ভূমধ্যসাগর থেকে ১৫১ শরণার্থী উদ্ধার

0
305

খুলনাটাইমস বিদেশ : ভূমধ্যসাগরে ভাসমান ১৫১ শরণার্থীকে উদ্ধার করেছে ইতালির একটি অফশোর সরবরাহ জাহাজ। আগের দিন লিবিয়ার পানিসীমা থেকে উদ্ধারের পর রোববার তাদের উদ্ধারকারী জাহাজটি সিসিলি দ্বীপে পোঁছায়। তবে ইতালিতে এক ধরনের অভিবাসীবিদ্বেষ থাকায় এই শরণার্থীদের শেষ পর্যন্ত কোথায় রাখা হবে তা এখনও নিশ্চিত নয়। সোমবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।প্রতিবেদনে বলা হয়, উদ্ধারকৃতদের ইতালিতেই রাখা হবে নাকি অন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত অন্য দেশগুলোতে পাঠিয়ে দেওয়া হবে তা এখনও পরিষ্কার নয়। তবে এই শরণার্থীদের উদ্ধারের কয়েক ঘণ্টা আগেই ৮৮ শরণার্থীকে নিয়ে ইতালির মূল ভূখ-ে প্রবেশ করে আলান কুর্দি নামে একটি জার্মান উদ্ধারকারী নৌকা। ইউরোপীয় ইউনিয়নের এক চুক্তি অনুযায়ী, এদের মধ্যে ৬৭ জনকে সংস্থাটির চারটি সদস্য দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। বাকিদের ঠিকানা হবে ইতালি। ইতালির তারান্তো শহরের একজন কর্মকর্তা গ্যাব্রিয়েলা ফিকোসেলি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, উদ্ধারকৃত শরণার্থীদের মধ্যে পাঁচ নিঃসঙ্গ শিশুও রয়েছে। দীর্ঘ সমুদ্রযাত্রায় তারা ক্লান্ত। উদ্ধারের আগে আট দিন ধরে তাদের বহনকারী জাহাজ ভূমধ্যসাগরে অবস্থান করে বলে জানা গেছে। রোববারই ইতালির উত্তরাঞ্চলীয় একটি শহরে অভিবাসীবিরোধী একটি বিক্ষোভে অংশ নেন শখানেক মানুষ। অবশ্য ওই বিক্ষোভের বিপরীতে পাল্টা একটি বড় বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে অরাজপন্থীরা (অ্যানার্কিস্ট)। ২০১৪ সাল থেকে এ পর্যন্ত ছয় লাখেরও বেশি অভিবাসী গ্রহণ করেছে ইতালি। কিন্তু দেশটির বর্তমান ডানপন্থী সরকার ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে অভিবাসন বিধিমালা আরও কঠোর করেছে। উদ্ধার অভিযান নিরুৎসাহিত করার পর গত দুই বছরে দেশটিতে প্রবেশ করা নতুন শরণার্থীদের সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে। ইতালির পানিসীমায় কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া প্রবেশ করা উদ্ধারকারী জাহাজের মালিকদের বিরুদ্ধে ১ দশমিক ১ মিলিয়ন ডলার জরিমানা করতে পারবে; এমন নতুন আইনের অনুমোদন দিয়েছে দেশটির সরকার। উল্লেখ্য, উন্নত জীবনের আশায় ইউরোপে পাড়ি জমাতে যাওয়া অভিবাসনপ্রত্যাশীরা লিবিয়ার পশ্চিম উপকূলকে ব্যবহার করে থাকে। মানব পাচারকারীদের টাকা দিয়ে লিবিয়া উপকূল থেকে নৌকায় করে রওনা করে তারা। তবে পাচারকারী চক্র ভেঙে দিতে এবং লিবীয় কোস্টগার্ডকে সহায়তার অংশ হিসেবে ইতালির নেতৃত্বে ভূমধ্যসাগরে অভিযান পরিচালনা করে সংশ্লিষ্ট দেশগুলো। এসব অভিযান থেকে পাচারকারীদের বাঁচার চেষ্টায় কখনও বলি হয় শরণার্থীরা। মাঝ দরিয়ায় থেমে যায় উন্নত জীবনের প্রত্যাশায় ইউরোপমুখী এসব মানুষের জীবন।