশ করেছে।

খবরে বলা হয়, বেশ কয়েক দশক ধরে ভারত মহাসাগরীয় দ্বীপটিতে যাবতীয় সামরিক ও বেসামরিক সাহায্য-সহযোগিতার প্রধান যোগানদাতা ভারত হলেও বর্তমানে মালদ্বীপে ভারত ও চীনের অবস্থানগত দিক সমানে সমান। কারণ সম্প্রতি সেখানে অসংখ্য রাস্তা-ঘাট, সেতু ও বড় ধরনের বিমান বন্দর স্থাপনের কাজ করে ভারতকে টপকে গেছে চীন।

অন্যদিকে চলতি বছরেই ইয়ামীনের সরকারের পতন ঘটাতে রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী সৃষ্টি, জরুরী অবস্থা আরোপের পরিবেশ তৈরি এমনকি দেশটিতে ফের সামরিক অভ্যুত্থান ঘটানোর মত কূটনীতিক চাল চেলে মালদ্বীপ সরকারকে অস্থির করে রেখেছিলো।

ভারতে মালদ্বীপের রাষ্ট্রদূত আহমেদ মোহামেদ রয়টার্সকে বলেন, মেডিকেল বিভাগের জন্য প্রয়োজন সাপেক্ষে ২টি সামরিক হেলিকপ্টারের যোগান দিয়েছিলো ভারত। কিন্তু এখন দেশটি তার নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় যথেষ্ট সক্ষমতা অর্জন করায় সেগুলোর আর প্রয়োজন নেই বলে মনে করছে মালদ্বীপ সরকার।

তিনি আরও বলেন, ‘সেগুলো অতীতে অনেক দরকারি ছিলো কিন্তু বর্তমানে দেশটি তার চিকিৎসা খাতে পর্যাপ্ত অবকাঠামো, সুযোগ-সুবিধা এবং নিজস্ব সম্পদ আহরণে এবং তা ব্যবহারে সক্ষমতা অর্জন করেছে।’

ওই দুটি কপ্টার ছাড়াও দ্বীপ দেশটিতে পাইলট ও ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত কর্মচারীসহ ৫০ সেনা কর্মকর্তার ভিসাও মেয়াদোত্তির্ণ হয়ে গছে। তবে দিল্লি সরকার এখনও তাদেরকে দেশটি থেকে সরিয়ে নেয়নি।

মোহামেদ বলেন, যদিও ভারত ও মালদ্বীপ প্রতিমাসে ‘একচেটিয়া অর্থনৈতিক অঞ্চল’ গঠনের নিমিত্তে যৌথ মহড়া চালিয়ে যাচ্ছে। কারণ ভারতের ৪০০ কি.মি. দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত মালদ্বীপ চীন এবং মধ্যপ্রাচ্যের মধ্যস্থিত বিশ্বের সবচেয়ে ব্যস্ততম ‘শিপিং লেন’এর আওতাভুক্ত।